মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা প্রকল্প চালু করেছিল বিএনপি সরকার
Published: 19th, February 2025 GMT
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম প্রকল্প চালু করেছিলেন বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকার বলে মন্তব্য করেছেন ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের পাবনা-সিরাজগঞ্জ-বগুড়ার ট্রাস্টি অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাবনা পৌর সদরের শালগাড়িয়ায় শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ মন্দিরে শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
অ্যাডভোকেট ইন্দ্রজিত সাহা বলেন, “বিএনপি সরকারের সময় সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া হিন্দু ধর্মের অনুসারীদের জন্য অনুদানের ব্যবস্থা করেছিলেন। মন্দিরভিত্তিক ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছিল বেগম খালেদা জিয়ার সরকার। বিএনপি ক্ষমতা থাকা অবস্থায় রোজা ও পূজা একসঙ্গে হয়েছে, কখনো হাঙ্গা-দাঙ্গামার সৃষ্টি হয়নি।”
আরো পড়ুন:
আ.
ইউপি নির্বাচন আগে হলে আ.লীগ ঢুকে পড়বে : টুকু
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- পাবনা জেলা বিএনপির সদস্য অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর ও হিন্দু ট্রাস্টির পাবনা প্রতিনিধি অ্যাডভোকেট মলয় কুমার দাস রায়, পাবনা প্রেস ক্লাবের সম্পাদক জহুরুল ইসলাম, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক দীপঙ্কর সরকার জিতু, পাবনা সংবাদপত্র মালিক গ্রুপের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক এস এম আদনান উদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ও হিন্দু ছাত্র মহাজোটের সাবেক সভাপতি শুভ মজুমদার।
মন্দিরভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম পাবনার সহকারী প্রকল্প পরিচালক নিরুপম ধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান শেষে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন অতিথিরা। অনুষ্ঠানে পাঁচজন শিক্ষক ও পাঁচজন শিক্ষার্থীকে সম্মাননা স্মারক এবং অন্যদের হাতে সনদপত্র তুলে দেওয়া হয়।
ঢাকা/শাহীন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ও গণশ ক ষ অন ষ ঠ ন মন দ র সরক র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে
জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।
আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।
গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।
তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল