কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ১০ দিনের মধ্যে আরেকটি বালুঘাটে অস্ত্রের মুখে ডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে কয়া এলাকায় গড়াই নদীর সেতুর নিচে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় বালুঘাটের ব্যবস্থাপক সবুজ হোসেনের পায়ে গুলি করা হয়। তিনি এখন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এর আগে ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে উপজেলার সদকী ইউনিয়নের গড়াই নদী-সংলগ্ন জিলাপীতলা বালুঘাটে ডাকাতি হয়। ওই দিন তিনটি মোটরসাইকেলে অন্তত ৯ জন আগ্নেয়াস্ত্রসহ এসে ৭-৮ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে নগদ অর্থ ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। এ নিয়ে সমকালে ‘বাইকে এসে গুলি ছুড়ে ডাকাতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কয়া ও রায়ডাঙা মৌজায় গড়াই নদী ড্রেজিংয়ের বালু অপসারণ করতে ইজারা দিয়েছে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ। প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকায় এই ইজারা নিয়েছেন মেসার্স প্রিয়াংকা ব্রিকসের স্বত্বাধিকারী জাহিদুল ইসলাম। তার লোকজন নিয়মিত এখান থেকে বালু বিক্রি করছেন। 

আহত ব্যবস্থাপক সবুজ হোসেন বলেন, রাত ১১টার দিকে ৮-১০ জনের একটি দল শটগান ও পিস্তলের গুলি ছুড়তে ছুড়তে টোলঘরে ঢোকে। তার দুই শ্রমিককে মারধর করে খুঁটিতে বেঁধে রাখে। এক পর্যায়ে আমার পায়ে পিস্তল ঠেকিয়ে গুলি করে। পরে প্রায় দুই লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে ফের গুলি ছুড়তে ছুড়তে গড়াই নদীর তীর ধরে চলে যায় ডাকাতরা।

আহত শ্রমিক আরজু হোসেন বলেন, বন্দুক নিয়ে ডাকাতরা এসে আমাকে ও আরেক শ্রমিককে জিম্মি করে। পরে মারধর করে খুঁটিতে বেঁধে রাখে এবং ম্যানেজারের পায়ে গুলি করে। 

বুধবার সরেজমিন দেখা যায়, ঘাট থেকে বালু সরানো বন্ধ। টিনশেড টোলঘরের বেড়ায় ছোট ছোট ছিদ্র। পড়ে আছে গুলির খোসা। ওই সেতুর নিচে মুদি দোকানি আলম হোসেন বলেন, এত বছর দোকানদানি করতেছি। তবে এমন কাম কোনো দিন ঘটেনি। খুব ভয়ে আছি। 

ইজারাদার প্রিয়াংকা ব্রিকসের ব্যবস্থাপক রাকিব হাসান বলেন, ঘাটে গুলি ছুড়ে, মারধর ও ভাঙচুর করে টাকা-পয়সা নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা। ব্যবস্থাপককে গুলিও করেছে। এ ঘটনায় মামলা করা হবে।
কুমারখালী থানার ওসি সোলায়মান শেখ বলেন, রাতেই ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। এটি ডাকাতি, না পূর্বশত্রুতার জেরে প্রতিপক্ষ হামলা করেছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: হ স ন বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য হলেন অধ্যাপক হযরত আলী

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের দায়িত্ব পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. হযরত আলী। 

বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে তাকে এই পদে নিযুক্ত করা হয়।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব এ এস এম  কাসেম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন উপাচার্য নিয়োগের আগ পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য ড. মো. হযরত আলীকে কুয়েটের উপাচার্য পদের রুটিন দায়িত্ব পালনের জন্য নিয়োগ দেওয়া হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্য হবেন। তিনি বিধি অনুযায়ী পদ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন। রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।

এর আগে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৫ এপ্রিল কুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দিয়েছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ