রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রুয়েট) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের চূড়ান্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রথামিকভাবে নির্বাচিতদের মধ্যে অন্তত ৯৯.১ শতাংশ ভর্তিচ্ছু অংশ নেন।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রুয়েটের নিজস্ব কেন্দ্রে দুই গ্রুপে এ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ‘ক’ গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়ে দুপুর সাড়ে ১২টায় শেষ হয়। এছাড়া ‘খ’ গ্রুপের ভর্তি পরীক্ষা দুপুর ১২টা ৪৫ মিনিটে শুরু হয়ে বেলা ১টা ৪৫ মিনিটে শেষ হয়। ১ ঘণ্টাব্যাপী অনুষ্ঠিত এ পরীক্ষার ফল আগামী ৮ মার্চের মধ্যে প্রকাশিত হবে।

জানা গেছে, রুয়েটে এবারের ভর্তি পরীক্ষা তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে সঠিক আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে বাছাইকৃত ১৯ হাজার ৯১৫ জন শিক্ষার্থী গত ৮ ফেব্রুয়ারি প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তিন শিফটে অনুষ্ঠিত এ প্রাক-নির্বাচনী পরীক্ষার ফল গত ১০ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ করা হয়। ফলাফলে মোট ৮ হাজার ২ জন পরীক্ষার্থী উত্তীর্ণ হন।

এর মধ্যে, প্রথম শিফটে ২ হাজার ৬৯২ জন, দ্বিতীয় শিফটে ২ হাজার ৬৬৮ জন এবং তৃতীয় শিফটে ২ হাজার ৬৪২ জনকে নির্বাচিত করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের মধ্যে চূড়ান্ত পরীক্ষায় ৭ হাজার ৯৩০ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন, যা মোট পরীক্ষার্থীর ৯৯.

১ শতাংশ। চূড়ান্ত ভর্তির জন্য নির্বাচিত ও অপেক্ষমাণ প্রার্থীদের নামের তালিকা আগামী ৮ মার্চের মধ্যে ফল প্রকাশিত হবে।

পরীক্ষার হলগুলো পরিদর্শন শেষে রুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “পরীক্ষা চলাকালে ক্যাম্পাসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি আনসার ও স্বেচ্ছাসেবী সদস্যরা নিয়োজিত ছিলেন। সকাল থেকেই পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের পদচারণায় ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে উঠেছিল। পরীক্ষা চলাকালে কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।”

২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের পর রুয়েট আবার এককভাবে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করছে। এবার পুরকৌশল, যন্ত্রকৌশল এবং ইলেকট্রনিক ও কম্পিউটার কৌশল অনুষদগুলোর অধীন ১৪টি বিভাগে মোট ১ হাজার ২৩০টি সাধারণ আসন রয়েছে। এর পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রাম ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য সংরক্ষিত পাঁচটি আসন রয়েছে। সবমিলিয়ে মোট ১ হাজার ২৩৫টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।

ঢাকা/মাহাফুজ/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ র থ অন ষ ঠ ত

এছাড়াও পড়ুন:

সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না, মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন: সিইসি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, 'আমাদের একটা অভ্যাস হয়ে গেছে একটা নেতিবাচক সংবাদ দেখলেই যাচাই-বাছাই না করে শেয়ার করে দেওয়া হয়। অত্যন্ত ভিত্তিহীন সংবাদও আমরা শেয়ার করে দেই।'

সিইসি বলেন, 'দয়া করে সত্য মিথ্যা যাচাই না করে শেয়ার করবেন না। এই মেসেজটা তৃণমূলে ছড়িয়ে দিন। তথ্যটা যেন আগে যাচাই করে তারপরে শেয়ার করেন।'

আজ সোমবার রাজধানীর ভাটারায় আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নে (এজিবি) এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এসব কথা বলেন সিইসি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় ভুয়া সংবাদের প্রচার ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপপ্রয়োগ রোধে করণীয় সম্পর্কে তিনি এসব কথা বলেন।

থানা আনসার কোম্পানি/প্লাটুন সদস্যদের আনসার মৌলিক প্রশিক্ষণের (৪র্থ ধাপ) সমাপনী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিইসি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো সংবাদ দেখা মাত্রই নাগরিকদের যাচাইবাছাই করতে আহ্বান জানান সিইসি। নিশ্চিত হওয়ার আগে শেয়ার না করতে বলেন তিনি।

জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যে আনসার ভিডিপির ভূমিকাকে মূল শক্তি বলে উল্লেখ করেন সিইসি। তিনি বলেন, 'এনারাই অধিক সংখ্যায় নিয়োজিত থাকেন। এবং আমাদের হিসেব করতে গেলে প্রথম এদেরকেই হিসেব করতে হয় যে, কতজন আনসার ভিডিপি সদস্য আমরা মোতায়েন করতে পারব। মূল কাজটা আঞ্জাম (সম্পাদন) দিতে হয় কিন্তু আনসার এবং ভিডিপির সদস্যদের।'

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদ। নির্বাচনকালীন জনগণের নিরাপত্তা, ভোট কেন্দ্রের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা এবং সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণে আনসার বাহিনী সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে কাজ করছে বলে জানান তিনি। নির্বাচনে দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ আনসার ও ভিডিপি সদস্য দায়িত্বপালন করবেন বলেন মহাপরিচালক।

অনুষ্ঠানে মহড়ায় ঢাকা মহানগর আনসারের চারটি জোনের অধীন প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ৩২০ জন আনসার ও ভিডিপি সদস্য অংশ নেন।  আনসার গার্ড ব্যাটালিয়নের সদস্যরা টহল, দায়িত্ব বণ্টন ও জরুরি প্রতিক্রিয়া অনুশীলনে অংশ নেন।

মহড়ায় ভোটকেন্দ্রে নির্বাচনী সরঞ্জামাদি নিরাপদে পৌঁছে দেওয়া, ভোটারদের শৃঙ্খলাবদ্ধভাবে ভোট প্রদানে সহায়তা, জাল ভোট প্রতিরোধ, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা এবং সেনা, বিজিবি, র‍্যাব ও পুলিশের সঙ্গে দ্রুত সমন্বয়ের প্রস্তুতি নেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিভিন্ন জোনের অধিনায়ক এবং প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ