Risingbd:
2025-05-01@15:51:10 GMT

১৬ প্রেক্ষাগৃহে ‘ময়না’

Published: 13th, February 2025 GMT

১৬ প্রেক্ষাগৃহে ‘ময়না’

ভালোবাসা দিবসে দেশের ১৬ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে ‘ময়না’ সিনেমা। এর মাধ্যমে বড় পর্দায় অভিষেক হতে যাচ্ছে নবাগত নায়িকা রাজ রিপার। তার বিপরীতে রয়েছেন চার নায়ক— আমান রেজা, কায়েজ আরজু, আফফান মিতুল ও আরেফিন জিলানী।

অভিষেক সিনেমা নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত রাজ রিপা। তিনি বলেন, “অবশেষে আমার কাঙ্ক্ষিত স্বপ্নপূরণ হচ্ছে, এতে আমি খুশি। দিনটি খুব স্পেশাল। আর এই স্পেশাল দিনে দর্শকদের কাছে ‘ময়না’ একটি স্পেশাল উপহার হবে এমনটাই আশা করছি। সবাইকে অনুরোধ করব, আমার অভিনীত প্রথম সিনেমা দর্শক হলে গিয়ে উপভোগ করবেন।”

অভিনেত্রী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মোংলা বাগেরহাট থেকে ঢাকায় পাড়ি জমান রাজ রিপা। জাজ মাল্টিমিডিয়ার ‘দহন’ সিনেমায় ছোট্ট একটি চরিত্রে অভিনয় করার পর পরিচালকদের নজরে আসেন এই অভিনেত্রী। পরে ‘মুক্তি’ সিনেমায় প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। কিন্তু ‘মুক্তি’ সিনেমার আগেই মুক্তি পাচ্ছে ‘ময়না’।

আরো পড়ুন:

পৈতৃক সম্পত্তি বণ্টন আইন সংস্কার চান দিতি-কন্যা

আপনি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে হত্যা করার চেষ্টা করছেন: জয়া

মঞ্জুরুল ইসলাম মেঘ পরিচালিত সিনেমাটির নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছেন রাজ রিপা। ‘ময়না’ একটি নারীকেন্দ্রিক গল্পের সিনেমা। চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সিইও মোহাম্মদ আলিম উল্লাহ খোকনের গল্পে সিনেমাটির চিত্রনাট্য, সংলাপ পরিচালনা করেছেন পরিচালক।

এতে একটি মেয়ের জীবন-সংগ্রামের গল্প দেখতে পাবেন দর্শক। সিনেমাটিতে রিপা ছাড়া অভিনয় করেছেন মোমেনা চৌধুরী, নাদের চৌধুরী, সুব্রত, সুচনা, খলিলুর রহমান কাদরী, আনোয়ার, সীমান্ত, জারা, তাহমিনা মোনা প্রমুখ। বিশেষ চরিত্রে রয়েছেন নায়ক শিশির সরদার, নায়িকা এঞ্জেলা জলি, আপন, শিশুশিল্পী জান্নাতুল ভোর।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র পর চ ল

এছাড়াও পড়ুন:

বাসাবাড়িতে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশু নিয়োগ বন্ধে আইন করার সুপারিশ

বাসাবাড়ির কাজে তথা গৃহকর্মে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ বন্ধে কঠোর আইন করার পাশাপাশি কার্যকরভাবে তা বাস্তবায়নের সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন।

বাংলাদেশ জাতীয় শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী, ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের কাজ করানো হলে তা শিশুশ্রমের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য করা হয়। এ ছাড়া গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণনীতি ২০১৫-তে বলা হয়েছে, ১৪ বছরের নিচে কোনো শিশুকে গৃহকর্মে নিয়োগ করা যাবে না।

শ্রম সংস্কার কমিশন এ প্রসঙ্গে বলেছে, গৃহকর্মে ১৪ বছরের কম বয়সী শিশুদের নিয়োগ বন্ধে কঠোর আইন করতে হবে। একই সঙ্গে এই আইনের কার্যকর বাস্তবায়নেও গুরুত্ব দিতে হবে সরকারকে।

সম্প্রতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে শ্রম সংস্কার কমিশন যে প্রতিবেদন জমা দিয়েছে, সেখানে এসব সুপারিশ তুলে ধরা হয়।

কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গৃহশ্রমিকদের বাংলাদেশ শ্রম আইনে অন্তর্ভুক্ত করে শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা দিতে হবে। এর আগপর্যন্ত নিশ্চিত করতে হবে ‘গৃহকর্মীর কল্যাণ ও সুরক্ষা নীতিমালা–২০১৫’–এর যথাযথ বাস্তবায়ন।

নিয়োগের ক্ষেত্রে আবাসিক, অনাবাসিক, খণ্ডকালীন বা স্থায়ী—সব ধরনের গৃহশ্রমিকদের জন্য কর্মঘণ্টা, বেতন, ছুটি, থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা এবং অন্যান্য সুবিধা উল্লেখ করে একটি স্বচ্ছ ও নির্দিষ্ট বাধ্যতামূলক কর্মসংস্থান চুক্তি প্রণয়নের সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে। পাশাপাশি নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে শ্রমিকের কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি কার বরাবর, কোন স্থানে এবং কীভাবে দায়ের করবেন, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনাসহ ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।

গৃহশ্রমিকদের কাজের দক্ষতা বৃদ্ধি ও নতুন দক্ষতা অর্জনের জন্য সরকারি উদ্যোগে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদনে বলা হয়, এর মাধ্যমে গৃহকর্মীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে। এ ছাড়া গৃহকর্মীদের সংগঠন বা ট্রেড ইউনিয়ন করার অধিকার প্রদানেরও সুপারিশ করেছে কমিশন।

পারলারের কর্মীদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে নেওয়ার পরামর্শ

এদিকে বিউটি পারলার খাতের শ্রমিকদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেছে শ্রম সংস্কার কমিশন। একই সঙ্গে এ খাতের কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা ও তাঁদের সন্তানদের জন্য শিশু দিবাযত্নকেন্দ্র বা ডে কেয়ার সুবিধা পাওয়ার অধিকার নিশ্চিতের কথা বলেছে কমিশন।

অর্থনৈতিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে এ খাতে ন্যূনতম মজুরি বোর্ড গঠনের সুপারিশও করেছে কমিশন। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মীদের কাজের মান ও ঝুঁকি বিবেচনা করে সুনির্দিষ্ট মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করা এবং তাঁদের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার আলোকে পদোন্নতি কাঠামো তৈরি করতে হবে।

দেশের সব বিউটি পারলার শ্রমিকদের পেশাগত, অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদা সুরক্ষার জন্য শ্রম আইন অনুযায়ী তাঁদের স্বীকৃতি দেওয়া, অধিকার ও কল্যাণ নিশ্চিত করার সুপারিশ করা হয়েছে কমিশনের প্রতিবেদনে।

বিউটি পারলারের কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তাঁদের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যক্তিগত সুরক্ষা সরঞ্জাম প্রদান করাসহ সুনির্দিষ্ট নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রণয়নের কথাও বলা হয়েছে প্রতিবেদনে।

বিউটি পারলারের কর্মীদের বড় একটি অংশ রাতে বাসায় ফেরে। কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কর্মক্ষেত্রে ও রাত্রিকালীন বাড়ি ফেরার সময় তাঁদের হয়রানি প্রতিরোধ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিতে হবে। এসব শ্রমিকের সামাজিক মর্যাদা, সুরক্ষা ও নিরাপত্তার স্বার্থে কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ