সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

যুক্তরাষ্ট্রের সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান ‘চেয়ারম্যান অব জয়েন্ট চিফ অব স্টাফ’ জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্ত করেছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) তাকে সশস্ত্র বাহিনীর এ শীর্ষ পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়।

জানা গেছে, চার্লস কিউ ব্রাউনের স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন বিমানবাহিনীর (অব.

) লেফটেন্যান্ট জেনারেল জন ড্যান কেইন। আর এটি হতে যাচ্ছে নজিরবিহীন একটি ঘটনা। কারণ, এই সামরিক কর্মকর্তাকে অবসর থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে এবং তিনি চার স্টার জেনারেলও না।

এদিকে নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রুথ সোশ্যালে এই ইস্যুতে একটি পোস্ট দিয়েছেন ট্রাম্প।

সেখানে জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে ‘ভদ্রলোক’ ও ‘দারুণ নেতা’ হিসেবে উল্লেখ করার পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর আরও কিছু কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প লিখেছেন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথকে আমি আরও পাঁচজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে নির্দেশনা দিয়েছি। যেগুলো খুব দ্রুতই ঘোষণা করা হবে।

এর আগে, গত ২০ জানুয়ারি শপথ নেওয়ার আগে সশস্ত্র বাহিনীতে ব্যাপক রদবদল আনার ঘোষণা দিয়েছিলেন ট্রাম্প। জেনারেল চার্লস কিউ ব্রাউনকে বরখাস্তের মাধ্যমে সেটির সূচনা করলেন তিনি।

সূত্র: রয়টার্স, সিএনএন

বিএইচ

উৎস: SunBD 24

কীওয়ার্ড: চ র লস ক উ ব র সশস ত র ব হ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দলগুলো ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে ব্যর্থ হলে সরকার নিজের মতো সিদ্ধান্ত নেবে

জুলাই জাতীয় সনদ বা সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যে মতভেদ দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ। এ বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ উদ্যোগে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে সম্ভাব্য দ্রুততম সময়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে ঐক্যবদ্ধ দিক-নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত দিতে না পারে, তাহলে সরকার তার মতো করে সিদ্ধান্ত নেবে।

আজ সোমবার রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের ‘জরুরি সভায়’ এই সিদ্ধান্ত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। পরে সেখানে এক সংবাদ সম্মেলনে সরকারের সিদ্ধান্ত জানান আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল। সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, আদিলুর রহমান খান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

গত মঙ্গলবার জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের উপায় নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে বলা হয়েছে, সনদের সংবিধান-সম্পর্কিত সংস্কার প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়নে বিশেষ আদেশ জারি করে তার ভিত্তিতে গণভোট হবে। গণভোটে প্রস্তাব পাস হলে আগামী সংসদ সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ২৭০ দিনের মধ্যে সংবিধান সংস্কার করবে।

তবে গণভোট কবে হবে, সে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার সরকারের ওপর ছেড়ে দিয়েছে ঐকমত্য কমিশন। সরকার সিদ্ধান্ত নেবে গণভোট কি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন একই সঙ্গে হবে, নাকি আগে হবে। এসব সুপারিশ জমা দেওয়ার পর রাজনৈতিক দলগুলো পরস্পরবিরোধী অবস্থান নিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ জরুরি বৈঠকে বসে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদ।

সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছেন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ