দক্তি, মাকু, শানার তালে মণিপুরি তাঁত বুনন দীক্ষা
Published: 13th, February 2025 GMT
হাতে-কলমে ঐতিহ্যবাহী মণিপুরি তাঁতশিল্পের প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারীরা। আত্মকর্মসংস্থানের ক্ষেত্র বাড়ানোর পাশাপাশি আদিবাসী জনগোষ্ঠীগুলোর মাঝে ঐতিহ্য, সংস্কৃতি ও শিল্পের দীক্ষা বিনিময়ের মাধ্যমে সেগুলো সমৃদ্ধ করতেই এমন আয়োজন।
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠী অধ্যুষিত ডলুবাড়ি এলাকায় ১০ দিনব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে মঙ্গলবার। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ফাউন্ডেশনের (এসএমই) আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে আদিবাসী জনগোষ্ঠীর নারীদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে।
ডলুবাড়ি গিয়ে দেখা যায়, তাঁতযন্ত্রের বিভিন্ন অংশ ব্যবহার করে তাঁতশিল্প পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন বেশ কয়েকজন ত্রিপুরা নারী। এদের কয়েকজন বুননের জন্য সুতা বাছাই করছেন, আরেক পক্ষ হাত ও চরকির সাহায্যে রিলে সেই সুতা জড়িয়ে নিচ্ছেন। নারীদের একটি দল তাঁতযন্ত্রে সেই সুতা স্থাপন করা শিখছেন। আর যন্ত্রের সামনে বসা কয়েকজন নারীকে শাড়ি, চাদর, গামছা ও মাফলার তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
প্রশিক্ষণে অংশ নেওয়া বিনতা দেববর্মা জানান, উৎপাদনশীল কোনো কাজের প্রশিক্ষণ তাঁর ছিল না। এই প্রশিক্ষণে এসে বুননের সুতা গোছানো, তাঁতে সুতা বসানো এবং শাড়ি বুননের কৌশল অনেকটাই রপ্ত করে ফেলেছেন। দক্ষতা বাড়তে আরও কয়েক দিন সময় লাগবে। সেখানে উপস্থিত নারীরা জানান, তাদের জনগোষ্ঠীর বেশ কয়েকজন নারী তাঁতের ছোট ছোট কাজ করতে পারেন। তবে শাড়ি তৈরি বড় কাজ। তাদের গ্রামের ৩০ জন নারী শাড়ি বুনন শিখছেন। ঘরে বসে অর্থ উপার্জনের পথ খুলবে এই কাজ শেখা সম্পন্ন হলে।
এসএমইর প্রশিক্ষক সালেহা বেগম জানান, হস্তশিল্পের কাজ শেখাচ্ছেন তারা। এই নারীদের কয়েকজন তাঁতের টুকটাক কাজ পারতেন। এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের আত্মবিশ্বাসী কর্মগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে তুলতে চান তারা।
এসএমই ফাউন্ডেশনের কো-অর্ডিনেটর রবিউল ইসলাম রাসেল জানান, এই প্রশিক্ষণে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর নারীরা তাঁতযন্ত্র ব্যবহার করে মণিপুরি সম্প্রদায়ের ঐতিবাহী বস্ত্র ও শিল্প পণ্য তৈরি করা শিখছেন। মণিপুরি শাড়ি, ওড়না, চাদর ও মাফলারের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে একটু চেষ্টা করলেই কাজ পেয়ে যাবে। এটাই এই প্রতিষ্ঠানের সার্থকতা।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: জনগ ষ ঠ র
এছাড়াও পড়ুন:
পুঁজিবাজারে মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৫০২ কোটি টাকা
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (২৭ থেকে ৩১ জুলাই) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেনে শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন কমেছে। তবে উভয় পুঁজিবাজারে বিদায়ী সপ্তাহে বাজার মূলধন বেড়েছে ৮ হাজার ৫০২ কোটি ৬১ লাখ টাকা।
শনিবার (২ আগস্ট) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫১.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৪৪৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ২৪.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১১৪ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক (২.০৮) পয়েন্ট বা ০.১৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ১৭০ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) (১৯.৮৯) পয়েন্ট বা ২ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৯৭৬ পয়েন্টে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৭ কোটি ১ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২১৬ কোটি ৩৯ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ১৯৩ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১০২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৪০টির, দর কমেছে ২২২টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টির। তবে লেনদেন হয়নি ২০টির।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৮৮.৫৯ পয়েন্ট বা ১.২৫ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ২০২ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.৭৩ শতাংশ বেড়ে ১৩ হাজার ৪৮১ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ১.৪২ শতাংশ বেড়ে ৯ হাজার ৩২৫ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ০.৩০ শতাংশ বেড়ে ৯৪৮ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.১৮ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৫৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ২৬ হাজার ২৩ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি ৫১ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২৮৬ কোটি ২২ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৮১ কোটি ৮১ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৯১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন কমেছে ৯ কোটি ৫৭ লাখ টাকা।
বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ৩৩২টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৩৪টির, দর কমেছে ১৮০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির শেয়ার ও ইউনিট দর।
ঢাকা/এনটি/ইভা