পাবনার চাটমোহর উপজেলার আলোচিত বিলচলন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম দাবি করে বলেছেন, ‘‘আমি কখনো কৃষক লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি ও আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গ জড়িত। সম্প্রতি আমাকে বিলচলন ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এরপর থেকেই আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ নানা অপপ্রচার শুরু হয়েছে। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে কৃষক লীগ বানিয়েছে।’’

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাটমোহর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।

লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘আমি একজন ইউপি সদস্য হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যেতেই পারি। তাই বলে আমি আওয়ামী লীগ বা কৃষক লীগ হয়ে যাইনি। এসব নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, আমি কৃষক লীগ করতাম, এখন তাঁতী দলের সভাপতি। কৃষক লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো কমিটিতে আমার নাম থাকলে, সেটা আমার জানা নেই।’’

আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ ধরণের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বিধায় তাঁতী দলের সভাপতি হিসেবে আমাকে বিলচলন ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি বিগত ২০১৪ সালে বিলচলন ইউনিয়ন কৃষক দলের সক্রিয় সদস্য ছিলাম। আমার ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্যই এ ধরণের অপপ্রচার চলছে। আমি এসব ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’

সংবাদ সম্মেলনে তিনি চাটমোহর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের প্রত্যায়নপত্র উপস্থাপন করেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘আব্দুস সালাম কখনো কৃষক লীগ করেননি। কৃষক লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।’’

সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা আকতার আলী, তাঁতী দলের নেতা আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ছিলেন কৃষক লীগের সদস্য, এখন তাঁতী দলের সভাপতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম।

ঢাকা/শাহীন/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র

ভারতের আসামে গত বছর একাধিক ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) বিস্ফোরণ ঘটানোর ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে উলফা (আই) নেতা পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে জাতীয় তদন্ত সংস্থা এনআইএ। সংস্থাটি শনিবার গুয়াহাটির আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়।

পরেশ বড়ুয়া নিষিদ্ধঘোষিত বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব আসামের (ইনডিপেনডেন্ট ) চেয়ারম্যান এবং স্বঘোষিত কমান্ডার ইন চিফ। চার্জশিটভুক্ত অন্য দুজন হলেন অভিজিৎ গগৈ ও জাহ্নু বড়ুয়া।

গত বছর আসামে স্বাধীনতা দিবস উদ্‌যাপন ব্যাহত করতে গুয়াহাটির দিসপুর লাস্ট গেটে একাধিক আইইডি পুঁতে রাখা হয়েছিল। এর সঙ্গে এই তিনজনের যোগসূত্র পাওয়া গেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এ ঘটনা তদন্তের ভার নেয় এনআইএ।

এনআইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হতাহত করা, সম্পত্তি ধ্বংস করা, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি তৈরি এবং মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়ানোর উদ্দেশ্যে আইইডি স্থাপন করা হয়েছিল।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আসামে বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র মামলায় পরেশ বড়ুয়াসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
  • ড. ইউনূস-তারেক রহমানের বৈঠক ষড়যন্ত্রকারীদের কফিনে শেষ পেরেক: প্রেস সচিব