ঝিনাইদহে জমি নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৮
Published: 22nd, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকূপা উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। এ সময় ভাঙচুর করা হয়েছে কয়েকটি ঘর বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ইউনিয়নের চড়পাড়া গ্রামে ঘটনাটি ঘটে। শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এলাকাবাসী জানান, চড়পাড়া গ্রামের সেলিম হোসেন ও আতিয়ার রহমানের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছে। আজ দুপুরে আতিয়ার রহমানের সমর্থক সুমন মাঠের কাজ শেষে বাড়ি ফিরে দেখেন, প্রতিপক্ষ সেলিম হোসেনের লোকজন তাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করছে। এ সময় দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হন অন্তত আটজন। কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করেন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়া ব্যক্তিরা। পরে আহতদের ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে নিয়ে যান এলাকাবাসী।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে হামলা, নারী নিহত
কুয়েটে শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও হল খোলা, তদন্ত শুরু
শৈলকুপা থানার ওসি মাসুম খান বলেন, “গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মারামারিতে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হয়েছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।”
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ আহত স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
দিনাজপুরে শিয়ালের কামড়ে আহত ৮
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় শিয়ালের কামড়ে আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাত আটটা থেকে নয়টার মধ্যে উপজেলার পুঁটিমারা ইউনিয়নের আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, চণ্ডীপুর ও বেড়ামাইল গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন আন্দলগ্রাম সারাইপাড়া এলাকার রকিব মিয়া (৬২), চড়ারহাট এলাকার এনামুল হক (৪৬) ও তাঁর স্ত্রী মরিয়ম বেগম (৩৫), ইসাহাক আলী (৪৫), আবদুল হক (৫০), হীরা (২৬), চণ্ডীপুর গ্রামের ফসি উদ্দিন (৪৫) ও বেড়ামাইল গ্রামের সাজ্জাদ হোসেন (২৫)।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, শিয়ালের কামড়ে আহত আটজনের মধ্যে পাঁচজন গতকাল রাতেই বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি (ইউপি সদস্য) শেফালী বেগম ও আহত রকিব মিয়া বলেন, শুক্রবার রাত আটটার দিকে নবাবগঞ্জের চড়ারহাট বাজার থেকে কয়েকজন পথচারী হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে নয়াপাড়া গ্রামে ঢোকার সময় রাস্তায় একটি শিয়াল অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। কিছুক্ষণ পর হঠাৎ শিয়ালটি দৌড়ে এসে পথচারীদের পায়ে ও হাঁটুর নিচে কামড় দেয়। এ সময় কেউ কেউ শিয়ালটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে সেটির সঙ্গে ধস্তাধস্তিও হয়। পরে শিয়ালটি পালিয়ে যায়।
শেফালী বেগম বলেন, ওই রাতেই নয়াপাড়া গ্রামে মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বাড়ির দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ একটি শিয়াল এসে তাঁর পায়ে কামড় দিয়ে পালিয়ে যায়। প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে সারাইপাড়া, নয়াপাড়া, বেড়ামাইল ও চণ্ডীপুর গ্রামের আটজনকে শিয়াল কামড় দেয়।
বিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাহাজুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাত ১০টার দিকে শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজন রোগী হাসপাতালে আসেন। তাঁরা সবাই চিকিৎসা নিয়ে রাতেই বাড়ি ফিরে গেছেন।