মৃত্যুর মুখ থেকে দেশে ফিরলেন পাঁচ বাংলাদেশি
Published: 21st, February 2025 GMT
দালালের প্রতারণায় লিবিয়া গিয়ে নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে দেশে ফিরলেন পাঁচ বাংলাদেশি। শুক্রবার ভোরে টার্কিশ এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে দেশে ফেরেন তারা। মানব পাচারের শিকার ব্যক্তিরা হলেন– ঢাকার মোস্তাকিম সরকার, শেরপুরের মোজাম্মেল হক, মাদারীপুরের জিহাদ ফকির, রোমান হাওলাদার ও ইয়াসিন হাওলাদার।
পাচারের শিকার ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলিতে মানব পাচার চক্রের সদস্যরা তাদের জিম্মি করে অত্যাচার করে। নির্যাতিত ব্যক্তিদের দিয়ে স্বজনের কাছে মুক্তিপণ চায়। দেশ থেকে টাকা পাঠানোর পর তাদের ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি পাঠানোর জন্য নৌকায় তুলে দেয়। সাগরে নৌকা নষ্ট হয়ে যাওয়ার পর তিউনিসিয়ার কোস্টগার্ড তাদের উদ্ধার করে। এর পর তাদের আলজেরিয়া সীমান্তে নিয়ে গেলে তারা সেখানে অনুপ্রবেশের দায়ে বিভিন্ন মেয়াদে জেল খাটেন। পরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এবং আলজেরিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সহায়তা নিয়ে তাদের দেশে ফিরিয়ে আনে বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাক।
বিমানবন্দরে কর্মরত আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পরিদর্শক শাহ আলম মৃধা বলেন, ইউরোপে যাওয়ার জন্য দেশছাড়া বাংলাদেশিরা ভয়াবহ নির্যাতন-নিপীড়নের শিকার হয়েছেন।
ভূমধ্যসাগরে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফেরা মাদারীপুরের ইয়াসিন হাওলাদার বলেন, লিবিয়ায় মাফিয়ার কাছে আটক ছিলাম। আমার পরিবার ঋণ, জমি বন্ধক ও আত্মীয়দের কাছ থেকে ধার নিয়ে দালালদের ২৬ লাখ টাকা মুক্তিপণ দিয়েছে। এখন আমার পরিবারের আর কিছুই নেই।
ব্র্যাকের মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সিনিয়র ম্যানেজার আজিজ আহমেদ বলেন, ২০২৪ সালের অক্টোবর মাসে মানব পাচারের শিকার আরও আট বাংলাদেশিকে ব্র্যাক ও টিআইপি হিরো নেটওয়ার্কের সহায়তায় দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকসু নির্বাচন বানচালের জন্যই ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে: ছাত্র অধিকার পরিষদ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন বানচাল করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে বলে দাবি করেছেন ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা। সোমবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বিন ইয়ামিন বলেন, ডাকসু নির্বাচন বানচাল করার জন্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ভয় দেখানের জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে।
বিন ইয়ামিন আরও বলেন, যাঁরা এই ক্যাম্পাসে পূর্বের কায়দায় ককটেল, বোমা ও লাশের রাজনীতি প্রতিষ্ঠা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক পরিবেশ বিনষ্ট করবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, তাদের ‘কালো হাতকে’ শিক্ষার্থীরা সমুচিত জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছেন।
সোমবার সকালে আইন অনুষদের সামনে থেকে সাতটি অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করা হয়