সঠিক পরিকল্পনা, দিকনির্দেশনা মেনে চলা ও ধারাবাহিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে আগ্রহী যে কেউ ক্রমান্বয়ে ইউটিউবে আয় ও জনপ্রিয়তা দুটিই বাড়াতে সফল হবে। দর্শকপ্রিয় হতে যা জানা ও করা প্রয়োজন, তার মধ্যে কনসিস্টেন্ট কনটেন্ট, ভিডিওতে কল-টু-অ্যাকশন, ইউটিউব অ্যানালিটিকস, সামাজিক মাধ্যম ও ভিডিওর মানোন্নয়ন বিষয়ে সম্যক ধারণা থাকতেই হবে।
কনসিস্টেন্ট কনটেন্ট
কিছুদিন পরপর বা নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে ভিডিও প্রকাশ করা উচিত। যেন দর্শক চ্যানেলের প্রতি আগ্রহ না হারায়। নির্দিষ্ট দিনে ও নির্দিষ্ট সময়ে ভিডিও আপলোড করার চেষ্টা করা উচিত।
ভিডিওতে কল-টু-অ্যাকশন
ভিডিওর শেষে দর্শকদের সাবস্ক্রাইব, লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করতে উৎসাহিত করা উচিত। প্রথম ভিডিও শেষে ওই চ্যানেলের সংশ্লিষ্ট পরের ভিডিও দেখতে স্ক্রিনে সাজেশন বা লিঙ্ক দিলে দর্শক চ্যানেল থেকে সহসাই সরে যাবে না।
ইউটিউব অ্যানালিটিকস
চ্যানেলের কোন ভিডিও কেমন দর্শক গ্রহণযোগ্যতা পাচ্ছে, তা বিশ্লেষণ করতে ইউটিউব অ্যানালিটিকসের রীতিনীতি মেনে চলা শ্রেয়। কোন ধরনের কনটেন্ট বেশি ভিউ পাচ্ছে, দর্শক কোন সময়ে ভিডিও বেশি দেখে– এসব বিষয়ে বিশ্লেষণ করে কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজি নির্ধারণে মনোযোগ দিতে হবে।
সামাজিক মাধ্যম
নির্মিত প্রতিটি ভিডিও কনটেন্টের ভিউ বাড়ানোর জন্য ইনস্টাগ্রাম, এক্স, ফেসবুক, লিঙ্কডইন ও অন্য সব সোশ্যাল মিডিয়াতে ভিডিও শেয়ার করার চর্চা থাকতে হবে। বিশেষ করে ফেসবুক গ্রুপ ও ফোরামে ভিডিওর লিঙ্ক শেয়ার করলে বেশি সংখ্যক দর্শকের কাছে কনটেন্ট পৌঁছানোর সম্ভাবনা তুলনামূলক বেড়ে যায়।
ভিডিওর মানোন্নয়ন
সময়ের চাহিদা ও আগ্রহ বুঝে কনটেন্ট নির্মাণের পরিকল্পনা নিতে হবে। ভালো মানের ভিডিওচিত্র তৈরি করা ছাড়া জনপ্রিয় হওয়ার সুযোগ খুবই কম। ভালো রেজ্যুলেশনের ভিডিও, স্পষ্ট অডিও ও প্রাসঙ্গিক তথ্য যুক্ত করে ভিডিওর গুণগত মান বাড়ানো সম্ভব। তা ছাড়া ভালো সম্পাদনা (এডিটিং) ও দৃষ্টিনন্দন প্রেজেন্টেশন দর্শককে চ্যানেলের দিকে আকৃষ্ট করে।
ইউটিউবে ভিউ বাড়ানোর জন্য শুধু ভালো কনটেন্ট তৈরি করাই শেষ কথা নয়, সঠিকভাবে তা অপ্টিমাইজ করাও জরুরি। উল্লিখিত সবকটি কৌশলের মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিওর ভিউ বাড়ানো সম্ভব। ফলে চ্যানেল থেকেও বেশি আয়ের সম্ভাবনা দ্বিগুণ হয়ে যায়।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কনট ন ট

এছাড়াও পড়ুন:

কার্টুন, মিমে অভ্যুত্থানের ভিন্ন ধারার দৃশ্যায়ন

টাকার বস্তার ভেতর থেকে মাথা উঁচিয়ে আছেন শুভ্র কেশ, সফেদ দাড়ি, চশমা পরিহিত এক লোক। তাঁর ছবি দেখে তো বটেই, এই বর্ণনা থেকেও তাঁকে চিনবেন দেশবাসী। বর্তমানে কারাগারের বাসিন্দা পতিত স্বৈরশাসকের এই উপদেষ্টা বলছেন, ‘টাকার ওপর আমার বিশ্বাস উঠে গেছে।’ এই ছবির পাশেই এক কাটআউট। সেখানে ‘শেখ হাসিনা পালায় না’ বলতে বলতে দৌড়ে পালাচ্ছেন ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ক্ষমতার মসনদ থেকে উৎপাটিত শেখ হাসিনা।

এমন মজার মজার কার্টুন, মিম, গ্রাফিতি, ভিডিও স্থাপনাকর্মসহ বৈচিত্র্যময় সৃজনসম্ভার নিয়ে শুরু হয়েছে ‘বিদ্রূপে বিদ্রোহ’ নামের ব্যতিক্রমী এক প্রদর্শনী। আয়োজন করেছে অনলাইনভিত্তিক স্যাটায়ার সাময়িকী ‘ইয়ারকি’। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ধানমন্ডির আলিয়ঁস ফ্রঁসেজের লা গ্যালারিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আনুষ্ঠানিকভাবে ছয় দিনের এ প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। চলবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত। সবার জন্য প্রতিদিন বেলা তিনটা থেকে রাত আটটা পর্যন্ত খোলা।

গত বছর ফ্যাসিবাদবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে উত্তাল ছিল জুলাই। একটি বৈষম্যহীন, উদার গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক মানবিক সমাজ প্রতিষ্ঠার জন্য পথে নেমেছিলেন অগণিত মানুষ। শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী সরকারকে উৎখাত করতে জীবন উৎসর্গ করেছেন তাঁদের অনেকে। আহত হয়েছেন বেশুমার। রক্তরঞ্জিত রাজপথ বেয়ে এসেছে জনতার বিজয়।

প্রদর্শনীতে প্রবেশপথটির দুই পাশে লাল রঙের পটভূমিতে বড় বড় ডিজিটাল পোস্টার। সেখানে ২ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রতিদিনের বিভিন্ন ঘটনার আলোকচিত্র, সংবাদপত্র, অনলাইন পোর্টাল, টেলিভিশনের রিপোর্ট, ছবি, ফেসবুকসহ বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যমের পোস্ট—এসব তুলে আনা হয়েছে এ পোস্টারগুলোতে। প্রবেশপথটিও লাল রঙের। ‘জুলাই করিডর’ নামে এই রক্তিম পথটি বেয়ে দর্শনার্থীরা প্রদর্শনীতে প্রবেশের সময় অভ্যুত্থানের উত্তাল দিনগুলোর উত্তাপ ফিরে পাবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ