রূপগঞ্জে ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন মোটরযানকে ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা
Published: 13th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যানজট নিরসন, লাইসেন্সবিহীন বেপরোয়া বাইকারদের দৌড়াত্ম্য ও ফিটনেসবিহীন মোটরযান ঠেকাতে সড়ক পরিবহন আইনে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে বিভিন্ন মোটরযানকে ২৩টি মামলায় ৪৩ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রয়ারি) উপজেলার দড়িকান্দি-ইছাখালী সেতুর পশ্চিম পাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল আলম এবং পূর্বাচল রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দুর রহমান শাহেল।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উবায়দুর রহমান শাহেল বলেন, দীর্ঘ দিন ধরেই রূপগঞ্জে ফিটনেস ও লাইসেন্সবিহীন যানবাহন অবাধে চলাচল করছে। পাশাপাশি বেপরোয়া বাইক চালিয়ে জনমনে আতঙ্ক তৈরী করে আসছিলো কিশোরগ্যাং সদস্যরা।
আমরা সড়ক নিরাপত্তা, যানজটমুক্ত ও যানবাহনে শৃঙ্খলা রক্ষায় অবৈধভাবে চলাচলরত সকল যানবাহনগুলোকে আইনের আওতায় আনার ধারাবাহিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: র পগঞ জ ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫