মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীমের মৃত্যু
Published: 22nd, February 2025 GMT
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে মসজিদে হামলার ঘটনায় আহত ইব্রাহীম খলিল (৫০) মারা গেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন: ক্রিকেট খেলা নিয়ে দ্বন্দ্বে মসজিদে ঢুকে হামলা-ভাঙচুরের অভিযোগ
আরো পড়ুন:
মাদক সেবনে নিষেধ করায় ২ যুবককে মারধর
উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ডাকাতি, গুলিবিদ্ধ ৪
মারা যাওয়া ইব্রাহীম দেবিদ্বার পৌর এলাকার ফতেহাবাদ দক্ষিণপাড়ার মৃত হাসন আলীর ছেলে। তিনি ফতেহাবাদ বায়তুল আল আকসা জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় এক মাস আগে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে গ্রামের ছেলেদের মধ্যে বিরোধ হয়। ওই ঘটনার সূত্র ধরে গত ১৪ ফেব্রুয়ারি রাত ৮টার দিকে কান্দারপাড় এলাকার ব্রিজের ওপর মাসুদ ও কামরুলের বিবদমান দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে মাসুদ, ওবায়দুল ও জিল্লুরের নেতৃত্বে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৫-৩০ জন যুবক সংঘটিত হয়ে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কামরুলদের ওপর হামলা চালায়। কামরুল দৌঁড়ে ‘বায়তুল আকসা জামে মসজিদে’ আশ্রয় নিলে তারা মসজিদের ভেতরে ঢুকে হামলা চালায়। হামলাকারীরা মসজিদের দরজা-জানালা ভাঙচুর করে। মসজিদে তখন শবে-বরাতের নামাজ চলছিল।
মুসল্লিরা হামলাকারীদের বাধা দেন। এসময় হামলাকারীদের আঘাতে ইব্রাহীম খলিলসহ ১০-১২ জন আহত হন। গুরুতর ইব্রাহীমকে রাতেই ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনায় ১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে ইব্রাহীম খলিলের বড় ভাই মো.
দেবিদ্বার থানার ওসি শামসুদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ বলেন, “পূর্বশত্রুতার জেরে শবে-বরাতের রাতে ফতেহাবাদে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, মসজিদে হামলা, ভাঙচুর হয়। এ ঘটনায় আহত ইব্রাহীম খলিল মারা গেছেন। আমরা একজনকে ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছে। আরো দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত ঘটন য় মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে যশোর আইনজীবী সমিতির চার সদস্যকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় ওই চারজনের কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবের শুনানি শেষে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত সদস্যরা হলেন আইনজীবী আবদুর রাজ্জাক, সৈয়দ কবির হোসেন, রফিকুল ইসলাম রফিক ও তরফদার আবদুল মুকিত। তাঁদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আদালতের সব কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
এ সমিতির সাধারণ সম্পাদক এম এ গফুর বলেন, ‘অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কেউ সমিতির নিয়মনীতির ঊর্ধ্বে নন। বৃহস্পতিবার ওই চার সদস্যকে বহিষ্কারের বিষয়টি নোটিশ দিয়ে জানানো হবে।’
সমিতি সূত্রে জানা গেছে, যশোর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সৈয়দ কবির হোসেনের (জনি) কাছে ৩৫ লাখ টাকায় শহরের বারান্দীপাড়া কদমতলা এলাকায় জমি বিক্রি করেন ইমরান হাসান। জমি রেজিস্ট্রির আগে সব টাকা পরিশোধের কথা থাকলেও সৈয়দ কবির হোসেন ১০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। বাকি ২৫ লাখ টাকা না দিয়ে টালবাহানা করতে থাকেন। পরে তিনি আরও ১৭ লাখ টাকা দেন। বাকি ৮ লাখ টাকা চাইলে হুমকি দিতে থাকেন কবির হোসেন। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে ইমরান হাসান আইনজীবী সমিতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
সমিতির নির্বাহী কমিটির সভায় তদন্ত প্রতিবেদনের ওপর শুনানি শেষে কবির হোসেনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কবির হোসেনকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়।
এ বিষয়ে আইনজীবী কবির হোসেন বলেন, ‘বহিষ্কারের বিষয়টি আমি শুনেছি। তবে যে বিষয়ে আমাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, সেই বিষয়ে অভিযুক্ত আমি নই। তারপরও আইনজীবী সমিতি আমার অভিভাবক; তারা যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তার বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই।’
অন্যদিকে অভয়নগরের নওয়াপাড়ার জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশন পাওনা টাকা আদায়ে আবদুর রাজ্জাককে মামলার আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছিল। ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আবদুর রাজ্জাক আটটি চেকের মামলা পরিচালনা করেন। এসব মামলার রায় ও আপিল বাদীর অনুকূলে যাওয়ার পর আটটি চেকের ৪১ লাখ ১২ হাজার ৫০০ টাকা ব্যাংক থেকে উত্তোলন করে নেন আবদুর রাজ্জাক। এ টাকা জয়েন্ট ট্রেডিং কর্তৃপক্ষকে না দিয়ে তিনি ঘোরাতে থাকেন। চলতি বছরের ৪ জুন তিনি ১৫ লাখ টাকার একটি চেক দেন। চেকটি ব্যাংকে জমা দিলে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় নগদায়ন করা যায়নি। টাকা আদায়ে ব্যর্থ হয়ে জয়েন্ট ট্রেডিং করপোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবদুল ওহাব গত ২৮ জুলাই আবদুর রাজ্জাকের বিরুদ্ধে যশোর আইনজীবী সমিতি বরাবর অভিযোগ করেন।
এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আবদুর রাজ্জাককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় যশোর আইনজীবী সমিতি। নোটিশের জবাব সন্তোষজনক না হওয়ায় আবদুর রাজ্জাককে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সাময়িক বহিষ্কার করা হয়। এ ছাড়া রফিকুল ইসলাম রফিক তাঁর সহকর্মীর সঙ্গে অসদাচরণ ও মামলা করতে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে মামলা না করায় সমিতির সুনাম ক্ষুণ্ন করায় সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। আইনজীবী তরফদার আবদুল মুকিতের বিরুদ্ধেও নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে তাঁকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।