শিবলী রুবাইয়াতের বিরুদ্ধে ৩ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে মামলা
Published: 6th, February 2025 GMT
ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মোনার্ক হোল্ডিংস লিমিটেডকে ব্রোকারেজ হাউসের লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার বিনিময়ে ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে এ মামলা করা হয়। আগের দিন মঙ্গলবার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি থেকে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এদিকে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২৭ কোটি ৮৬ লাখ ২০ হাজার ৯০৮ টাকার সম্পদ অর্জনের অভিযোগের মামলায় ম্যাক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরকে বুধবার গ্রেপ্তার করে দুদক। আগের দিন মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছিল দুদক।
রাজধানীর সেগুনবাগিচা এলাকায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আক্তার হোসেন বলেন, দুদকের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল ওই দুই ব্যক্তি বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন। তাই তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের সময় তাঁদের কাছ থেকে বিদেশি মুদ্রা ও একাধিক পাসপোর্ট জব্দ করা হয়।
দুদক সূত্র জানায়, ঘুষ লেনদেনের ঘটনায় শিবলী রুবাইয়াতের সঙ্গে আরও পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা হলেন মোনার্ক হোল্ডিং ইনকরপোরেশনের চেয়ারম্যান জাবেদ এ মতিন, ঝিল বাংলা ফেব্রিকসের মালিক আরিফুল ইসলাম, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এফএভিপি ইসরাত জাহান, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখার অপারেশন ম্যানেজার ইকবাল হোসেন, ব্যাংকটির এসইভিপি, অডিট অ্যান্ড ইনসপেকশন ডিপার্টমেন্ট ও সাবেক শাখা ব্যবস্থাপক সৈয়দ মাহবুব মোরশেদ।
মামলার এজাহারে শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলামের বিরুদ্ধে ভুয়া বাড়ি ভাড়ার চুক্তিনামা দেখিয়ে ১ কোটি ৯২ লাখ টাকা এবং ভুয়া পণ্য বিক্রির চুক্তি দেখিয়ে পণ্য রপ্তানির কৌশলে ১ কোটি ৮৪ লাখ ২৮ হাজার ৮২০ টাকাসহ ৩ কোটি ৭৬ লাখ ২৯ হাজার টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ আনা হয়েছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে মাউশির দপ্তরে দুদকের অভিযান
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) রাজশাহী আঞ্চলিক কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে কলেজের নতুন এমপিও ভুক্তির আটকে রাখা ৯১টি ফাইল পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
বুধবার দুপুরে ওই কার্যালয়ের কলেজ শাখার উপপরিচালক আলমগীর কবির টাকা ছাড়া ফাইল ছাড়েন না, এমন অভিযোগে অভিযান চালায় দুদক।
দুদকের ভাষ্যমতে, নতুন এমপিওভুক্তির জন্য ১৫২টি আবেদন পড়ে৷ ফাইল প্রথমে পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামানের কাছে দাখিল হয়। এরমধ্যে শর্ত পূরণ করতে না পেরে ৪৭টি বাতিল হয়। এরপর তিনি সহকারী পরিচালক আলমাস উদ্দিনের কাছে পাঠান। আলমাস উদ্দিন তা উপপরিচালক আলমগীর কবিরের কাছে পাঠিয়েছেন। আলমগীর কবির ৯২টি পরিচালকের কাছে পাঠাননি। এই ফাইল পাঠানোর জন্য মাত্র দুই দিন সময় রয়েছে।
অভিযান চলাকালে অফিসে ছিলেন না আলমগীর কবির। তার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
অভিযোগ রয়েছে, এমপিওভুক্তি ও বদলির ক্ষেত্রে অন্তত লাখ টাকা ঘুষ না দিলে ফাইল পাঠানো হয় না। এর আগে গেল ১১ মার্চ একই অফিসে অভিযান চালিয়ে দুদক আলমগীর কবিরের বিরুদ্ধে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল।
মাউশির আঞ্চলিক কার্যালয়ের পরিচালক মোহা. আছাদুজ্জামান বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ফাইল পাঠাতে বললেও, তিনি নানা তালবাহানায় সেটা করেন না।
দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় রাজশাহীর সহকারী পরিচালক আমির হোসাইন জানান, ঘুষের জন্য ফাইল আটকে রাখেন এমন অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালানো হয়েছে। ৯২টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পাওয়া গেছে। এর আগে ১৫১টি ফাইল আটকে রাখার প্রমাণ পেয়েছিল দুদক। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য ঢাকায় প্রতিবেদন পাঠান হবে।