সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার ঘটনায় করা মামলায় জেলার সাবেক পুলিশ সুপার (এসপি) আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি রংপুর রেঞ্জে পুলিশ সুপার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন। গত শুক্রবার রাতে রংপুর থেকে তাঁকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ছাত্র-জনতার আন্দোলনে হামলার মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ রোববার দুপুরে তাঁকে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতের বিচারক তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্লা বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, আব্দুল মান্নান কুমিল্লা ও সিলেটের পুলিশ সুপার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। এরপর তিনি রংপুর রেঞ্জ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার হিসেবে সংযুক্ত ছিলেন। সেখান থেকে গত শুক্রবার রাতে তাঁকে আটক করা হয়। এসপি থাকতে তাঁর বিরুদ্ধে সংসদ নির্বাচন ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে বলপ্রয়োগের অভিযোগ আছে। এ ছাড়া সিটিটিসির পুলিশ সুপার থাকাকালীন তাঁর বিরুদ্ধে জঙ্গি নাটক সাজানোর একাধিক অভিযোগ আছে।

গোলাপগঞ্জ থানার ওসি মনিরুজ্জামান মোল্লা বলেন, গত ৮ জানুয়ারি সেন্টু চন্দ্র নন্দী নামে এক ব্যক্তি বাদী হয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে একটি মামলা করেন। ওই মামলায় সন্দেহভাজন আসামি হিসেবে আব্দুল মান্নানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বিধি অনুযায়ী তাঁকে থানায় আনার পর কারাগারে পাঠানো হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে কারাগারে নেওয়া হয়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঝিনাইদহে ছেলের হাতে বাবা খুন

ঝিনাইদহে মানসিক ভারসাম্যহীন ছেলের কোদালের কোপে শাহাদত হোসেন (৬৩) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফয়সাল হোসেনকে (২২) আটক করেছে পুলিশ।

সোমবার (১৬ জুন) সদর উপজেলার গান্না ইউনিয়নের শংকরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাদত হোসেন ওই গ্রামের তাইজেল হোসেনের ছেলে।

নিহতের স্বজনেরা অভিযোগ করেন, সকাল ১০টার দিকে শাহাদত হোসেন ছেলে ফয়সাল হোসেনকে সাথে নিয়ে মাঠে কাজ করতে যান। কাজ করার ফাঁকে ফয়সাল কোদাল দিয়ে তার বাবার মাথায় আঘাত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। পরে মৃত বাবাকে মাঠে রেখে বাড়িতে গিয়ে মাকে পুরো ঘটনা জানান ফয়সাল। স্বজনেরা দ্রুত মাঠে গিয়ে শাহাদতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে থানায় খবর দেন।

আরো পড়ুন:

কারাগারে ‘ফাঁস নিলেন’ জুলাই-আগস্ট হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার সুজন

মহাসড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ফয়সাল হোসেন দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। পাবনা মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে কিছুদিন আগে বাড়িতে ফিরেছেন।

ঝিনাইদহ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘‘অভিযুক্ত ফয়সালকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ