ইডেনে সনদ তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেত্রী ধরা
Published: 18th, February 2025 GMT
স্নাতকের সনদ তুলতে ক্যাম্পাসে এসে শিক্ষার্থীদের হাতে ধরা পড়েছেন ঢাকার ইডেন মহিলা কলেজ ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ সংগঠন) সাংগঠনিক সম্পাদক বৈশাখী আক্তার।
পরে খবর পেয়ে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল চারটার দিকে তাকে হেফাজতে নেওয়ার কথা জানান লালবাগ থানার ওসি ক্যশৈনু।
তিনি বলেন, “নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেত্রী বৈশাখী আজ দুপুরে কলেজে যান অনার্সের সার্টিফিকেট তুলতে। মাস্টার্সে ভর্তি হওয়ার জন্য সার্টিফিকেট নিতে এসেছিলেন। এ সময় কলেজের সমন্বয়কসহ অন্যান্য শিক্ষার্থীরা তাকে ধরে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।
“পরে আমরা গিয়ে তাকে নিয়ে এসেছি। তবে তাকে মারধর করা হয়নি, শিক্ষার্থীরা আমাদেরকে সহায়তা করেছে।”
বৈশাখীর নামে তার থানায় কোনো মামলা নেই জানিয়ে ওসি বলেন, “অন্যান্য থানায় মামলা রয়েছে কি না এই মুহূর্তে বলতে পারছি না। এখন কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হবে, এ বিষয়ে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।”
সরকার বদলের প্রেক্ষাপটে অন্তর্বর্তী সরকার কর্তৃক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের অনেক নেতাকর্মীরাই গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে রয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকার পতনে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাবির মুখে ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের এই ছাত্র সংগঠনের বিরুদ্ধে কোটা সংস্কার ও সরকার পতন আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতা ‘হত্যা’ ও অসংখ্য মানুষের ‘জীবন বিপন্ন’ করা এবং বিভিন্ন সময় ‘সন্ত্রাসী’ কাজে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়েছে।
ঢাকা/মাকসুদ/এনএইচ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসুর ১০ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন উপাচার্যের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের জন্য দশ সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এতে উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জসীম উদ্দিনকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
আজ সোমবার অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করা হয়।
নির্বাচন পরিচালনায় প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তাকে সহায়তার জন্য আরও ৯ জন রিটার্নিং কর্মকর্তাকে মনোনীত করা হয়েছে। তাঁরা হলেন— মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ড. এ এস এম মহিউদ্দিন; সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. গোলাম রব্বানী; তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোস্তাক গাউসুল হক; উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মারুফুল ইসলাম; স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. নাসরিন সুলতানা; ব্যাংকিং ও ইন্স্যুরেন্স বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. শহিদুল ইসলাম (শহীদুল জাহীদ); বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. তারিক মনজুর; গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা এবং শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক শারমীন কবীর।
নিয়োগপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তারা উপাচার্যের সঙ্গে পরামর্শক্রমে নির্বাচনের পরবর্তী কার্যক্রম নির্ধারণ করবেন এবং ভোট গ্রহণসহ সার্বিক নির্বাচন প্রক্রিয়া পরিচালনা করবেন।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংবিধানের ৮(এফ) ধারার আওতায় এই নিয়োগ দেওয়া হয়।
অতীতে ডাকসু নির্বাচনে ৬ সদস্যবিশিষ্ট নির্বাচন কমিশন থাকলেও এবার তা বৃদ্ধি করে সর্বোচ্চ ১০ জন সদস্য নিয়ে নির্বাচন পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এতে করে স্বচ্ছতা, গ্রহণযোগ্যতা এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করা যাবে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।
জানতে চাইলে অধ্যাপক জসীম উদ্দিন সমকালকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় দায়িত্ব দিয়েছে, ফলে আমাদের যাবতীয় কাজ এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। অফিশিয়ালি দায়িত্ব বুঝে পেলে বাকিদের সঙ্গে মিটিং করে নির্বাচনের তারিখসহ অন্যান্য বিষয় নির্ধারণ করব।