এনআইডি তথ্য ফাঁস হয়েছে পাঁচ প্রতিষ্ঠান থেকে
Published: 10th, February 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ পাঁচটি প্রতিষ্ঠান তৃতীয় পক্ষের কাছে জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য ফাঁস করেছে বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পেয়েছে ইসি। আজ সোমবার নির্বাচন ভবনে ইসি সচিবালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান।
এনআইডি সেবা দিয়ে থাকে নির্বাচন কমিশন। এনআইডি তথ্য ভান্ডারও ইসির নিয়ন্ত্রণে। সরকারি-বেসরকারি ১৮২টি প্রতিষ্ঠান ইসির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ। তারা এনআইডির তথ্য যাচাই সংক্রান্ত সেবা নিয়ে থাকে। আজ সকালে এনআইডি যাচাই সেবা গ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে মতবিনিময় করে ইসি। তাদের এই আলোচনা আরও চলবে।
ইসি সূত্র জানায়, যে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে সেগুলো হলো স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ইউসিবি ব্যাংকের উপায়, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আইবাস।
মতবিনিময় শেষে ইসি সচিব আখতার আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, দেখা যাচ্ছে যাদের তথ্য যাচাইয়ের সুযোগ দেওয়া হয়েছে তারা ইসির অগোচরে অন্য অনাকাঙ্ক্ষিত ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য দিচ্ছে। যেটা কাম্য নয়। এটা নিয়ন্ত্রণে আনা ও ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত করার জন্য তাঁরা আলোচনা করছেন। যাতে যার জন্য যতটুকু তথ্য প্রয়োজন তিনি ততটুকু তথ্য নেন।
এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব জানান, এখন পর্যন্ত তাঁরা পাঁচটা প্রতিষ্ঠান পেয়েছেন যেগুলোর কাছ থেকে তথ্য ফাঁস হয়েছে। কিভাবে এটি হয়েছে তা প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তথ্য ফাঁস বা পাচারের বিষয়গুলো কারিগরি, এগুলো আরও যাচাই বাছাই করা হবে। তিনি বলেন, এই তথ্য ফাঁস ইচ্ছাকৃতভাবে হয়েছে নাকি অসাবধানতাবশত হয়েছে সেটা দেখা হচ্ছে। যদি কেউ স্বপ্রণোদিতভাবে এটা করে থাকে তাহলে তা শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আরও পড়ুনপুলিশের এক লাখের বেশি সদস্যের ব্যক্তিগত তথ্যসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার তথ্য ফাঁস ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
ক্রিকেটার এবং মাগুরা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাকিব আল হাসানসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন—সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়ের ওরফে হিরু, কাজী সাদিয়া হাসান, আবুল কালাম মাদবর, কনিকা আফরোজ, মোহাম্মদ বাশার, সাজেদ মাদবর, আলেয়া বেগম, কাজী ফুয়াদ হাসান, কাজী ফরিদ হাসান, শিরিন আক্তার, জাভেদ এ মতিন, মো. জাহেদ কামাল, মো. হুমায়ুন কবির ও তানভির নিজাম এবং বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) উদ্দীপনের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক নির্বাহী পরিচালক ও সিইও বিদ্যুত কুমার বসু, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো.মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিল ফয়সাল ও শওকত হোসেন।
তাদের মধ্যে শেষের ১০ জনের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। দুদকের উপ-সহকারী পরিচালক মো. রোকনুজ্জামান এই ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তরা দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬) এর ২৪(৩) ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯ (১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্র ঋণ তহবিল থেকে অনুমোদনহীন গোল্ডব্রিকস এবং এ অ্যান্ড পি ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে স্থানান্তর করেছেন। এ জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন আছে। বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামিররা দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন ঠেকানো ও এনআইডি ব্লক করা প্রয়োজন।
সাকিব আল হাসানসহ ১৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন দুদকের সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন।
আবেদনে বলা হয়, সমবায় অধিদপ্তরের উপ-নিবন্ধক মো. আবুল খায়েরসহ অন্যদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করে সরকারি বিধি ও শেয়ারবাজার আইন লঙ্ঘন করে শত শত কোটি টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগসহ অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগের অনুসন্ধান চলছে। অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রের ভিত্তিতে জানা গেছে, অভিযোগ-সংশ্লিষ্টরা অন্য দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত আবশ্যক।
ঢাকা/এম/রফিক