চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে বিএসএফের নির্যাতনে বারিকুল ইসলাম নামে এক বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত বারিকুল শিবগঞ্জের দুর্লভপুর ইউনিয়নের নামোজগনাথপুর স্কুলমাঠ এলাকার সেতাউর রহমানের ছেলে। পরিবারের দাবি, রঘুনাথপুর সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের অভিযোগে তাকে হত্যা করা হয়েছে।

নিহতের ছোটভাই সুমন আলীর অভিযোগ, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে উপজেলার ফতেপুর ও রঘুনাথপুর ক্যাম্পের মাঝ এলাকা দিয়ে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশের অভিযোগে ভারতের ১১৫ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের রেস ক্যাম্পের বিএসএফ সদস্যরা বারিকুলকে আটক করে। পরে নির্যাতন চালালে সে মারা যায়। তবে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়নি।

দুর্লভপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম আযম নিহতের পরিবারের সদস্যদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার রঘুনাথপুর এলাকার পাশ দিয়ে কয়েকজন ব্যক্তিসহ বারিকুল ভারতে অনুপ্রবেশ করলে বিএসএফ সদস্যরা গুলি করে। এ সময় বারিকুল পড়ে গেলেও বাকিরা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে সমর্থ হয়। পরে রেস ক্যাম্পের সদস্যরা বারিকুলকে ধরে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন চালানোর একপর্যায়ে মারা যায়। বর্তমানে তার মরদেহ বিএসএফ ক্যাম্পে রয়েছে। তার শরীরে আঘাতে নমুমা পাওয়া গেছে বলে নিহতের ভারতীয়ভূখণ্ডে বাস করা স্বজনরা শুক্রবার দুপুরে জানিয়েছেন।

নিহতের ছোটভাই সুমন আলী দাবি করেন, তার ভাই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পদ্মা নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। পরে ভারতের স্বজনদের মাধ্যমে জানতে পারেন, তার ভাইয়ের মরদেহ ভারতের মহিষালবাড়ি হাসপাতালে রাখা আছে।

তিনি আরও জানান, বিজিবি সদস্যরা তাদের বাড়িতে এসেছিল। মরদেহ ফেরতের জন্য বিষয়টি তাদের জানানো হয়েছে।

এ ব্যাপারে ৫৩ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মনির উজ্জ জামান জানান, এ ধরনের কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই। জানলে গণমাধ্যমকে জানানো হবে। 

শিবগঞ্জ থানার ওসি গোলাম কিবরিয়া এ ধরনের একটি খবর তিনি বিভিন্ন মাধ্যমে ও পরিবারের সদস্যদের মাধ্যমে জেনেছেন বলে জানান।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: চ প ইনব বগঞ জ শ বগঞ জ ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী

অবৈধভাবে ভারতীয় জলসীমায় প্রবেশের অভিযোগে ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ।

বিএসএফ সূত্রে জানানো হয়েছে, সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের উত্তাল নদীতে দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে তাদের আটক করা হয়।  ধৃত মৎসজীবীরা বাংলাদেশের বরিশাল বিভাগের ভোলা জেলার পুরালিয়া গ্রামের বাসিন্দা। মাছ ধরার ট্রলার ও জালসহ তাদেরকে আটক করা হয়। 

আরো পড়ুন:

কলকাতায় সম্মিলিত সেনা সম্মেলন উদ্বোধন নরেন্দ্র মোদির

অবৈধ অভিবাসীদের প্রতি নরম হওয়ার দিন শেষ: ট্রাম্প

বিএসএফ জানায়, রবিবার সীমান্তের সুন্দরবন অংশে রুটিন টহল দেয়ার সময় গোসাবা রেঞ্জের বাঘমারি জঙ্গল এলাকায় বাংলাদেশি অবৈধ ট্রলারের উপস্থিতি নজরে আসে বিএসএফ জওয়ানদের। বিএসএফ জওয়ানদের পেট্রোল বোট ট্রলারটির কাছে যাওয়ার চেষ্টা করতেই ট্রলারটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। দ্রুততার সঙ্গে ট্রলারের পিছু ধাওয়া করা হয়। দীর্ঘক্ষণ ধাওয়া করে পরবর্তীতে পাকড়াও করা হয় বাংলাদেশি ট্রলারটিকে। অবৈধ অনুপ্রবেশ এর অভিযোগে আটক করা হয় এতে থাকা ১৯ জন বাংলাদেশি মৎস্যজীবীকে। বাজেয়াপ্ত করা হয় ট্রলারটি।

বিএসএফ আরো জানায়, আটকের পর দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্তরা অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগের বিপরীতে কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ দেখাতে পারেনি। ফলে জিজ্ঞাসাবাদের পরে তাদের স্থানীয় সুন্দরবন কোস্টাল থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। আজ সোমবার তাদের আলিপুর আদালতে তোলা হবে।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • সাতক্ষীরা সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • সুন্দরবনের ভারতীয় অংশের বিএসএফের হাতে আটক ১৯ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী