মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের দায়িত্বে ফখরুল-আকতারুজ্জামান
Published: 18th, February 2025 GMT
ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমআরএ) নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দৈনিক আমাদের সময়ের রিপোর্টার আক্তারুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।
সোমবার রাতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) অডিটোরিয়ামে নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাতেন বিপ্লব।
নির্বাচনে অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন- সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাংলানিউজ২৪ডটকমের লিড মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রহমতুল্লাহ, সহসভাপতি পদে আমাদের সময়ের মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ জুবায়ের, দপ্তর সম্পাদক পদে বাংলাফ্লোর আবু বকর সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক পদে কালবেলার মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মুজাহিদ), প্রচার সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ আল নোমান, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমকালের ফৌজিয়া ফারিয়া, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক পদে বাংলাদেশ টাইমসের আরেফিন ইমন, সাহিত্য সম্পাদক পদে আমার দেশ পত্রিকার আরমান মুজাহিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমার দেশের রিপোর্টার আশরাফুল আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক বাংলানিউজ২৪ডটকমের সাইমুন মুবিন পল্লব, ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান তালহা, আপ্যায়ন সম্পাদক কালের কান্ঠের আব্দুল হামিদ নির্বাচিত হয়েছেন।
১ নম্বর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কালবেলার এইচ এম মাহিন নির্বাচিত হয়েছেন। অনান্য নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- কালের কন্ঠের মিরাজ উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাজমুল ইসলাম এবং নাগরিক টিভির জিহাদুল ইসলাম।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
বৃষ্টিস্নাত রমনায় সবুজের উল্লাস
রমনা উদ্যানের গাছগুলো বৃষ্টিতে ভিজছে, ভিজছে মাটি ও মাটির ওপরের ঘাসগুলো। বর্ষায় রমনার রূপ হয় দেখার মতো। চারদিকে কেবল সবুজ আর সবুজ। বসন্তের মতো ফুল নেই তো কী হয়েছে? আছে শ্যামল রূপ, আছে অপার স্নিগ্ধতা। বুকভরে ধুলাহীন নিশ্বাস নেওয়ার অবকাশ, প্রকৃতির উদার আমন্ত্রণ।
‘পাগলা হাওয়ার বাদল-দিনে’ ঢাকার রমনা পার্কের গাছের পাতাগুলো এখন আরও সবুজ। টলটলে জলের নয়নাভিরাম ঝিলটা টইটম্বুর। ধুলাময়লাহীন পায়ে চলার পথ। আর গাছের পাতার ফাঁকে রয়েছে অজস্র ফুল। কোনোটা লাল, কোনোটা বেগুনি আবার কোনোটা সাদা। বৃষ্টির মধুর আশকারা পেয়ে রমনা পার্কে এখন সবুজের উল্লাস।
এই পার্কটিকে ঢাকার ফুসফুস বলা হয়। এর যথেষ্ট কারণ আছে অবশ্য। এ রকম প্রগাঢ় নিরেট সবুজ এ শহরে কমই আছে। রমনা তাই ঢাকার জনজীবনের স্পন্দন। এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।
সম্প্রতি ‘বৃষ্টি নেশাভরা’ এক বিকেলে অরুণোদয় ফটক দিয়ে রমনা পার্কে প্রবেশ করলাম। অনেকে শরীরচর্চায় ব্যস্ত। কেউ দল বেঁধে করছেন, কেউ একাকী। কোনো দল ব্যায়াম করে ভোরে, কেউ আবার বিকেলে বা সন্ধ্যায়। আবার অনেকে আছেন দুই বেলাই হাঁটাহাঁটি করেন। হাঁটা সেরে কেউ কেউ লেকের পাশে এসে দুদণ্ড জিরিয়ে নেন। লেকে চলছিল বোট।
বর্ষার ফুলের উৎসব
বর্ষা এলেই রমনা পার্ক যেন রঙের নতুন ভাষা শেখে। আমাদের ঋতুচক্র অনুযায়ী, বসন্ত ও গ্রীষ্মকালেই এ দেশে ফোটে অধিকাংশ ফুল। তবে বর্ষারও নিজস্ব কিছু ফুল আছে, আর গ্রীষ্মের কিছু ফুল টিকে থাকে বর্ষা পর্যন্ত। সেদিন রমনায় গিয়ে এমনই কিছু ফুল চোখে পড়ল—বৃষ্টিভেজা পাতার ফাঁকে তাদের রং যেন আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। মনে হলো, প্রকৃতির এই নিঃশব্দ উৎসবেও কত কথা লুকিয়ে থাকে!
রমনার গোলাপবিথি সেদিন দর্শনার্থীদের সবচেয়ে বেশি মনোযোগ কাড়ছিল। সারি সারি ঝোপে ফুটে আছে হরেক রঙের গোলাপ—লাল, সাদা, হলুদ, কমলা, গাঢ় গোলাপি। বর্ষার ভেজায় যেন আরও সতেজ, আরও তাজা হয়ে উঠেছে প্রতিটি পাপড়ি। নরম আলো আর বৃষ্টিজলে ভেজা ফুলগুলোর সৌন্দর্য মোহিত করেছে পথচলার মানুষকে। কেউ থেমে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন, কেউ ভিডিও করছেন—মুঠোফোনে বন্দী হচ্ছে বর্ষার রঙিন রমনা।
এটি কেবল একটি পার্ক নয়, বরং নাগরিক জীবনের পরম আনন্দ-আশ্রয়।