গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সেরে যাওয়ার পরও সচেতনতা জরুরি কেন
Published: 20th, February 2025 GMT
কেন হয়
গর্ভাবস্থার আগে যাঁরা কখনোই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন না, তাঁদের গর্ভধারণের সাধারণত ২৪ থেকে ২৮ সপ্তাহে রক্তে সুগার বা শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তাঁরা গর্ভকালীন ডায়াবেটিস আক্রান্ত বলে ধরা হয়। অধিক বয়সে গর্ভধারণ, স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন, বারবার গর্ভধারণ, যমজ সন্তান, আগের গর্ভাবস্থায় ডায়াবেটিসের ইতিহাস, পলিসিস্টিক ওভারি ইত্যাদি কারণে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস হয়। মূলত গর্ভধারণের সময় গর্ভফুল থেকে উৎপন্ন বিভিন্ন হরমোন ইনসুলিনের কার্যক্রমে বাধা দেয় বলে এই ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
এটা কি আপনা–আপনি সেরে যায়স্বস্তির বিষয়, প্রসবের পর ৯০ শতাংশ ক্ষেত্রে গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়। বাস্তবে এটিই একমাত্র ডায়াবেটিস, যা সম্পূর্ণভাবে সেরে যায়। বাকি ১০ শতাংশের বেলায় এটি প্রিডায়াবেটিস বা টাইপ ২ ডায়াবেটিস হিসেবে থেকে যেতে পারে। সন্তান প্রসবের ৬ থেকে ১২ সপ্তাহের মধ্যে একটি ওজিটিটি টেস্টের মাধ্যমে নির্ধারণ করা হয় গর্ভকালীন ডায়াবেটিস পুরোপুরি সেরে গেছে কি না।
আরও পড়ুনবিল গেটস বললেন, আমি ছিলাম বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশু, কেউ বুঝতে পারেনি২৯ জানুয়ারি ২০২৫সচেতনতা জরুরি কেনপুরোপুরি সেরে গেলেও পরবর্তী জীবনে এই নারীদের টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি ৫০ শতাংশ বেশি। তবে চাইলে এই ঝুঁকি হ্রাস করা সম্ভব। চিনি, মিষ্টি ও সাদা শর্করা–জাতীয় খাবার বর্জন, শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ, নিয়মিত শারীরিক ব্যায়াম, ধূমপান পরিহার ও মানসিক চাপমুক্ত জীবন যাপন অনেকাংশেই ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়। তাই গর্ভকালীন ডায়াবেটিস সেরে যাওয়ার পরও সচেতনতা জরুরি।
ডা.
অঞ্জনা সাহা, হরমোন ও ডায়াবেটিস রোগ বিশেষজ্ঞ, জাতীয় ক্যানসার গবেষণা ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল, মহাখালী, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ছয় গোলের থ্রিলারে জমজমাট ড্র বার্সেলোনা-ইন্টারের
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনাল মানেই উত্তেজনার পারদ চড়া—আর বার্সেলোনা ও ইন্টার মিলান মিলে সেটিকে নিয়ে গেল অন্য উচ্চতায়। কাতালানদের ঘরের মাঠ অলিম্পিক স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে দর্শকরা উপভোগ করলেন এক দুর্দান্ত গোলবন্যার ম্যাচ। ম্যাচ শেষে ফল—৩-৩ গোলে ড্র।
মৌসুমের রেকর্ড ৫০ হাজার ৩১৪ দর্শকের সামনে ইউরোপীয় ফুটবলের এই মহারণে উভয় দলই তুলে ধরেছে আক্রমণাত্মক ফুটবল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ইতিহাসে ১৯৯৯ সালের পর এটিই প্রথম ম্যাচ যেখানে ছয়টি গোল হয়েছে এবং শেষ হয়েছে ড্রয়ে।
ম্যাচ শুরু হতে না হতেই চমকে দেয় ইন্টার মিলান। ম্যাচের মাত্র প্রথম মিনিটেই ডেনজেল ডামফ্রিজের ব্যাকহিল গোল দলকে এগিয়ে দেন মার্কাস থুরাম। এরপর ২১ মিনিটে আবারও দিমারকোর কর্নার থেকে ফ্রান্সেসকো আকেরবির সহায়তায় শ্বাসরুদ্ধকর অ্যাক্রোব্যাটিকে ব্যবধান বাড়ান ডামফ্রিজ।
তবে ঘুরে দাঁড়াতে দেরি করেনি বার্সা। দুই মিনিট পরই ইয়ামাল ডান দিক থেকে একক নৈপুণ্যে দুর্দান্ত গোল করে ব্যবধান কমান। প্রথমার্ধ শেষের আগে পেদ্রির ফ্লিকে রাফিনিয়ার নিয়ন্ত্রণ এবং তাতে ফেরান তোরেসের শটে গোল করে ২-২ সমতায় ফেরে স্বাগতিকরা।
দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের ইনজুরির পর মাঠে নামেন মেহেদি তারেমি। ৬০ মিনিটে কর্নার থেকে হেড করে নিজের দ্বিতীয় গোল করেন ডামফ্রিজ। কিন্তু দ্রুতই গোল শোধ করে বার্সা—ছোট কর্নার থেকে রাফিনিয়ার শট লাগে পোস্টে, সেখান থেকে গোলরক্ষক সোমারের পিঠে লেগে ঢুকে পড়ে জালে—ফলাফল ৩-৩। ৭৫ মিনিটে হেনরিখ মিখিতারিয়ান গোল করে ইন্টারকে আবারও এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু ভিএআরের চোখে পড়ে সামান্য অফসাইড, বাতিল হয় সেই গোল।
এখন সবকিছু নির্ভর করছে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচের ওপর, যা হবে ৬ মে, মঙ্গলবার, ইন্টারের ঘরের মাঠ জিউসেপ্পে মিয়াজ্জায়। ওই ম্যাচেই জানা যাবে ফাইনালে কারা প্যারিস সেইন্ট জার্মেই ও আর্সেনালের মধ্যকার বিজয়ীর মুখোমুখি হবে।