মানুষ সংস্কার নয়, সংসার বোঝে: সালাহ উদ্দিন আহমদ
Published: 16th, February 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘মানুষ সংস্কারের চেয়ে সংসার বেশি বোঝে। বেশি সংস্কার সংস্কার করে দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়াবেন না। দ্রুত নির্বাচন দিয়ে জনগণের কাছে ক্ষমতা বুঝিয়ে দিন।’
আজ রোববার বিকেলে ফেনী শহরের মিজান ময়দানে বিএনপির জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সালাহ উদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন। জেলা বিএনপির আয়োজিত জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহার।
প্রধান অতিথি সালাহ উদ্দিন আহমদ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশে বলেন, ইউনূস সরকারের মধ্যে হাসিনার দোসররা রয়েছে। তাঁদের বাদ দিতে হবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনের এখতিয়ার আপনাদের নেই। জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন মেনে নেওয়া হবে না। ডিসেম্বরের মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
সালাহ উদ্দিন আহমদ শেখ হাসিনার বিচার দাবি করে বলেন, স্বাধীনতা–পরবর্তী সময়ে শেখ হাসিনা কয়েকবার পালিয়েছেন। হাজার মাইল দূরে বসে আওয়ামী লীগ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করছে। আওয়ামী লীগের ইতিহাস হত্যার ইতিহাস, বাকশালের ইতিহাস, পালানোর ইতিহাস। জনগণের দাবি, আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে। রাজনীতি করতে পারবে কি না, নির্বাচন করতে পারবে কি না, সেটি সময় বলে দেবে। আগে তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এয়াকুব নবী ও আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারীর যৌথ সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবদীন ভিপি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সহসম্পাদক রেহানা আক্তার, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য শাহানা আক্তার প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেটে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে যাওয়া স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
সিলেটের জকিগঞ্জে সহপাঠীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে দশম শ্রেণির এক ছাত্রী (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা প্রথমে দুই শিক্ষার্থীর ছবি ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন বলে এ ঘটনায় করা মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
গত শনিবার সকালে উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের পরিত্যক্ত একটি ইটভাটায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কিশোরী আজ বুধবার সকালে জকিগঞ্জ থানায় মামলা করেছে।
মামলায় আসামি হিসেবে পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তাঁরা হলেন উপজেলার বারহাল ইউনিয়নের নিদনপুর গ্রামের ইমরান আহমদ (২৩), খিলগ্রামের তানজিদ আহমদ (১৮), মাইজগ্রামের শাকের আহমদ (২৪), একই গ্রামের শাকিল আহমদ (২১) ও মনতৈল গ্রামের মুমিন আহমদ (২০)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রী ২৬ জুলাই সকালে বারহাল ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত ইটভাটায় এক সহপাঠীকে নিয়ে বেড়াতে যায়। সেখানে অভিযুক্ত পাঁচ তরুণ গোপনে তাঁদের ছবি ধারণ করেন। পরে ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে স্কুলছাত্রীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন। পরে দুজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এ সময় অভিযুক্ত তরুণেরা দুই শিক্ষার্থীকে বিষয়টি কাউকে জানানো হলে তাঁদের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে বলে ভয় দেখান।
এদিকে ঘটনার তিন দিন পর বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। অন্যদিকে এলাকার একটি পক্ষ বিষয়টি সালিস বৈঠকে মীমাংসার চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে গতকাল মঙ্গলবার রাতে জকিগঞ্জ থানা-পুলিশ ওই স্কুলছাত্রীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠায়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযোগ দিতে বিলম্ব ও বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ছাড়া জকিগঞ্জ ভারত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ায় অভিযুক্ত তরুণেরা অবৈধ পথে সীমান্ত পাড়ি দিতে পারেন বলেও শঙ্কা প্রকাশ করেছেন স্থানীয় লোকজন।
জকিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ভুক্তভোগীকে তার বাড়ি থেকে উদ্ধার করে। আজ সকালে মামলা হওয়ার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু হয়েছে।