কুমারখালীর নাট্যোৎসবে ‘রক্ত গন্ধা জুলাই’
Published: 11th, February 2025 GMT
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। ‘তারুণ্যের উৎসব’–এর অংশ হিসেবে কুমারখালী পৌর শিশুপার্কের সবুজ চত্বরে এ নাট্যোৎসবের আয়োজন করেছে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি। বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নাট্যোৎসবের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মো. তৌফিকুর রহমান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক কে এম আলমের পরিচালনায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন উপজেলা শাখার আহ্বায়ক আব্দুর রহমান ও সদস্যসচিব আসাদুজ্জামান আলী।
উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো.
তিনি আরও বলেন, সুস্থ থাকতে হলে দুশ্চিন্তামুক্ত থাকতে হবে। তরুণদের আগামী বাংলাদেশ গড়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। সে জন্য তিন দিনব্যাপী নাট্যোৎসব ও গ্রামীণ মেলার আয়োজন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, তারুণ্যের উৎসব এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে মঙ্গলবার সন্ধায় মঞ্চস্থ হয় ‘রক্ত গন্ধা জুলাই’। এদিন রাতেই রয়েছে সামাজিক নাটক ‘এ পৃথিবী টাকার গোলাম’। এ ছাড়া দ্বিতীয় দিন বুধবার একই মঞ্চে ‘কোহিনূর’ মঞ্চস্থ হবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে রয়েছে ‘সুখের সংসার’; এ নাটক মঞ্চায়নের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ নাট্যোৎসব।
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’