ক্যাম্পাসে পেশিশক্তি নির্ভর ছাত্র রাজনীতির অবসান প্রয়োজন: নাহিদ ইসলাম
Published: 19th, February 2025 GMT
বিশ্ববিদ্যালয়ে পেশিশক্তি নির্ভর ছাত্র রাজনীতির অবসান হওয়া প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
বুধবার রাজধানীর সার্কিট হাউস রোডে প্রেস ইনস্টিটিউট (পিআইবি) চত্বরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় আয়োজিত তারুণ্যের উৎসবের সমাপন ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্য উপদেষ্টা বলেন, ছাত্রদের দেশের কল্যাণে ইতিবাচক রাজনীতি করতে হবে এবং দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে তরুণ প্রজন্ম তৈরি হয়েছে, আগামী অন্তত দুই দশক তারা বাংলাদেশকে প্রভাবিত করবে। আগামীর বাংলাদেশ কোন দিকে যাবে, তা অনেকটাই তরুণদের ওপর নির্ভর করবে। যে সরকার কিংবা রাজনৈতিক দল তরুণদের আকাঙ্ক্ষা ধারণ করবে, তারাই সফলতা পাবে।
নাহিদ ইসলাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তরুণদের নানামুখী কর্মকাণ্ডে যুক্ত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তরুণদেরও স্বতঃস্ফূর্তভাবে বিভিন্ন সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে হবে।
তিনি বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যারা জনগণের ভোটাধিকার হরণ করেছেন এবং জনগণের বিপক্ষে কাজ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া জুলাই গণহত্যার সঙ্গে জড়িতদেরও দ্রুত সময়ের মধ্যে বিচারের আওতায় আনা হবে।
উপদেষ্টা বলেন, মানুষ পরিবর্তন চায়, আগের রাজনৈতিক ব্যবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। এ কারণেই সংস্কার কার্যক্রম চলছে। গণঅভ্যুত্থানের পর নানা আকাঙ্ক্ষার জন্ম হয়েছে, আর সেই আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতেই সংস্কার এগিয়ে নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ক্যাম্পাসগুলোতে পেশিশক্তির আধিপত্য দূর করে শিক্ষার্থীদের কল্যাণকর রাজনীতির সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। কারণ, তারাই আগামীর নেতৃত্ব দেবে।
তিনি আরও বলেন, গত ১৫-১৬ বছরে নানা অত্যাচারের শিকার হতে হয়েছে। এখনও সমাজে ফ্যাসিবাদের দোসর ও তাদের চিন্তাধারার মানুষ রয়ে গেছে। তাদের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রয়েছে। শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনতে ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হবে। বিচার হলে মানুষ স্বস্তি পাবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব রেজাউল মাকছুদ জাহেদী। এছাড়া বক্তব্য রাখেন সভাপ্রধান তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নিগার সুলতানা ও প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ (পিআইবি) মহাপরিচালক ফারুক ওয়াসিফ।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন হ দ ইসল ম র র জন ত
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে