সিলেট-২ (বিশ্বনাথ ও ওসমানীনগর) আসনে জাতীয় পার্টির সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহইয়া চৌধুরীসহ তাঁর চার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে ছাত্র–জনতা। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরার ৩ নম্বর সেক্টরের ২ নম্বর রোডের ১৯ নম্বর বাসা থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটক হওয়া অন্য চারজন হলেন- আনোয়ার হোসেন, মিলন, জনি মিয়া। বাকি একজনের নাম জানা যায়নি।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিএমপির উত্তরা জোনের সহকারী কমিশনার সাদ্দাম হোসাইন। তিনি বলেন, সাবেক সংসদ সদস্য ইয়াহিয়াসহ পাঁচজনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে ছাত্র–জনতা।

এর আগে ১২ নভেম্বর ছাত্র–জনতার ওপর গুলি ছুড়ে হত্যার অভিযোগে দুটি মামলায় ইয়াহইয়া চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই সময় মাসখানেক কারাগার ছিলেন তিনি। আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট কুমারপাড়া এলাকায় ছাত্র-জনতার ওপরে হামলার অভিযোগে গত ২ অক্টোবর কোতোয়ালি থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।

ইয়াহইয়া চৌধুরী ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে সিলেট-২ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আসনটিতে কোনো প্রার্থী দেয়নি। এমপি নির্বাচিত হয়ে তিনি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব করেন। পরে ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ওই আসনটি জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিলেও নির্বাচিত হতে পারেননি ইয়াহইয়া। ওই আসনে এমপি হন গণফোরামের প্রার্থী মোকাব্বির খান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমপ আটক ছ ত র জনত সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে যুবকের মৃত্যু

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে আব্দুল হালিম (৪৫) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারাগুনিয়া সাবস্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল হালিম ভেড়ামারা উপজেলার ষোলদাগ গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে সাবস্টেশনের মধ্যে একটি লাশ পড়ে আছে বলে খবর পেয়ে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন সেখানে যায়। পাওয়ার ট্রান্সফরমার মেশিনের নীচে আর্থিং তার হাতের মুঠোয় ধরে একটি যুবকের লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয় হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে। তার চুরি করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতের হাত ও পায়ে বৈদ্যুতিক শকে পুড়ে যাওয়ার চিহ্ন রয়েছে। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার  দিকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।

দৌলতপুর জোনাল অফিসার এজিএম তৌফিকুর রহমান বাচ্চু বলেন, সাবস্টেশনের চারদিকে দুই স্তরের কাঁটাতার বেড়া ভেদ করে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা। কয়েকটি পাওয়ার ট্রান্সফরমার মেশিনের তার কাটা হয়েছে। তবে কেটে ফেলা তার ও কাটা কোনো যন্ত্র সাবস্টেশনের মধ্যে পড়ে ছিল না।

এজিএম আরও বলেন, আর্থিং কেটে ফেলায় বড় ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা ছিল। যদি গ্রাউন্ডিং বা আর্থিং না থাকে তাহলে পাওয়ার ট্রান্সফরমার বিস্ফোরণ হয়ে যেতে পারে। ফলে একটা বড় দুর্ঘটনা থেকে এলাকাবাসী ও আমাদের এই সমিতির সাবস্টেশন বেঁচে গেছে।

দৌলতপুর থানার ওসি নাজমুল হুদা বলেন, এই চক্রে একাধিক ব্যক্তি ছিল। একজন মারা গেলেও অন্যরা পালিয়ে গেছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ