Prothomalo:
2025-06-16@10:55:44 GMT

বিশ্বের সবচেয়ে বড় মহিষ

Published: 12th, February 2025 GMT

মহিষ এমনিতেই মোটামুটি বিশাল দেহী প্রাণী। তবে কিং কংয়ের কথা আলাদা। অন্য সব মহিষের সঙ্গে আপনি এটিকে মেলাতে পারবেন না। থাইল্যান্ডের একটি খামারে বেড়ে ওঠা তিন বছর বয়সী এই মহিষের উচ্চতা ১৮৫ সেন্টিমিটার (৬ ফুট ৮ ইঞ্চি)!

সাধারণত একটি পূর্ণবয়স্ক মহিষের গড়পড়তা উচ্চতা যা হয়, কিং কংয়ের উচ্চতা তার চেয়ে প্রায় ৫০ সেন্টিমিটার বেশি। গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে কিং কংই এখন বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা মহিষ। গত সোমবার কিং কংকে নিয়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের ওয়েবসাইটে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।

আকারে যত বিশালই হোক, কিং কং কিন্তু দারুণ আদুরে। মহিষটির জন্ম ২০২১ সালের ১ এপ্রিল, নিনলানি ফার্ম নামে থাইল্যান্ডের একটি খামারে। জন্মের সময়ই সেটি অন্যান্য মহিষ শাবকের চেয়ে আকারে বড় ছিল। এ কারণে খামারের মালিক নাম রাখেন কিং কং।

ওই খামারে কাজ করেন চেরপাত্ত উত্তি। এই নারী বলেন, ‘প্রথম থেকেই বোঝা যাচ্ছিল এটির (কিং কং) উচ্চতা অন্য রকম হবে। ওর বয়স মাত্র তিন বছর এবং তখনই আকারে অনেক বড়। তবে ও খুব বাধ্য; মানুষের চারপাশে খেলতে, মাটিতে লাফালাফি করতে এবং দৌড়াতে ভালোবাসে।’

কিং কং খুবই বন্ধুসুলভ আচরণ করে জানিয়ে চেরপাত্ত আরও বলেন, ‘কিং কং থাকাতে মনে হয় যেন আমাদের খামারে বিশাল আর শক্তিশালী একটি কুকুরছানা রয়েছে।’

কিং কংয়ের জন্য প্রতিদিন ৩৫ কেজি খাবারের প্রয়োজন হয়। মহিষটি খড় এবং ভুট্টা খেতে পছন্দ করে। আর ভালোবেসে খায় কলা।

চেরপাত্ত বলেন, ‘কিং কংকে কিং কং বানাতে যা যা করতে হয়, তার সবকিছু করতে আমি পছন্দ করি। ও অনন্য। সবাই ওকে পছন্দ করে।’

আকারে সবচেয়ে উঁচু মহিষের স্বীকৃতি পাওয়ায় খামারের প্রত্যেকে কিং কংকে নিয়ে গর্বিত। তাঁদের দাবি, এই প্রথম কোনো মহিষ এ ধরনের রেকর্ড গড়েছে।

নিনলানি ফার্মে মহিষের পাশাপাশি ঘোড়াও পালন করা হয়। মূলত ঘোড়ার খামার হিসেবে এটির যাত্রা শুরু হয়েছিল। কিন্তু এখন মহিষ উৎপাদনে বেশি জোর দেওয়া হচ্ছে।

থাইল্যান্ডের ইতিহাস ও সংস্কৃতিতে মহিষ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীনকাল থেকে সেখানে কৃষিকাজে এবং পণ্য পরিবহনে মহিষ বড় অবদান রেখে আসছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আশিরের গবেষণাগারে বিএনপি নেতা রিজভী, বললেন, তারেক রহমান পাঠিয়েছেন

ড্রোন ও বিমানের ছয় শতাধিক মডেল তৈরি করে আলোচনায় আসা চট্টগ্রামের বাঁশখালীর তরুণ মো. আশির উদ্দীনের গবেষণাগার পরিদর্শন করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। আজ সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ পুঁইছড়ি গ্রামে আশিরের গবেষণাগার পরিদর্শনে যান তিনি।

পরিদর্শনকালে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদ পতনের মূল কারিগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আমরা এখানে এসেছি। তারেক রহমান লন্ডন থেকে আশির উদ্দীনের ড্রোন প্রযুক্তির ভিডিও দেখে অনুপ্রাণিত হয়ে আমাদের পাঠিয়েছেন এই প্রতিভাকে মূল্যায়ন করার জন্য।’

রিজভী আরও বলেন, ‘সারা দেশে কেউ বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে, কেউ সংগীতে, কেউ শিল্পী হিসেবে নানাভাবে প্রতিভার ছাপ রাখছে। আমরা খোঁজখবর নিয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করি। তারা যেন উন্নতি করতে পারে, সেটাই মূল লক্ষ্য। প্রত্যন্ত অঞ্চলের একটি প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আমরা এসেছি। আশির উদ্দীনের মতো প্রতিভাবান তরুণেরা আগামী দিনের বাংলাদেশকে গড়ে তুলবে।’

পরিদর্শনকালে রুহুল কবির রিজভীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ‘আমরা বিএনপি পরিবার’–এর আহ্বায়ক আতিকুর রহমান, সদস্যসচিব মোকছেদুল মোমিন; বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ইদ্রিচ মিয়া, সদস্যসচিব হেলাল উদ্দীন প্রমুখ।

আশির উদ্দীন সরকারি পলিটেকনিক কলেজ থেকে ডিপ্লোমা পাস করেন। গ্রামে তাঁর ‘এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ল্যাব’ নামের ১৫ বর্গফুট আয়তনের একটি ল্যাব আছে। এলাকাবাসীর কাছে তিনি ‘খুদে বিজ্ঞানী’ ও ‘বিমানবিজ্ঞানী’ নামে পরিচিত। ২০১৬ সালে শুরু করে ড্রোন ও বিমানের ছয় শতাধিক মডেল তৈরি করেন তিনি। এরই মধ্যে তাঁকে সম্মানিত করেছে সামরিক বাহিনী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ