রাজধানীর পল্টন মডেল থানায় যুবদল নেতা শামীম হত্যা মামলায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক যুগ্ম কমিশনার মো. শহিদুল্লাহর পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। 

রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমানের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন।

এদিন সন্ধ্যা ৬ টার পর তাকে আদালতে হাজির করা হয়। তার ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল্লাহেল বাকী।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তিনি বলেন,“বিএনপির মহাসমাবেশ বানচালে তিনি কাজ করেছেন। অন্য আসামিদের সঙ্গে পরিকল্পিতভাবে তিনি সমাবেশ পণ্ড করতে সহযোগিতা করেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার চয়েজ করা লোক। এ হত্যায় তিনি মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন। তার ১০ দিনের রিমান্ড প্রার্থনা করছি।

এ সময় আসামি শহিদুল্লাহ কথা বলতে চান। পরে আদালতের অনুমতি নিয়ে তিনি বলেন, “বিএনপির মহাসমাবেশ কেন্দ্র করে অনেক ঝামেলা হয়েছে, এটা সঠিক। আমি ওইদিন গুলশান এলাকায় দায়িত্বে ছিলাম। এক অঞ্চলের ডিসি আরেক এলাকায় যান না। রমনায় বিশৃঙ্খলা হয়েছে। সেখানে আমি ছিলাম না। তদন্তের সঠিক রহস্য উদঘাটন হবে। এটার মাধ্যমেই মামলাটি নিষ্পত্তি হোক।”

তবে আসামিপক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না। শুনানি শেষে আদালত তার পাঁচ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

এর আগে রবিবার ভোরে রাজধানীর রমনা থেকে তাকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে নেওয়া হয়।

মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচি অনুযায়ী ঢাকায় মহাসমাবেশ ডাকে। মহাসমাবেশকে পণ্ড করার জন্য একই দিনে আওয়ামী লীগ পাল্টা সমাবেশ ডাকে। বিএনপি নেতাকর্মীদের হত্যা ও গুম করার উদ্দেশে পুলিশের সহায়তায় মহাসমাবেশে হামলা চালানো হয়। হামলায় যুবদল নেতা শামীম নিহত হন। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর পল্টন থানায় একটি মামলা করা হয়।

ঢাকা/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

চট্টগ্রামে বাসায় ঢুকে ব্যবসায়ীকে গুলি

চট্টগ্রাম নগরের উত্তর মোহরা এলাকায় এক ব্যবসায়ীকে বাসায় ঢুকে গুলি করে পালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ওই ব্যবসায়ীর নাম মো. ইউনুস। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, মো. ইউনুস নদী থেকে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার বা খননযন্ত্রের ব্যবসা করেন। রাতে নিজের বাসাতেই ছিলেন তিনি। হঠাৎ কয়েকজন দুর্বৃত্ত বাসায় ঢুকে তাঁকে চার থেকে পাঁচটি গুলি করে। তাঁর মুখে, হাঁটুতে ও হাতে গুলি লেগেছে। পরে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।

উত্তর মোহরা এলাকাটি নগরের চান্দগাঁও থানার আওতাধীন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আফতাব উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ওই ব্যবসায়ীকে রাতেই উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। জড়িত ব্যক্তিদের আটক করতে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ