আমলার বাইরে থেকে মেট্রোরেলে এমডি
Published: 20th, February 2025 GMT
মেট্রোরেলের নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সরকারি কোম্পানি ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) পদে নিয়োগ পেয়েছেন ফারুক আহমেদ। বৈশ্বিক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন এ প্রকৌশলী কোম্পানির প্রথম এমডি, যিনি প্রশাসন ক্যাডারের আমলা নন।
আওয়ামী লীগ আমলে এমডি নিয়োগের শর্ত পরিবর্তন করে আমলাদের জন্য সুবিধা করা হয়। এমডি পদের যোগ্যতা হিসেবে ‘যোগাযোগ খাতের সাবেক সচিব’ শর্ত যোগ করা হয়। এতে ২০১৬ সালের অক্টোবরে সদ্য সাবেক সড়ক পরিবহন সচিব এম এ এন ছিদ্দিক এমডি পদে নিয়োগ পান। তিনি গত সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্বে আসার পর ছিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করে অতিরিক্ত সচিব আবদুর রউফকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। স্থায়ী নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। প্রকৌশলী ডিগ্রিসহ বৈশ্বিকভাবে কাজ করা বিশেষজ্ঞদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।
নিয়োগ পেতে দেশি-বিদেশি ৭৬ জন আবেদন করেন। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) উপাচার্য অধ্যাপক এ বি এম বদরুজ্জামানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের কমিটি আবেদনকারীদের মধ্য থেকে সাতজনকে বাছাই করে। তা থেকে ফারুক আহমেদকে চূড়ান্তভাবে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। তাঁর অস্ট্রেলিয়া, ভারত, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও হংকং– পাঁচটি দেশে মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ৩৭ বছরের কর্মজীবনের ২৫ বছর তিনি কাজ করেছেন মেট্রোরেল খাতে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সময় ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া মেট্রো স্টেশন চালু করার কাজেও যুক্ত ছিলেন ফারুক আহমেদ।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সাকিবকে এখনও দেশের সবচেয়ে বড় তারকা মানেন তামিম
সাকিব আল হাসানের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে মুখ খুলেছেন তামিম ইকবাল। সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি স্পষ্ট করে জানিয়েছেন, তারকা খ্যাতি বা ব্যক্তিগত সাফল্য নয়, এই দুই তারকার দূরত্বের পেছনে অন্য কারণ কাজ করেছে। তবে সেই দূরত্ব ঘোচানোর জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) কোনও উদ্যোগ নেয়নি বলেও আক্ষেপ করেছেন তিনি।
তামিম বলেন, ‘অনেকে বলে, কে কার চেয়ে সেরা। কার এনডোর্সমেন্ট বেশি। এগুলো কিছুই আমাদের সম্পর্ককে প্রভাবিত করেনি। আমি সব সময় বলেছি, বাংলাদেশের স্পোর্টসে সবচেয়ে বড় তারকা সাকিব। আমি নিজেই যখন এটা বলি, তখন তারকা খ্যাতি সম্পর্কের অবনতির কারণ হতে পারে না।’
তিনি জানান, বিসিবির পক্ষ থেকে চেষ্টা করা হলে সাকিব ও তার মধ্যকার দূরত্ব কমত। ‘তারা আলাদাভাবে কথা বলেছেন, কিন্তু দু’জনকে একসঙ্গে বসিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেননি’, বলেন তামিম।
তামিম আরও বলেন, অধিনায়ক থাকার সময় সম্পর্কটা স্বাভাবিক করতে তিনি নিজেই চেষ্টা করেছেন। যদিও সে চেষ্টা তখন সফল হয়নি, ভবিষ্যতে সম্পর্ক উন্নয়নের সম্ভাবনা এখনও তিনি দেখেন।
এমনকি নিজের অসুস্থতার সময় সাকিবের সহানুভূতিশীল আচরণের কথাও কৃতজ্ঞচিত্তে স্বীকার করেন তামিম। বলেন, ‘আমার অসুস্থতার সময়ে সাকিব তার ফেসবুকে দোয়ার অনুরোধ করেছিল। তার বাবা-মা হাসপাতালে আমাকে দেখতে গিয়েছেন। আমরা দু’জনই পরিণত। সামনাসামনি হলে এবং নিজেদের মধ্যে কথা হলে সম্পর্ক উন্নত হতে পারে।’
তামিমের এই মন্তব্যেই বোঝা যায়, ব্যক্তিগত বিরোধ থাকলেও তামিম এখনও চান সাকিবের সঙ্গে তার সম্পর্কটা সুস্থতায় ফিরুক।