বাংলাদেশ হোসিয়ারি সমিতির নতুন কমিটির সভাপতি বদিউজ্জামান বদু, সহ-সভাপতি (জেনারেল) আব্দুস সবুর খান সেন্টু ও সহ-সভাপতি (এসোসিয়েট) সাঈদ আহম্মেদ স্বপনসহ ১৫ জন নির্বাচিত সকল সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জ ১ নং গেইট সংলগ্ন হোসিয়ারি সমিতির অফিসে বেয়ারা নির্বাচনের বিজয়ীদের শপথ বাক্য পাঠ করান নিবাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান আনিসুল ইসলাম সানি এ সময় উপস্থিত ছিলেন বোর্ডের সদস্য মো.

জাকারিয়া ওয়াহিদ ও কৃষ্ণ কুমার সাহা, আপীল বোর্ডের চেয়ারম্যান জি এম হায়দার আলী, সদস্য মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. শওকত আলী।

শপথ বাক্যের মাধ্যমে সভাপতি বদিউজ্জামান বদু ও দুই সহ-সভাপতিসহ ১৫জন পরিচালক হোসিয়ারি সমিতির (২০২৫ - ২০২৭) সাল পর্যন্ত দায়িত্ব গ্রহণ করেন। 

শপথ গ্রহণে জেনারেল গ্রুপে পরিচালকরা হলেন আব্দুল হাই , মিজানুর রহমান,  পাড়ভেজ মল্লিক, হাজী মো.শাহিন হোসেন,  আতাউর রহমান,  আলহাজ্ব মনির হোসেন,  দুলাল মল্লিক,  ফতেহ মোহাম্মদ রেজা রিপন , মাসুদুর রহমান,  বৈদ্দনাথ পোদ্দার এছাড়া এসোসিয়েট গ্রুপে সাইফুল ইসলাম হিরু শেখ, নাছির শেখ, আব্দুল সোবহান তালুকদার, বিল্লাল হোসেন, নাছির আহম্মেদ।
 

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ গ রহণ

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলায় কথা বললেই বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ

বাংলায় কথা বললেই পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দিচ্ছে বিএসএফ ও দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকার। আজ সোমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে সীমান্ত সুরক্ষা ও পুশ ব্যাক বিষয়ে বিধায়কদের আনা প্রশ্নের উত্তরে একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের ভগবানগোলার বাসিন্দা মেহবুব শেখকে (৩৬) ঠেলে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছে বিএসএফের উত্তরবঙ্গের শাখা। ওই ব্যক্তি মহারাষ্ট্রের ঠাণেতে রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। গত ১১ জুন তাকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ। 

মেহবুবের ভাই মুজিবুর রহমান জানান, তার বড় ভাইকে গত শুক্রবার ভোর রাতে শিলিগুড়ির বিএসএফ বাংলাদেশে ‘পুশ ব্যাক’ করেছে। তিনি আরও জানান, পশ্চিমবঙ্গ পরিযায়ী শ্রমিক কল্যাণ পর্যদের সভাপতি সামিরুল ইসলাম ওই শ্রমিকের দুর্দশার বিষয়টি জানার পর মহারাষ্ট্র পুলিশের যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় নথিপত্র পাঠান। তার মধ্যে মেহবুবের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত বিবরণ ও পঞ্চায়েতের সার্টিফিকেট রয়েছে। তবে মহারাষ্ট্র পুলিশ ওই সব নথিপত্রকে গুরুত্ব দেয়নি। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের পক্ষেও মহারাষ্ট্র পুলিশকে মেহবুবের ভারতীয় নাগরিকত্ব নিশ্চিত করে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছিল ঠাণেতে। তাতেও কাজ হয়নি।

মেহবুবের ভাই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তারা মুম্বাইয়ের ঠাণেতে গেলে মহারাষ্ট্র পুলিশ বলেছে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী সন্দেহে আটক মেহবুবসহ আরও কয়েকজনকে তারা শিলগুড়িতে বিএসএফের কাছে হস্তান্তর করে। শিলিগুড়ির বিএসএফের ইউনিটে তাদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। পরে তারা জানতে পারেন, গত শুক্রবার ভোরে মেহবুবসহ আটক সবাইকে ‘পুশ ব্যাক’ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে বিএসএফ এবং মহারাষ্ট্র পুলিশ এই বিষয়ে কিছু জানায়নি। গত এক দেড় মাস ধরে বিএসএফের পুশ ব্যাক চললেও এই বাহিনী সরকারিভাবে কিছু জানাচ্ছে না। অন্যদিকে, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি একাধিকবার সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেছে, বিএসএফ এমন অনেককে ঠেলে পাঠাচ্ছে যাদের কাছে ভারতীয় হিসেবে নথিপত্র আছে। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ