নেতাকর্মীদের নিয়ে বইমেলায় জামায়াত আমির
Published: 13th, February 2025 GMT
দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে অমর একুশে বইমেলা পরিদর্শন করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে দলের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতাদের নিয়ে তিনি বইমেলা ঘুরে দেখেন।
মুক্তিযুদ্ধের পর এই প্রথম জামায়াতের কোনো শীর্ষ নেতা দলীয়ভাবে কর্মসূচি নিয়ে বাংলা একাডেমি আয়োজিত বইমেলা পরিদর্শন করলেন।
আরো পড়ুন:
বইমেলায় হট্টগোল, উপদেষ্টা ফারুকীর কড়া বার্তা
বইমেলায় হট্টগোল: ঘটনা তদন্তে ৭ সদস্যের কমিটি
এর আগে দলটির পক্ষ থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শফিকুর রহমানের বইমেলায় যাওয়ার বিষয়টি জানানো হয়।
সাধারণত ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম দিন দেশের সরকার প্রধান বইমেলার উদ্বোধন করে থাকেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারের মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ছাড়াও রাজনীতিবিদরা উপস্থিত থাকেন।
এর বাইরে বিভিন্ন সময়ে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য কিংবা বড় বড় রাজনীতিবিদদের বইমেলায় যেতে দেখা গেছে। কিন্তু সেটি ব্যক্তিগতভাবে। অর্থাৎ রাজনৈতিকভাবে বা দলীয়ভাবে কর্মসূচি নিয়ে একুশের বইমেলা পরিদর্শনের রেওয়াজ বা নজির নেই বললেই চলে।
তবে সেই প্রথার বাইরে গিয়ে এবারই প্রথম জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান দলীয় নেতাদের নিয়ে একুশে বইমেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করলেন।
স্টল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেন জামায়াত আমির। ৫২, ৭১ ও ২৪ এর আন্দোলনে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বলেন, “এখানে প্রত্যেকটি স্টলেই পাঠকদের উপচেপড়া ভিড়। আজকে এখানে শিশুরাও চলে এসেছে যদিও আজকে শিশুদের জন্য আলাদা দিন নয়।”
তিনি বলেন, “ফেব্রুয়ারি মাসের ১ তারিখ থেকে ২৮ তারিখ পর্যন্ত যে আমেজ শুরু হয় তা থেকে আমরা আমাদের অতীতকে স্মরণ করি। যে জাতি তাদের অতীত ঐতিহ্য কে ধারণ করে সে জাতি সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।”
এ সময় তিনি বইমেলার বাকি সময়টুকু যেন সুষ্ঠুভাবে ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে শেষ হয় সেই আশা ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/সৌরভ/এসবি
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব ল এক ড ম বইম ল বইম ল য়
এছাড়াও পড়ুন:
আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম: আমির খান
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট আমির খানকে নিয়ে রাজকুমার হিরানি নির্মাণ করেন আলোচিত সিনেমা ‘পিকে’। ২০১৪ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায় এটি। মুক্তির পর বক্স অফিসে সুপারডুপার হিট হয়।
এ সিনেমা মুক্তির আগে প্রকাশিত হয় আমিরের পোস্টার। সিনেমাটিতেও নগ্ন আমিরের দেখা মেলে। তারপর দারুণ আলোচনায় উঠে আসেন এই অভিনেতা। সমালোচনাও কম সইতে হয়নি তাকে। এখানেই শেষ নয়, হিন্দু ধর্মের প্রতি কটাক্ষ করার অভিযোগে তীব্র সমালোচনা মুখে পড়েন আমির। ভাঙচুর করা হয় প্রেক্ষাগৃহ।
প্রায় এক যুগ পর এসব বিষয় নিয়ে মুখ খুলেছেন আমির খান। ইন্ডিয়া টিভি চ্যানেলের ‘আপ কি আদালত’ শোয়ে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন আমির। তার ভাষায়— “ধর্ম নয়, ধর্মের নামে যারা প্রতারণা করে ‘পিকে’ সেসব লোকদের সমালোচনা করেছে।”
আরো পড়ুন:
জোড়া লাগল অর্জুন-মালাইকার ভাঙা প্রেম!
অন্তঃসত্ত্বা কিয়ারাকে কী উপহার দিলেন রাম চরণ?
ব্যাখ্যা করে আমির খান বলেন, “তারা ভুল। আমরা কোনো ধর্মের বিরুদ্ধে নই। আমরা সমস্ত ধর্ম ও সমস্ত ধর্মের মানুষদের শ্রদ্ধা করি। যারা ধর্মকে ব্যবহার করে সাধারণ মানুষকে বোকা বানিয়ে টাকা কামায়, তাদের বিষয়ে সচেতন করাই ‘পিকে’ সিনেমার উদ্দেশ্য ছিল। প্রতিটি ধর্মেই এমন লোক পাওয়া যায়।”
‘পিকে’ সিনেমায় পাকিস্তানি এক মুসলিম ছেলেরি প্রেমে পড়ে ভারতীয় হিন্দু ধর্মের অনুসারী এক নারী (আনুশকা শর্মা)। এটাকে ‘লাভ জিহাদ’ বলে অনেকে অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে আমির খান বলেন, “সবসময়ই এটিকে লাভ জিহাদ বলা উচিত নয়। এটি মানবতা। মানবতা ধর্মের উর্ধ্বে।”
গত ৭-৮ বছরে দেশদ্রোহী, হিন্দুবিরোধী হওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হয়েছেন আমির খান। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “আমি গর্বিত আমি একজন মুসলিম। আমি গর্বিত আমি একজন ভারতীয়। দুটোই একসঙ্গে সত্যি হতে পারে।”
ঢাকা/শান্ত