ঢাকায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে মাল্টিমিডিয়া বিভাগে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এমআরএ) নতুন কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে সভাপতি পদে দৈনিক যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার ফখরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দৈনিক আমাদের সময়ের রিপোর্টার আক্তারুজ্জামান নির্বাচিত হয়েছেন।

সোমবার রাতে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (ক্র্যাব) অডিটোরিয়ামে নির্বাচন শেষে ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার বাতেন বিপ্লব।  

নির্বাচনে অন্যান্য বিজয়ীদের মধ্যে রয়েছেন- সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বাংলানিউজ২৪ডটকমের লিড মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রহমতুল্লাহ, সহসভাপতি পদে আমাদের সময়ের মিরাজুল ইসলাম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ জুবায়ের, দপ্তর সম্পাদক পদে বাংলাফ্লোর আবু বকর সিদ্দিক, অর্থ সম্পাদক পদে কালবেলার মুজাহিদুল ইসলাম (অন্তু মুজাহিদ), প্রচার সম্পাদক পদে কালের কণ্ঠের আব্দুল্লাহ আল নোমান, নারীবিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সমকালের ফৌজিয়া ফারিয়া, প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক পদে বাংলাদেশ টাইমসের আরেফিন ইমন, সাহিত্য সম্পাদক পদে আমার দেশ পত্রিকার আরমান মুজাহিদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক আমার দেশের রিপোর্টার আশরাফুল আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক বাংলানিউজ২৪ডটকমের সাইমুন মুবিন পল্লব, ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী হাসান তালহা, আপ্যায়ন সম্পাদক কালের কান্ঠের আব্দুল হামিদ নির্বাচিত হয়েছেন। 

১ নম্বর কার্যনির্বাহী সদস্য পদে কালবেলার এইচ এম মাহিন নির্বাচিত হয়েছেন। অনান্য নির্বাচিত সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- কালের কন্ঠের মিরাজ উদ্দীন, বাংলাদেশ প্রতিদিনের নাজমুল ইসলাম এবং নাগরিক টিভির জিহাদুল ইসলাম।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল ইসল ম ত হয় ছ

এছাড়াও পড়ুন:

নড়াইলে সরকারি গাছ বিক্রির অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ ইউনিয়নে সড়কের পাশে সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে মামলা হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে শাহবাদ ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মশিউর রহমান বাদী হয়ে সদর থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় ওই ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমানসহ ১৩ জন আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেন প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকা ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন ও প্রশিকার গঠিত সংগঠন প্রভাতী যুব সংঘের সভাপতি নড়াইল সদর উপজেলার তুজরডাঙ্গা এলাকার মুজিবুর রহমান, সদস্য একই এলাকার জরিনা বেগম, রজব আলী, মো. আজিবর, মো. ইলিয়াছ, ইমান আলী, মো. ওমর, মো. হায়দার, আবু সাঈদ, মো. এনামুল ও মো. শরিফুল।

এ বিষয়ে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাজেদুল ইসলাম বলেন, ‘সরকারি গাছ চুরি করে বিক্রির অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার তদন্ত করে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

মামলার এজহারে বাদী অভিযোগ করেছেন, গত ২৯ এপ্রিল নড়াইল সদর উপজেলার শাহাবাদ বাজার থেকে হাজির বটতলা পর্যন্ত সরকারি রাস্তার জায়গা থেকে গাছ কাটা ও চুরি করে বিক্রির সংবাদ পেয়ে তিনি ঘটনাস্থলে যান। উপস্থিত হয়ে দেখেন, কাটা গাছবোঝাই একটি ট্রাক এবং নছিমন জব্দ করেছেন নড়াইল সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার দেবাশীষ অধিকারী। তখন ঘটনাস্থলে শ্রমিকদের জিজ্ঞাসাবাদ ও খোঁজ নিয়ে জানতে পারেন, মামলার আসামিরা কোনো ধরনের অনুমতি ছাড়াই খাসজমি থেকে গাছ কেটে বিক্রি করেছেন। এর আগেও একবার তাঁরা ওই জমি থেকে গাছ বিক্রি করেছিলেন। জব্দ করা গাছের লগ, ডালপালা এবং আগে কাটা গাছের অবশিষ্ট ভূমিসংলগ্ন গুঁড়ি পর্যবেক্ষণ করে বোঝা গেছে, ওই স্থান থেকে আনুমানিক পাঁচ লাখ টাকার অধিক গাছ চুরি করে কাটা ও বিক্রি হয়েছে।  

প্রশিকা নড়াইল উন্নয়ন এলাকার ব্যবস্থাপক শাহাব উদ্দিন বলেন, ২০০৯ সালে প্রশিকা, ইউনিয়ন পরিষদ ও প্রভাতী যুব সংঘের যৌথ উদ্যোগে একটি চুক্তির মাধ্যমে সড়কের পাশে গাছগুলো রোপণ করেছিল। সে সময় সড়কটি খাস খতিয়ানভুক্ত ছিল না। বর্তমানে তা সরকারের আওতায় পড়ায় গাছ কাটার অনুমতি চেয়ে ইউএনওর কাছে আবেদন করা হয়েছিল, তবে প্রশাসন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।  কিছুদিন আগে ইউপি সদস্য ইব্রাহিম তাঁকে ফোনে জানান, বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালা বিক্রি করতে চান চেয়ারম্যান। বিদ্যুৎ বিভাগের কাটা ডালপালাগুলো পড়ে থেকে নষ্ট হবে ভেবে তিনি বিক্রিতে সম্মতি দেন। পরে গাছ কীভাবে বা কারা কেটেছে, তা তিনি জানেন না।

মামলা করার আগে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগের ব্যাপার জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান জিয়াউর রহমান বলেছিলেন, প্রশিকার সঙ্গে চুক্তির একটি পক্ষ ছিল ইউনিয়ন পরিষদ। সেই হিসেবে গাছ কাটার অনুমতি নিতে ইউএনও বরাবর প্রশিকার আবেদন তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে সুপারিশ করেছিলেন। তবে গাছ কেটেছে প্রশিকা আর তাদের সংগঠন। এখানে চেয়ারম্যান-মেম্বরের কিছু নেই।

নড়াইল সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) দেবাশীষ অধিকারী বলেন, প্রশিকার চুক্তির সময় সড়কটি ব্যক্তিমালিকানাধীন জমিতে ছিল, পরে ২০১৫ সালে এটি খাস খতিয়ানভুক্ত হয়। খাসজমি থেকে গাছ কাটা বেআইনি। এ কারণে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ