‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য কৃষক লীগ বানানো হয়েছে’
Published: 20th, February 2025 GMT
পাবনার চাটমোহর উপজেলার আলোচিত বিলচলন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম দাবি করে বলেছেন, ‘‘আমি কখনো কৃষক লীগের সঙ্গে জড়িত ছিলাম না। আমি ও আমার পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গ জড়িত। সম্প্রতি আমাকে বিলচলন ইউনিয়ন তাঁতী দলের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এরপর থেকেই আমার বিরুদ্ধে প্রতিপক্ষ নানা অপপ্রচার শুরু হয়েছে। একটি পক্ষ ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাকে কৃষক লীগ বানিয়েছে।’’
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাটমোহর প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এমন দাবি করেন।
লিখিত বক্তব্যে আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘আমি একজন ইউপি সদস্য হিসেবে ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে যেতেই পারি। তাই বলে আমি আওয়ামী লীগ বা কৃষক লীগ হয়ে যাইনি। এসব নিয়ে পত্র-পত্রিকা ও ফেসবুকে প্রচার করা হচ্ছে, আমি কৃষক লীগ করতাম, এখন তাঁতী দলের সভাপতি। কৃষক লীগের সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কোনো কমিটিতে আমার নাম থাকলে, সেটা আমার জানা নেই।’’
আব্দুস সালাম বলেন, ‘‘আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ ধরণের ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। আমি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বিধায় তাঁতী দলের সভাপতি হিসেবে আমাকে বিলচলন ইউনিয়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমি বিগত ২০১৪ সালে বিলচলন ইউনিয়ন কৃষক দলের সক্রিয় সদস্য ছিলাম। আমার ও আমার পরিবারের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার জন্যই এ ধরণের অপপ্রচার চলছে। আমি এসব ষড়যন্ত্রের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’’
সংবাদ সম্মেলনে তিনি চাটমোহর উপজেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাফিজুর রহমানের প্রত্যায়নপত্র উপস্থাপন করেন। সেখানে লেখা ছিল, ‘‘আব্দুস সালাম কখনো কৃষক লীগ করেননি। কৃষক লীগের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না।’’
সংবাদ সম্মেলনে সাবেক ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন, বিএনপি নেতা আকতার আলী, তাঁতী দলের নেতা আমিনুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রতি দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে ‘ছিলেন কৃষক লীগের সদস্য, এখন তাঁতী দলের সভাপতি’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। যা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। এরপরই সংবাদ সম্মেলন করেছেন ইউপি সদস্য আব্দুস সালাম।
ঢাকা/শাহীন/রাজীব
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কারিগরি শিক্ষার্থীদের অবরোধের ঘোষণা সহিংস আন্দোলনের উসকানি: সংবাদ সম্মেলনে বুয়েট শিক্ষার্থীরা
কারিগরি শিক্ষার্থীদের গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণাকে ‘সহিংস আন্দোলনের উসকানি ও গভীর ষড়যন্ত্র’ হিসেবে দেখছেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা। তাঁরা বলছেন, আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না।
আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পরে বুয়েট ক্যাফেটেরিয়া প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা। ‘প্রকৌশল অধিকার আন্দোলন’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বুয়েট শিক্ষার্থী জুবায়ের আহমেদ। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের তিন দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন আলোচনায় বসে। দাবির যৌক্তিকতা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তারা প্রকৌশলী ও ডিপ্লোমাধারী—উভয় পক্ষকে আলোচনার টেবিলে ডাকে। সবার যুক্তিতর্ক সমানভাবে উপস্থাপনের সুযোগ করে দেয়, যাতে কারও প্রতি কোনোরূপ বৈষম্য না হয়।
লিখিত বক্তব্যে বুয়েট শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আলোচনার টেবিলে সমাধানের সুযোগ থাকা সত্ত্বেও আজ গাজীপুরে রেলপথ অবরোধের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে কারিগরি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে। ডিপ্লোমাধারীদের পক্ষ থেকে যে প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নিয়েছিলেন, তাঁরাই অবরোধ ডেকে সহিংস আন্দোলনের জন্য ক্রমাগত উসকানি দিয়ে যাচ্ছেন।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে কেন জনদুর্ভোগ করে অবরোধের উসকানি দেওয়া হচ্ছে—এমন প্রশ্ন রাখেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা।
আলোচনার টেবিল ছেড়ে অবরোধ কোনো যৌক্তিক সমাধান হতে পারে না বলে উল্লেখ করা হয় লিখিত বক্তব্যে। এতে বলা হয়, এগুলো শুধুই বিশৃঙ্খলা তৈরির পাঁয়তারা ও গভীর ষড়যন্ত্র, যা প্রথাগত আন্দোলনকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আলোচনার টেবিল ছেড়ে যাঁরা অবরোধ করে দেশে নৈরাজ্য তৈরির উসকানি দিচ্ছেন, তাঁদের আসল উদ্দেশ্য ও এজেন্ডা খতিয়ে দেখা দরকার।
বুয়েট শিক্ষার্থীরা বলেন, যৌক্তিক দাবি আদায়ের জন্য গায়ের জোর খাটিয়ে সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অবরোধের প্রয়োজন নেই। যৌক্তিক দাবি জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিজ উদ্যোগে তা আমলে নিয়ে ব্যবস্থা নেবে।