দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে সরিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে বদলি
Published: 18th, February 2025 GMT
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে সংস্থাটি থেকে সরিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়েছে। গতকাল সোমবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানা গেছে।
এর আগে ১০ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানকে বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দুর্নীতিসংক্রান্ত অনুসন্ধান ও মামলার তদারককারী কর্মকর্তার দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এরপর তাঁকে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল কর্মপরিকল্পনা (এনআইএস) ও ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন এগেইনস্ট করাপশনের (ইউএনসিএসি) ফোকাল পয়েন্টের পরিচালকের দায়িত্ব দেওয়া হয়। সেখান থেকে এখন তাঁকে সরিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে বদলি করা হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের লকারে অভিযান চালানো দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জামানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দুদক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মোমেনের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া কাজী সায়েমুজ্জামানের বিভিন্ন মন্তব্যের বিষয়ে আপত্তি জানানো হয়। চিঠিতে বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে দুদক চেয়ারম্যানের কাছে এই চিঠি পাঠায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতিঝিল কার্যালয়ের পরিচালক।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, কাজী সায়েমুজ্জামান বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধারণাপ্রসূত বিভিন্ন মন্তব্য করে যাচ্ছেন। এ ধরনের মন্তব্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জারি করা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারসংক্রান্ত নীতিমালার পরিপন্থী। চিঠির সঙ্গে কাজী সায়েমুজ্জামানের দেওয়া বিভিন্ন মন্তব্যও যুক্ত করে দেওয়া হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে অনুসন্ধানসংক্রান্ত তথ্যাদি প্রকাশের কারণে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছিল দুদক। পাশাপাশি তাঁকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়া হয়। তখন দুদক জানিয়েছিল, দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে তৈরি হওয়া বিতর্কের অবসান ঘটাতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন
ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।
মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।