কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরলেন সেনাপ্রধান
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
কুয়েত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল।
বৃহস্পতিবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
আইএসপিআর জানায়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল পাইলট সাবাহ জাবের আল আহমেদ আলসাবাহ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ডা.
আইএসপিআর আরও জানায়, সফরকালে সেনাবাহিনী প্রধান কুয়েতে বাংলাদেশ মিলিটারি কন্টিনজেন্টস (বিএমসি) সদর দপ্তর পরিদর্শনসহ এর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত হন এবং প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। তিনি বাংলাদেশি মিলিটারি কন্টিনজেন্টের অফিসার এবং অন্য পদবির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের লক্ষ্যে অফিসার্স অ্যাড্রেস এবং দরবার নেন। এছাড়াও সেনাবাহিনী প্রধান সফরকালীন সময়ে কুয়েত আর্মড ফোর্সেস স্টাফ কলেজ পরিদর্শন করেন।
সেনাবাহিনী প্রধানের এ সফরের মধ্য দিয়ে কুয়েতে বাংলাদেশ থেকে দক্ষ জনবল নিয়োগ এবং অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে (ওকেপি) নিয়োজিত বাংলাদেশি সদস্যদের মনোবল বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশ ও কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও একধাপ এগিয়ে যাবে বলে আশা করা যায়।
এর আগে কুয়েত সশস্ত্র বাহিনীর ভারপ্রাপ্ত চিফ অব স্টাফের আমন্ত্রণে প্রতিনিধি দলটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কুয়েত সফরে গমন করেছিলেন।
উল্লেখ্য, কুয়েতের আমির উপসাগরীয় যুদ্ধে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ এবং পরে অপারেশন কুয়েত পুনর্গঠনে বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনীর উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বিএইচ
উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সশস ত র ব হ ন র
এছাড়াও পড়ুন:
টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ড. ইউনূস
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস তার লন্ডন সফরকালে যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির পার্লামেন্ট সদস্য (এমপি) টিউলিপ সিদ্দিকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
টিউলিপ সিদ্দিক তার বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আলোচনার জন্য ড. ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে একটি চিঠি দিয়েছিলেন।
বিবিসিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে প্রধান উপদেষ্টা জানান, টিউলিপের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলো ‘আদালতের বিষয়’। বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ওপর তার আস্থা আছে।
দুর্নীতি দমন সংস্থা বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগনি টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যাপারে তদন্ত করছে। টিউলিপের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনার শাসনামলে অবৈধভাবে জমি গ্রহণের অভিযোগ এনেছে দুদক।
টিউলিপ তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার’ চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন টিউলিপ।
মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকের অনুরোধ জানিয়ে দেওয়া চিঠিতে টিউলিপ উল্লেখ করেছিলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের মাধ্যমে তৈরি হওয়া ভুল বোঝাবুঝি দূর করতেও সহায়ক হতে পারে এই সাক্ষাৎ।’
ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে বিবিসি জানতে চেয়েছিল, তিনি তার চার দিনের যুক্তরাজ্য সফরকালে টিউলিপের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন কি না।
জবাবে মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “না, আমি দেখা করব না। কারণ, এটা একটা আইনি প্রক্রিয়া। আমি আইনি প্রক্রিয়ায় বাধা দিতে চাই না। প্রক্রিয়াটি চলতে থাকুক।”
টিউলিপ সিদ্দিক যুক্তি দিয়েছেন যে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষ তাদের অভিযোগের পক্ষে কোনো প্রমাণ হাজির করেনি এবং তার আইনজীবীদের সাথে যোগাযোগ করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।
এই যুক্তিগুলির জবাবে ইউনূস বলেন, “এটি আদালতের বিষয়। মামলাটি চালিয়ে যাওয়ার জন্য পর্যাপ্ত উপকরণ আছে কিনা বা বাতিল করবে কিনা সে ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত নেবে।”
বাংলাদেশের প্রসিকিউটরদের আরো স্বচ্ছ হতে হবে এবং সিদ্দিককে অন্যায়ের প্রমাণ সরবরাহ করতে হবে কিনা জানতে চাইলে ড. ইউনূস বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে আমাদের দুর্নীতি দমন কমিশনের উপর আমার পূর্ণ আস্থা আছে এবং তারা সঠিক কাজ করছে।”
ঢাকা/শাহেদ