জিমি নিশামও কি বিপিএল চ্যাম্পিয়ন? সে তো অবশ্যই। বিপিএলের ফাইনাল খেলতে এসে খেলার সুযোগ পাননি, তবে স্কোয়াডে তো ছিলেন। সে হিসাবে তিনি চ্যাম্পিয়নই। তবে এভাবে এর আগে কোনো ক্রিকেটার চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন কি না, সেটা নিয়ে গবেষণা হতেই পারে। কারণ, বরিশালকে চ্যাম্পিয়ন করার পথে যে আসলেই তাঁর কোনো অবদান নেই। নিশাম অবশ্য দাবি করেছেন এক দিনের শ্রম তিনি দিয়েছেন।  

নিশাম এই দাবি করেছেন ইনস্টাগ্রামের স্টোরিতে। বিপিএল ট্রফির সঙ্গে ছবি দিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, ‘এক দিনের পরিশ্রমে খারাপ অর্জন নয়।’ ছবিতে নিশামের সঙ্গে ছিলেন বরিশালের আরেক কিউই পেসার জেমস ফুলারও।

তা তিনি ঢাকা এসে কী কী করলেন? অনুশীলনে শ্রম দিয়েছেন, ব্যাটিং ও বোলিং করেছেন। খেলা শেষে আবার বিসিবির হয়ে ডেভিড ম্যালানের সাক্ষাৎকারও নিয়েছেন। ফাইনালের দিনে তাঁর অবদান বলতে ওই সাক্ষাৎকারটুকুই। চাইলে আরও একটা বিষয় যোগ করে দেওয়া যেতে পারে—এই যে কষ্ট করে প্রায় ৪০ ওভার খেলা দেখলেন!

বেঞ্চে বসে আরাম করে খেলা দেখা নিশামের এখন আর খুব একটা হয় না। যেসব লিগে খেলেন, সেখানে দলের একাদশে ‘অটোমেটিক চয়েস’ই এই অলরাউন্ডার।

আইপিএলে সুযোগ হয় না। সর্বশেষ খেলেছেন ২০২২ আইপিএলে। পিএসএল, ভাইটালিটি ব্লাস্ট, এসএটোয়েন্টিতে তিনি নিয়মিত খেলেন। সর্বশেষ খেলছিলেন এসএটোয়েন্টিতে। সেখানে খেলেছেন প্রিটোরিয়া ক্যাপিটালসের হয়ে। টুর্নামেন্ট থেকে তাঁর দল ছিটকে যাওয়াতেই মূলত বিপিএল ফাইনাল খেলতে এসেছিলেন।

নেপাল প্রিমিয়ার লিগেও চ্যাম্পিয়ন হন নিশাম.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব প এল

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ