মেসির কাছে অটোগ্রাফ চেয়ে শাস্তি পেলেন রেফারি
Published: 21st, February 2025 GMT
প্রথমে জানা গিয়েছিল, লিওনেল মেসির কাছে তাঁর জার্সি চেয়েছিলেন রেফারি। কিন্তু পরে জানা গেছে, ইন্টার মায়ামি তারকার জার্সি নয়, অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন রেফারি মার্কো আন্তনিও ওরতিজ নাভা। এমনিতে ব্যাপারটা কিছুই না মনে হতেই পারে। তবে কনফেডারেশনসের বিধিমালায় ম্যাচ অফিশিয়ালদের জন্য যে আচরণবিধি, রেফারি মার্কো আন্তনিও সেটা ভেঙেছেন বলে মনে করছে কনক্যাকাফ কর্তৃপক্ষ। আর তাই শাস্তি দেওয়া হয়েছে মেক্সিকান এ রেফারিকে। তবে কী শাস্তি দেওয়া হয়েছে, তা জানায়নি কনক্যাকাফ কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুনবরফঠান্ডায় ফুটবল: একটি ‘মেসি–পদ্ধতি’ ২ ঘণ্টা আগেকানসাস সিটির চিলড্রেন মার্কি পার্কে গতকাল কনক্যাকাফ চ্যাম্পিয়নস কাপে রাউন্ড ওয়ানের প্রথম লেগে স্পোর্টিং কানসাস সিটিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে মায়ামি। গোলটি করেন মায়ামির আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি মেসি। ইএসপিএন শুরুতে জানিয়েছিল, ম্যাচ শেষে মেসির কাছে তাঁর জার্সি চেয়েছেন রেফারি মার্কো আন্তনিও। তীব্র ঠান্ডার ভেতরে মেসি মাঠে জার্সি না খুলে ড্রেসিংরুমে গিয়ে সেটা রেফারির হাতে তুলে দেন। পরে জানা গেছে এবং ইএসপিএনও অন্য এক প্রতিবেদনে জানায়, পরিবারের বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এক সদস্যের জন্য মেসির জার্সি নয়, তাঁর অটোগ্রাফ চেয়েছিলেন মার্কো আন্তনিও। আর এতেই তিনি কনক্যাকাফ অফিশিয়ালদের আচরণবিধি ভাঙার অভিযোগে দুষ্ট হয়েছেন।
মেক্সিকান রেফারি মার্কো আন্তনিও ওরতিজ নাভা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কনক য ক ফ
এছাড়াও পড়ুন:
ক্রান্তিকালে বিসিবির প্রস্তুতির অভাব দেখছেন তামিম
জাতীয় দলের দীর্ঘদিনের নির্ভরতার প্রতীক তামিম ইকবাল মনে করছেন, সাকিব-মুশফিক-রিয়াদদের বিদায়ের পর বাংলাদেশের ক্রিকেটে যে সংকট তৈরি হয়েছে, তার জন্য আগেভাগে প্রস্তুত ছিল না বিসিবি। এই পরিস্থিতিতে হাই পারফরম্যান্স (এইচপি), টাইগার্স ও ‘এ’ দলের কাঠামোতে আরও বেশি বিনিয়োগের ওপর জোর দিয়েছেন তিনি।
সমকালকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘পাঁচজন অভিজ্ঞ ক্রিকেটার সরে গেছে, যাদের অভিজ্ঞতা ১৫-১৭ বছরের। তারা হাজারের বেশি ম্যাচ খেলেছে। এই মানের ক্রিকেটারদের বিদায়ে শূন্যতা আসবেই। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, বোর্ড কি এই ক্রান্তিকালের জন্য প্রস্তুত ছিল?’
তামিমের মতে, জাতীয় দলের অনেক ক্রিকেটারই এখন ৭-১০ বছর ধরে খেলছেন। এই সময়টাতে তাদের পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য বিকল্প খেলোয়াড় গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলকে যতটা সম্ভব সুযোগ-সুবিধা দিন, কিন্তু ভবিষ্যতের কথা ভেবে এইচপি, টাইগার্স ও “এ” দলে বেশি ফোকাস করুন। এই জায়গাগুলোতে ভালো বিনিয়োগ না হলে জাতীয় দল সবসময় ধুঁকতেই থাকবে।’
তবে সামগ্রিকভাবে দেশের ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী তামিম। তার ভাষায়, ‘আমরা কখনোই তিন সংস্করণে একসঙ্গে ভালো করিনি। এই দলটাকেও যদি সময় দেওয়া হয়, তারা ঘুরে দাঁড়াবে।’
ভবিষ্যৎ তারকা নিয়ে কথা বলতে গিয়ে তামিম বেশ কয়েকজনের নাম তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘পেস বিভাগে তাসকিন আছে, নতুন নাহিদ রানা ভালো করছে। তাইজুল চমৎকার স্পিনার। হৃদয়, জাকের আলীরাও সম্ভাবনাময়। এদের মধ্য থেকেই কেউ কেউ বড় তারকা হয়ে উঠতে পারে।’
সবশেষে তিনি বোর্ডের প্রতি ক্রিকেটারদের পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘ক্রিকেটারদের আত্মবিশ্বাস দিন, বোঝান– তারা বোর্ডের পূর্ণ সমর্থন পাচ্ছে।’