শহীদ রিজভী স্মরণে ইবিতে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
Published: 12th, February 2025 GMT
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ মাহমুদুল হাসান রিজভী স্মরণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নে ইবি সংসদের উদ্যোগে এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। পরে সেখানে উন্মুক্ত কুইজ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এ প্রদর্শনীতে প্রাচীন বাংলার জনপদ, ব্রিটিশ আমলের বাংলার ইতিহাস, ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১-এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২৪-এর জুলাই আন্দোলনের আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে।
এর আগে, আলোকচিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন ইবি উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড.
এছাড়া সংগঠনটির সভাপতি মাহমুদুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক নুর আলম, সহ-সভাপতি ওবাইদুর রহমান আনাস, সাদিয়া মাহমুদ মিমসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
আলোকচিত্র পরিদর্শন শেষে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এয়াকুব আলী বলেন, “ছাত্র ইউনিয়ন চমৎকার এক আয়োজন করেছে। যেখানে তারা আকর্ষণীয় ও দুর্লভ কিছু ছবি প্রদর্শন করেছে। সেখানে আমি ৪৭ এর পূর্বেরও কিছু আলোকচিত্র দেখেছি। পরে ৫২ ভাষা আন্দোলন, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের ঘোষণা ও স্বাধীনতা আন্দোলন এবং সর্বশেষ ২৪ এর জুলাই বিপ্লবের যে ছবিগুলো আনা হয়েছে, সেসব খুবই আকর্ষণীয়।”
তিনি বলেন, “তারা ৯০ এর স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনের চিত্রগুলো হয়তো সংগ্রহে আনতে পারেনি। জুলাই বিপ্লবের বেশ কয়েকটা ছবি আমি দেখেছি, সেগুলো খুবই মর্মান্তিক। আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে যে ফ্যাসিস্ট কায়েম হয়েছিল, ছাত্র-জনতার উপর যে অকথ্য নির্যাতন করেছিল সেই অত্যাচারের ছবিগুলো এখানে স্থান পেয়েছে।”
তিনি আরো বলেন, “তাদের বেশ কয়েকটি ইভেন্ট এখনো বাকি আছে। তারপরেও আমি বলবো তাদের এ উদ্যোগটি ব্যতিক্রম এবং একটি মহৎ উদ্যোগ। ভবিষ্যতে আরো বৃহত্তরভাবে তথ্যবহুল ও গোছালো আলোকচিত্র প্রদর্শন করতে পারে, সেই প্রত্যাশা রাখি।”
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান মাহমুদুল হাসান রিজভী। তিনি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ইউনিয়নের মৌলভী তোফাজ্জল হোসেনের বাড়ির জামাল উদ্দিনের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের উত্তরা থানা সংসদের সদস্য ছিলেন।
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডনে ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠককে স্বাগত জানাল জেএসডি
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকের আলোচনা ও ঐকমত্যের সূচনাকে স্বাগত জানিয়েছে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি)। দলটি বলেছে, আমরা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, জনগণ শুধু কথায় নয়, বাস্তবে সংস্কার ও বিচারের দৃশ্যমান অগ্রগতির পদক্ষেপ দেখতে চায়।
শুক্রবার জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তারা বলেন, এই উচ্চপর্যায়ের সংলাপ দেশে রাজনৈতিক সমঝোতা ও জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে গণঅভ্যুত্থানের কাঙ্ক্ষিত অভিপ্রায় অনুযায়ী রাষ্ট্র সংস্কার, শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর এবং গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা প্রতিষ্ঠার পথে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
বিবৃতিতে নেতারা বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের বৈঠক ও বিবৃতিতে আগামী বছরের পবিত্র রমজানের আগেই একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের সম্ভাবনার ওপর গুরুত্বারোপ এবং তার পূর্বশর্ত হিসেবে কাঙ্ক্ষিত সংস্কার ও ফ্যাসিস্ট সরকারের বিচারের প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি অর্জনের ঘোষিত প্রত্যয়ে রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণমানুষের রক্তস্নাত গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম দাবি- গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাঠামোগত মৌলিক সংস্কার এবং গণহত্যাকারী ফ্যাসিবাদী শক্তির বিচারের ব্যবস্থা। এই বিষয় দুটির দৃশ্যমান অগ্রগতিই কেবল একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ভিত্তি রচনা করতে পারে।
রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি সমাজের শ্রমজীবী, কর্মজীবী ও পেশাজীবীদের মতামত, আকাঙ্ক্ষা ও অংশগ্রহণে রাষ্ট্রীয় রাজনীতির মৌলিক সংস্কারের লক্ষ্যে দ্রুত ‘জাতীয় সনদ’ প্রণয়নের আহ্বান জানায় জেএসডি।