আল্লাহ ও নবী সা.কে নিয়ে কটুক্তিকারী রাখাল রাহাকে গ্রেপ্তার এবং র‍্যাব কর্মকর্তা ধর্ষক আলেপের মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে খুলনায় বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

শুক্রবার জুমার নামাজের পর নগরীর শিববাড়ি মোড়ে তৌহিদী ছাত্রজনতা, খুলনার ব্যানারে এ বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে কবি সোহেল হাসান গালিবের বিরুদ্ধেও ছাত্রজনতাকে স্লোগান দিতে দেখা গেছে। 

বক্তাগণ বলেন, ‘‘আমাদের প্রাণপ্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) কে নিয়ে কটুক্তিকারী রাখাল রাহার ঠাঁই এ বাংলায় হবে না। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে রাখাল রাহা এবং র‍্যাব কর্মকর্তা ধর্ষক আলেপের মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানাই। আমরা বলতে চাই আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদকে নিয়ে যারা কটুক্তি করবে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আর প্রশাসন যদি এটা করতে ব্যর্থ হয় তাহলে আমরা এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হবো।’’

এ সময় প্রশাসন থেকে র এজেন্ট চিহ্নিত করে তাদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানায় তৌহিদী ছাত্রজনতা।  

সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি শিববাড়ি মোড় থেকে শুরু হয়ে আপার যশোর রোড হয়ে নিউমার্কেট প্রদক্ষিণ করে পুনরায় শিববাড়ি মোড়ে এসে শেষ হয়।

এ সময় তৌহিদী ছাত্রজনতা, খুলনার পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আব্দুল্লাহ আল মামুন, হানজালাহ বিন মুস্তাকিম, আরিফুজ্জামান নয়ন, কামরুল হাসান প্রমুখ।

নূরুজ্জামান//

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ছ ত রজনত

এছাড়াও পড়ুন:

সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা

সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।

আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।

বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।

বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’

বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।

বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।

জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’

বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ