অমর একুশে বইমেলায় সব্যসাচীর স্টলে ঘটে যাওয়া ঘটনায় ‘কড়া বার্তা’ দিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা চলচ্চিত্রকার মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা মেলাপ্রাঙ্গণে আর ঘটতে দেওয়া যাবে না। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’’ 

এদিকে, ঘটনার প্রায় ২৪ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার পর তার প্রতিক্রিয়া বিস্মিত করেছে মানুষকে। যদিও ফেসবুকে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার সময় ফ্লাইটে ছিলেন।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ফেসবুকে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘গতকাল বাংলা একাডেমিতে যে ঘটনা ঘটেছে, এটা অত্যন্ত নিন্দনীয়। ঘটনার সময় আমি ফ্লাইটে ছিলাম। নামার পর থেকে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি। ঘটনার সব রকম ব্যাখ্যা ও বিশ্লেষণ সংগ্রহ করেছি। একাডেমি ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটি তিন কর্মদিবসের মধ্যে রিপোর্ট দেবে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে।’’

আরো পড়ুন:

বইমেলায় হট্টগোল: ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি

বইমেলায় হট্টগোল: ‘তৌহিদী জনতা’র প্রতি মাহফুজের ‘শেষ অনুরোধ’

এ বিষয়ে সরকারের বক্তব্য স্পষ্ট করে উপদেষ্টা লিখেছেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা মেলাপ্রাঙ্গণে আর ঘটতে দেয়া যাবে না। আসুন আমরা সবাই সব রকম উস্কানিমূলক আচরণ থেকে বিরত থাকি।’’

সোমবার সন্ধ্যায় বইমেলার সোহরাওয়ার্দী উদ্যান অংশে থাকা সব্যসাচীর স্টলে তসলিমা নাসরিনের বই ‘চুম্বন’ পরিবেশন নিয়ে বাগবিতণ্ডা ও হট্টগোলের ঘটনা ঘটে। পরে ওই স্টল বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সব্যসাচীর প্রকাশক শতাব্দী ভবকে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ কন্ট্রোল রুমে নেওয়া হয়।

হট্টগোল শুরু হওয়ার আগে স্টলটির বিরুদ্ধে ‘নাস্তিকতা প্রচার’-এর অভিযোগ এনে সেটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে আগের দিন রবিবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাধিক পোস্ট দেওয়া হয়েছিল। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করা বেশ কিছু ভিডিও থেকে দেখা গেছে, প্রকাশক ভব একদল তরুণকে উত্তেজিত করার চেষ্টা করছিলেন। তাদের মুখে দাড়ি ও মাথায় টুপি ছিল।

গতকালের ঘটনায় বাংলা একাডেমির পরিচালক মোহাম্মদ হারুন রশিদকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন পেশ করার পর তার ওপর ভিত্তি করে ঘটনা নিয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

ঢাকা/এনএইচ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বইম ল বইম ল য় র ঘটন ঘটন র

এছাড়াও পড়ুন:

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

সাবেক সচিব ও উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদারসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

দুদকের সহকারী পরিচালক (জনসংযোগ) মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।

নিষেধাজ্ঞা পাওয়া অন্যরা হলেন- উদ্দীপনের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, সাবেক সদস্য, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ডা. আবু জামিন ফয়সাল, শওকত হোসেন ও সাবেক নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

আবেদনে বলা হয়, দায়িত্ব পালনকালে পরস্পর যোগসাজশে ব্যক্তিগত লাভ ও আত্মসাতের উদ্দেশ্যে মাইক্রোক্রেডিট আইন (২০০৬)-এর ২৪/৩ ধারা ও বিধি (২০১০) এর বিধি ১৯(১) লঙ্ঘন করে আত্মসাতের উদ্দেশ্যে ক্ষুদ্রঋণ তহবিল হতে অনুমোদনহীন নামমাত্র ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট গোল্ডব্রিকস ও ব্যাটারি প্রকল্পে যথাক্রমে প্রায় ৮ কোটি ৯৭ লাখ ৮১ হাজার ৩৭৭ টাকা ও ৪ কোটি ৪৮ লাখ ৪৬৬ টাকা বিনিয়োগ দেখিয়ে তহবিল হতে স্থানান্তর করেছেন। উক্ত জালিয়াতি সম্পর্কিত একটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ