ফাইনাল খেলতে এসে সুযোগ না পেয়ে কাকে ‘খোঁচা’ দিলেন জিমি নিশাম
Published: 8th, February 2025 GMT
জিমি নিশামও কি বিপিএল চ্যাম্পিয়ন? সে তো অবশ্যই। বিপিএলের ফাইনাল খেলতে এসে খেলার সুযোগ পাননি, তবে স্কোয়াডে তো ছিলেন। সে হিসাবে তিনি চ্যাম্পিয়নই। তবে এভাবে এর আগে কোনো ক্রিকেটার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কি না, সেটা নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। কারণ, বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে যে আসলেই তাঁর কোনো অবদান নেই। নিশাম অবশ্য দাবি করেছেন এক দিনের শ্রম তিনি দিয়েছেন।
নিশাম এই দাবি করেছেন ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে। বিপিএল ট্রফির সঙ্গে ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এক দিনের পরিশ্রমে খারাপ অর্জন নয়।’ ছবিতে নিশামের সঙ্গে ছিলেন বরিশালের আরেক কিউই পেসার জেমস ফুলারও।
তা তিনি ঢাকা এসে কী কী করলেন? অনুশীলনে শ্রম দিয়েছেন, ব্যাটিং ও বোলিং করেছেন। খেলা শেষে আবার বিসিবির হয়ে ডেভিড ম্যালানের সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। ফাইনালের দিনে তাঁর অবদান বলতে ওই সাক্ষাৎকারটুকুই। চাইলে আরও একটা বিষয় যোগ করে দেওয়া যেতে পারে—এই যে কষ্ট করে প্রায় ৪০ ওভার খেলা দেখলেন!
বেঞ্চে বসে আরাম করে খেলা দেখা নিশামের এখন আর খুব একটা হয় না। যেসব লিগে খেলেন, সেখানে দলের একাদশে ‘অটোমেটিক চয়েস’ই এই অলরাউন্ডার।
আইপিএলে সুযোগ হয় না। সর্বশেষ খেলেছেন ২০২২ আইপিএলে। পিএসএল, ভাইটালিটি ব্লাস্ট, এসএটোয়েন্টিতে তিনি নিয়মিত খেলেন। সর্বশেষ খেলছিলেন এসএটোয়েন্টিতে। সেখানে খেলেছেন প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের হয়ে। টুর্নামেন্ট থেকে তাঁর দল ছিটকে যাওয়াতেই মূলত বিপিএল ফাইনাল খেলতে এসেছিলেন।
নেপাল প্রিমিয়ার লিগেও চ্যাম্পিয়ন হন নিশাম.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব প এল
এছাড়াও পড়ুন:
‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ
নারী বিষয়ক কমিশনের রিপোর্টকে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ করে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) নিজের ও দলের ফেসবুক পেজে এ কথা বলেন তিনি।
এতে তিনি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।
আরো পড়ুন:
প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির
দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান
জামায়াত আমির বলেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”
“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”
“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” বলেও দাবি করেন তিনি।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ