গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ সন্দেহে আটক ব্যক্তিকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় এক ইউপি সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টুঙ্গিপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, গতকাল বিকেলে উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া বাজার থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার বিজয় বাড়ৈ (৫৫) ডুমুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও লেবুতলা গ্রামের বিমল বাড়ৈর ছেলে।

ওসি মো.

খোরশেদ আলম বলেন, ‘‘আওয়ামী লীগ কর্মীকে ছিনিয়ে নিতে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় সম্পৃক্ততা থাকায় ইউপি সদস্য বিজয় বাড়ৈকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’’

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়া খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনের আওয়ামী লীগের ডাকা কর্মসূচির লিফলেট বিতরণ করছিলেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লিফলেট বিতরণ বন্ধ করতে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের বাকবিতণ্ডা বাধে। সেখান থেকে আওয়ামী লীগ কর্মী সন্দেহে সাফায়েত গাজী নামের এক ব্যক্তিকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছিল পুলিশ। এ সময় পুলিশের গাড়ি আটকে ভাঙচুর করে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এ ঘটনায় ৩ ফেব্রুয়ারি ১৭১ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ৩৫০ জনকে আসামি করে টুঙ্গিপাড়া থানায় এসআই রাব্বি মোরসালিন একটি মামলা করেন।

ঢাকা/বাদল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ