মিরপুর সমাজসেবা অফিসে ‘তারুণ্যের উৎসব’ উদযাপিত
Published: 11th, February 2025 GMT
‘এসো দেশ বদলাই, পৃথিবী বদলাই’ স্লোগানে ‘তারুণ্যের উৎসব-২০২৫’ ঢাকার মিরপুর সমাজসেবা অফিসে উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার মিরপুরের সমাজসেবা অফিসের উদ্যোগে মিরপুরের দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়।
তারুণ্যের উৎসব উদযাপনে আলোচ্য অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে ছিল- কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার, সুবিধাভোগী তরুণ-তরুণীদের উদ্যোক্তা তৈরিতে জব ফেয়ারের আয়োজন, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা জোরদার, ভালো উদ্যোক্তা তৈরির আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
তারুণ্যের উৎসব-২০২৫ উদযাপন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মো.
উক্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মোছা. ফৌজিয়া সুলতানা, সহকারী সমাজসেবা অফিসার; মোহাম্মদ জাকির হোসেন আখন্দ, ফিল্ড সুপারভাইজার; হারুন অর রশিদ- ডাটা এন্ট্রি অপারেটর; মোত্তালেব হোসেন, কম্পিউটার প্রশিক্ষক; প্রভাস চন্দ্র বিশ্বাস, পৌর সমাজকর্মী; মো. শহিদুল হক, পৌর সমাজকর্মী ও আরো অনেকে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ত র ণ য র উৎসব উদয প
এছাড়াও পড়ুন:
আষাঢ়ের প্রথম দিন আজ
ঝমঝম বৃষ্টি, কর্দমাক্ত পথঘাট, খাল-বিলে থৈ থৈ পানি- এমন দৃশ্যপট সামনে না থাকলেও ভেবে নিতে দোষ কি। কারণ, আজ পহেলা আষাঢ়।
রবি ঠাকুরের ভাষায়— ‘আবার এসেছে আষাঢ় আকাশও ছেয়ে... আসে বৃষ্টিরও সুবাসও বাতাসও বেয়ে...’।
অবশ্য একেবারে নিরাশ করেনি আষাঢ়। রাজধানীতে সকাল থেকেই আকাশে মেঘের আনাগোনা আর কোথাও হালকা বৃষ্টি জানান দিচ্ছে প্রকৃতিতে বর্ষার আগমন। বর্ষার আগমন যেন স্বস্তি-শান্তি ও আনন্দের। তীব্র গরমে হাঁসফাঁস নগরবাসীর জীবনে এক আনন্দের বার্তা।
বাংলার প্রকৃতিতে আলাদা বৈশিষ্টময় বর্ষা ঋতুর আজ যাত্রা শুরু হলো।
বলা হয়, গ্রীষ্মের খরতাপের ধূসর নাগরিক জীবন আর রুদ্র প্রকৃতিতে প্রাণের স্পন্দন জাগায় বর্ষা। জ্যৈষ্ঠের প্রচণ্ড খরতাপে রুক্ষ প্রকৃতি সজীব হয়ে উঠবে বর্ষার বর্ষণের মৃদঙ্গ-ছোঁয়ায়, এটাই যে সকল বাঙালির চাওয়া।
আষাঢ়ের রিমঝিম বৃষ্টি গ্রীষ্মের ধুলোমলিন জীর্ণতাকে ধুয়ে ফেলে গাঢ় সবুজের সমারোহে প্রকৃতি সাজে পূর্ণতায়। রঙিন হয়ে পুকুর-বিলে ফোটে শাপলা-পদ্ম। বর্ষা ঋতু তার বৈশিষ্ট্যের কারণে স্বতন্ত্র। বর্ষার প্রবল বর্ষণে নির্জনে ভালোবাসার সাধ জাগে, চিত্তচাঞ্চল্য বেড়ে যায়। বর্ষার নতুন জলে স্নান সেরে প্রকৃতির মনও যেন নেচে ওঠে। ফুলে ফুলে শোভিত হয় প্রকৃতি। তাই বর্ষাবিহীন বাংলাদেশ ভাবাই যায় না।
বর্ষা বাঙালি জীবনে নতুন প্রাণসঞ্চারকারী। বৃষ্টিস্নাত কদম ফুলের সৌন্দর্য্য যে দেখেছে, মুগ্ধ নয়নে চেয়ে না থেকে পারেনি। এর বর্ণনায় পল্লীকবি জসীমউদদীন লিখেছেন- ‘বনের ঝিয়ারি কদম্বশাখে নিঝঝুম নিরালায়, / ছোট ছোট রেণু খুলিয়া দেখিছে, অস্ফুট কলিকায়।’
বৃষ্টি হলে গ্রামের নদী নালা পুকুরে জল জমে থৈ থৈ করে। বর্ষা আনন্দ-বেদনার সারথী। সবুজের সমারোহে, মাটিতে নতুন পলির আস্তরণে বর্ষা আনে জীবনেরই বারতা।
উন্নয়নের নামে চলমান প্রাণ-প্রকৃতি ধ্বংসের প্রক্রিয়া বন্ধের দাবি নিয়ে প্রতি বছরের মতো এ বছরও বর্ষা ঋতুকে বরণ করে নিতে ‘বর্ষা উৎসব’ আয়োজন করেছে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
রবিবার (১৫ জুন) আষাঢ়ের প্রথমদিনে বাংলা একাডেমির নজরুল মঞ্চে এ উৎসব অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সকালে সুর-সংগীতে প্রকৃতি-বন্দনার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে উৎসবের কর্মসূচি।
ঢাকা/টিপু