বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির নতুন কমিটির শপথ গ্রহণ
Published: 12th, February 2025 GMT
বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির নতুন কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদু, সহ-সভাপতি (জেনারেল) আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও সহ-সভাপতি (এসোসিয়েট) সাঈদ আহম্মেদ স্বপনসহ ১৫ জন নির্বাচিত সকল সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ ১ নং গেইট সংলগ্ন হোসিয়ারি সমিতির অফিসে বেয়ারা নির্বাচনের বিজয়ীদের শপথ বাক্য পাঠ করান নিবাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম সানি এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য মো.
শপথ বাক্যের মাধ্যমে সভাপতি বদিউজ্জামান বদু ও দুই সহ-সভাপতিসহ ১৫জন পরিচালক হোসিয়ারি সমিতির (২০২৫ - ২০২৭) সাল পর্যন্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
শপথ গ্রহণে জেনারেল গ্রুপে পরিচালকরা হলেন আব্দুল হাই , মিজানুর রহমান, পাড়ভেজ মল্লিক, হাজী মো.শাহিন হোসেন, আতাউর রহমান, আলহাজ্ব মনির হোসেন, দুলাল মল্লিক, ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন , মাসুদুর রহমান, বৈদ্দনাথ পোদ্দার এছাড়া এসোসিয়েট গ্রুপে সাইফুল ইসলাম হিরু শেখ, নাছির শেখ, আব্দুল সোবহান তালুকদার, বিল্লাল হোসেন, নাছির আহম্মেদ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ রহণ
এছাড়াও পড়ুন:
সবাই ভেবেছিলেন কিশোরী ডুবে গেছে, ১০ দিন পর ফোন করে জানাল সে গাজীপুরে আছে
১০ দিন আগে কুষ্টিয়ার কুমারখালীর মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল করতে গিয়েছিল কিশোরী সোহানা খাতুন। বাড়িতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল নদীতে অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান পায়নি। তবে গত বুধবার রাতে মাকে ফোন করেছে সোহানা; জানিয়েছে সে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।
নিখোঁজ হওয়া কিশোরীর নাম সোহানা খাতুন। তার বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বাঁশগ্রাম কারিগর পাড়ায়। তার বাবা গোলাম মওলা ও মা শিরিনা খাতুন।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ১৯ জুলাই দুপুরে বাড়ির পাশের মরা কালিগঙ্গা নদীতে গোসল ও কাপড় ধুতে গিয়েছিল সোহানা। দীর্ঘ সময়েও না ফেরায় তার মা নদীর ধারে যান; দেখেন, সোহানার কাপড় পড়ে আছে। এরপর স্বজন ও এলাকাবাসী তাকে খুঁজতে শুরু করেন। খবর পেয়ে ওই রাতে ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নদীতে উদ্ধার অভিযান চালায়। পরদিন খুলনা ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ১২ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েও তার সন্ধান না পেয়ে অভিযান স্থগিত করে। ২১ জুলাই এক কবিরাজ এনে নদীতে খোঁজার চেষ্টাও করেন সোহানার বাবা–মা।
এমন অবস্থায় বুধবার রাতে হঠাৎ সোহানা তার মায়ের ফোনে কল দিয়ে জানায়, সে ঢাকার গাজীপুরে তার প্রাক্তন স্বামীর কাছে রয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান সোহানার বাবা গোলাম মওলা। তিনি বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম, মেয়ে নদীতে ডুবে গেছে। সবাই মিলে খোঁজাখুঁজি করেছি। এমনকি কবিরাজও এনেছিলাম। কিন্তু হঠাৎ বুধবার আমার স্ত্রীকে ফোন দিয়ে জানায়, সে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে। আমরা বিষয়টি গতকাল রাতে পুলিশকে জানিয়েছি।’ বিষয়টি বুঝতে না পেরে সবাইকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তিনি ক্ষমা চান।
স্থানীয় লোকজন জানান, প্রায় দুই বছর আগে খালাতো ভাই কুতুব উদ্দিনের সঙ্গে পালিয়ে যায় সোহানা এবং দুজন বিয়ে করে। তবে বনিবনা না হওয়ায় তিন মাস আগে সোহানা তাকে তালাক দিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসে। নদীতে নিখোঁজ হওয়ার ‘নাটক’ করে সে পালিয়ে গেছে।
এ বিষয়ে কুমারখালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিরুল ইসলাম বলেন, শুরুতে পরিবারের লোকজন জানিয়েছিল, নদীতে গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছে সোহানা। গতকাল আবার তার বাবা জানিয়েছে, মেয়ে গাজীপুরে প্রাক্তন স্বামীর কাছে আছে।