৪২ হাজার সুবিধাবঞ্চিতকে চক্ষুসেবা দেবে ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্রামীণ হ
Published: 11th, February 2025 GMT
ব্র্যাক ব্যাংক ও গ্রামীণ হেলথকেয়ার সার্ভিসেস লিমিটেড সম্প্রতি বগুড়া ও ঠাকুরগাঁও জেলার ৪২ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের বিনামূল্যে চোখ পরীক্ষা ও চক্ষুসেবা দেওয়ার লক্ষ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ব্র্যাক ব্যাংকের ফ্ল্যাগশিপ সিএসআর প্রোগ্রাম ‘ব্র্যাক ব্যাংক অপরাজেয় আমি’র অংশ হিসেবে এই উদ্যোগটি নেওয়া হয়েছে। এই চুক্তির আওতায় অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠীর দৃষ্টিশক্তি উন্নত করতে তাদের বিশেষ লেন্স এবং ইন্ট্রা-ওকুলার লেন্স (আইওএল) ইমপ্লান্টসহ বিনামূল্যে চোখের ছানি অপসারণ করা হবে।
রোগীরা যাতে ডায়াগনস্টিক, সার্জারি এবং অস্ত্রোপচার-পরবর্তী সেবা পান, এই উদ্যোগের মাধ্যমে সেটি নিশ্চিত করা হবে। এর ফলে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্তিও নিশ্চিত হবে।
এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো- মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরাতে সহায়তা করা, যা তাদের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন এবং সমাজ ও কর্মক্ষেত্রে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে ভূমিকা রাখবে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় গ্রামীণ হেলথকেয়ারের প্রধান কার্যালয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন এবং গ্রামীণ হেলথকেয়ারের ম্যানেজিং ডিরেক্টর শামসুল হক আহমেদ এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।
এই সময় গ্রামীণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.
এই উদ্যোগ সম্পর্কে মো. আশরাফুল হাসান বলেন, এই যৌথ-উদ্যোগের মাধ্যমে শুধু মানুষের দৃষ্টিশক্তি ফেরানোই নয়, বরং অর্থের অভাবে যারা প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যসেবা নিতে পারেন না, তাদের জন্য উন্নত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করাও আমাদের উদ্দেশ্য। আমি আশা করছি এই উদ্যোগটি মানুষের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। এমন একটি উদ্যোগের অংশ হতে পেরে আমরা আনন্দিত।
সেলিম রেজা ফরহাদ হোসেন বলেন, আমাদের এই উদ্যোগটি সুবিধাবঞ্চিতদের কেবল স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার উদ্দেশ্যেই নয়, বরং আর্থিক অবস্থা নির্বিশেষে তারা সকলেই যেন অর্থবহ জীবনযাপনের সুযোগ পান, সেই কারণেও নেওয়া হয়েছে।
একটি মূল্যবোধ-নির্ভর প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্র্যাক ব্যাংক নিজেদের সিএসআর উদ্যোগগুলোকে এমনভাবে কাজে লাগাতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা আর্থিক এবং সামাজিক বাধা দূর করে সবার জন্য সুযোগ তৈরি করে দেবে, যাতে প্রত্যেকে নিজ সম্ভাবনার পূর্ণ বিকাশ ঘটিয়ে অর্থপূর্ণ জীবন যাপনের সুযোগ পান।
‘অপরাজেয় আমি’ উদ্যোগটি সামাজিক উন্নয়ন এবং আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজ গঠনের লক্ষ্যে ব্র্যাক ব্যাংকের দৃঢ় প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’