৫ লাখ আসনে ছাড়মূল্যে টিকিট দেবে এয়ার অ্যারাবিয়া, দাম শুরু ১২ হাজার টাকা থেকে
Published: 21st, February 2025 GMT
ছাড়মূল্যে ৫ লাখ আসনের টিকিট বিক্রি করবে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকাভিত্তিক উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা এয়ার অ্যারাবিয়া। ‘সুপার সিট সেল’ নামে প্রতিষ্ঠানের প্রচারের একটি উদ্যোগের আওতায় এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।
এয়ার অ্যারাবিয়ার এই উদ্যোগে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের শারজা ও আবুধাবিতে বিরতিহীন ফ্লাইটে করে যাতায়াত করতে পারবেন যাত্রীরা। সেখান থেকে তাঁরা সৌদি আরব, তুরস্ক, জর্ডান, কাতার, পোল্যান্ড, গ্রিস, ইতালি, মিসর, আজারবাইজানসহ নানা গন্তব্যে যাত্রা অব্যাহত রাখতে পারবেন। এক পথে (ওয়ান ওয়ে) যাতায়াতের ক্ষেত্রে টিকিটের সর্বনিম্ন দাম পড়বে ১১ হাজার ৮৬৬ টাকা।
বিশেষ এই উদ্যোগের আওতায় ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৭ মার্চ পর্যন্ত টিকিট বুক করা যাবে। ওই টিকিট দিয়ে তাঁরা চলতি বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ২৮ মার্চ পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারবেন। বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও ঢাকা থেকে শারজা ও আবুধাবিতে যাত্রীরা ১১ হাজার ৮৬৬ টাকায় যাতায়াতের সুযোগ পাবেন। সেখান থেকে অন্যান্য গন্তব্যে যাওয়ার সুযোগ থাকবে।
এয়ার অ্যারাবিয়া মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার প্রথম ও কম খরচে সেবা দেওয়া সবচেয়ে বড় উড়োজাহাজ পরিবহন সংস্থা। বর্তমানে ২০০টির বেশি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনা করে থাকে তারা।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বংশে তিনি প্রথম, তাই এত আয়োজন
চীনে উচ্চশিক্ষার জন্য অভিজাত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে বেইজিংয়ের পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়। সেখানে ভর্তি হওয়ার সুযোগ পাওয়া দেশটির যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য দারুণ সম্মানের। এ বছর পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন লি গুওইয়াও।
লির বাড়ি জেজিয়াং প্রদেশের ওয়েনজউ শহরে। এর আগে তাঁর বংশে শত বছরের ইতিহাসে কেউ পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পাননি। এত বড় সম্মানের উপলক্ষ উদ্যাপন করতে তাই বিন্দুমাত্র কার্পণ্য করেননি লির পরিবার ও গ্রামের বাসিন্দারা। রীতিমতো লালগালিচা বিছিয়ে, মোটর শোভাযাত্রা করে, ব্যান্ড বাজিয়ে পরিবার ও গ্রামের মুখ উজ্জ্বল করা লিকে সংবর্ধনা দেন তাঁরা, সঙ্গে ছিল ভূরিভোজের ব্যবস্থা। চীনের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম উইবোতে এই সংবর্ধনার ছবি ও ভিডিও রীতিমতো ভাইরাল হয়ে যায়।
চীনে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য জাতীয় পর্যায়ে একটি পরীক্ষা নেওয়া হয়। যেটি ‘গাওকাও’ নামে পরিচিত। তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ এই পরীক্ষা বেশ কঠিন। পরীক্ষায় মোট ৭৫০ নম্বরের মধ্যে লি পেয়েছেন ৬৯১।
লির গ্রামের এক প্রতিবেশী জানান, লির বাবা নির্মাণশ্রমিক। লির মা মাত্র ২ হাজার ৮০০ ইউয়ান বেতনে একটি সুপারশপে কাজ করেন। সত্যি বলতে, ছেলেটি সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টা আর পরিশ্রমে এটা অর্জন করেছেন।
প্রতিবেশী আরেক গ্রামবাসী বলেন, লি তাঁর বাবার কাছ থেকে পাওয়া একটি পুরোনো মুঠোফোন দিয়ে প্রশ্নোত্তর অনুশীলন করতেন। সাপ্তাহিক ছুটির দিনগুলোয় গ্রামের গ্রন্থাগারে বসে পরীক্ষার প্রশ্নপত্র হাতে লিখে তারপর সেগুলো অনুশীলন করতেন। মাধ্যমিকে তিনি কখনো কোনো প্রাইভেট শিক্ষকের কাছে পড়েননি।
লিকে সংবর্ধনা দিতে শতাব্দীপ্রাচীন ঐতিহ্য ভেঙে তাঁদের গ্রামের পূর্বপুরুষদের মন্দিরের প্রধান ফটক খোলা হয়, যা একটি বিশেষ সম্মানের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত।
লিকে সংবর্ধনা দেওয়ার ছবি ও ভিডিও চীনজুড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
অনলাইনে একজন লেখেন, ‘পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে ৬৯১ নম্বর! এটা অবিশ্বাস্য। সত্যিই পুরো পরিবারের মুখ উজ্জ্বল করেছে!’
তবে কেউ কেউ এই জমকালো উদ্যাপন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
তাঁরা বলেছেন, এটা কি একটু বাড়াবাড়ি নয়? উৎসবটা খুবই জাঁকজমকপূর্ণ, এতে ছেলেটার ওপর অকারণ চাপ তৈরি হতে পারে। স্নাতক হওয়ার পর কি পরিবার তাঁর কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু প্রত্যাশা করবে না?