সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

ভিসা ইস্যুতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দৃঢ় অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করছে ঢাকার ইতালি দূতাবাস। দূতাবাস বলছে, ইতালি থেকে অতিরিক্ত কর্মী আসায় সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ভিসা প্রক্রিয়া আগের চেয়ে উন্নত হয়েছে এবং আগামী মাসগুলোতে ভিসা সংক্রান্ত জট কেটে যাবে।

শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে ঢাকার ইতালি দূতাবাস।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দূতাবাস উভয় দেশের পুলিশ কর্তৃপক্ষকে পূর্ণ সহায়তা দিয়েছে এবং উভয় দেশে জালিয়াতিমূলক কার্যকলাপ বোঝা এবং শনাক্তকরণে সক্রিয়ভাবে অবদান রাখছে। ভিসা ইস্যুতে ইতালীয় পুলিশ পরিচালিত একটি তদন্তে সম্প্রতি দূতাবাসের দুই প্রাক্তন কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছে। যার মধ্যে একজন ইতালীয় এবং এক বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন, তাদের গৃহবন্দি করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, এ ধরনের উদ্যোগ দূতাবাস এবং অন্যান্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অপরাধমূলক নেটওয়ার্ক ভেঙে ফেলার জন্য এবং অভিবাসীদের অপব্যবহার ও শোষণ থেকে রক্ষা করার বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেওয়াকে প্রমাণ করে। ভিসা আবেদনকারীদের আবারও অনুরোধ করা হচ্ছে যে, তারা যেন দূতাবাস এবং ভিএফএস গ্লোবাল কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশিত কনস্যুলার এবং পরিষেবা ফি ব্যতীত কাউকে কোনো তথ্য বা অর্থ না দেন। পাশাপাশি তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতাকারীদের এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হলো।

আবেদনকারীদের আবেদন প্রক্রিয়ার সঙ্গে সম্পর্কিত যেকোনো অসদাচরণের অভিযোগ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছে ঢাকার ইতালি দূতাবাস।

এএ

.

উৎস: SunBD 24

এছাড়াও পড়ুন:

মানুষের ‘দ্বিতীয় ঘুম’এর যুগ সম্পর্কে কতটা জানেন

তেলের বাতি, গ্যাসের বাতি এবং বৈদ্যুতিক বাতি ক্রমে সভ্যতায় যোগ হয়েছে। এর আগে মানুষ প্রাকৃতিক আলোর সঙ্গে মানিয়ে জীবন যাপন করতো। প্রাক-শিল্প যুগের সমাজে ‘দ্বিতীয় ঘুম’-এর অভ্যাস ছিলো মানুষের। 

দ্বিতীয় ঘুম বলতে ঐতিহাসিকভাবে প্রচলিত এমন এক ধরনের ঘুমের ধরণকে বোঝায়, যেখানে মানুষ রাতে একটানা আট ঘণ্টা না ঘুমিয়ে ঘুমকে দুটি ভাগে ভাগ করে নিত। একে দ্বি-পর্যায়ের ঘুম বা খণ্ডিত ঘুম বলা হয়। দেখা যেত যে— সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পর মানুষজন বিছানায় যেত এবং প্রায় ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত। 

আরো পড়ুন:

রক্তস্বল্পতা দূর করতে এই শাক খেতে পারেন

টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়

প্রথম ঘুমের পর তারা প্রায় এক ঘণ্টা জেগে থাকত। এই সময়ে বাড়ির হালকা কাজ করা, প্রার্থনা করা, পড়াশোনা করা, প্রতিবেশীদের সাথে গল্প করা বা অন্তরঙ্গ কার্যকলাপে লিপ্ত হওয়ার মতো কাজগুলো করতো।

তারা আবার বিছানায় ফিরে যেত এবং ভোরের আলো ফোটা পর্যন্ত আরও ৩ থেকে ৪ ঘণ্টা ঘুমাত, যাকে ‘দ্বিতীয় ঘুম’ বা ‘ভোরের ঘুম’ বলা হত।

গত দুই শতাব্দী ধরে সামাজিক জীবনে আসা পরিবর্তনের কারণে মানুষের দ্বিতীয় ঘুমের অদৃশ্য হয়ে গেছে। যেসব কারণে মানুষ দ্বিতীয় ঘুমের অভ্যাস হারিয়ে ফেলেছে, তার একটি হলো ‘কৃত্রিম আলো ব্যবহার।’
১৭০০ এবং ১৮০০ এর দশকে, প্রথমে তেলের বাতি, তারপর গ্যাসের আলো এবং অবশেষে বৈদ্যুতিক আলো রাতকে আরও ব্যবহারযোগ্য করে তুলেছে। ফলে রাতও মানুষের কাছে জাগ্রত সময়ে পরিণত হতে শুরু করে। 

সূর্যাস্তের কিছুক্ষণ পরে ঘুমাতে যাওয়ার পরিবর্তে, মানুষ প্রদীপের আলোতে সন্ধ্যা পর্যন্ত জেগে থাকতে শুরু করে। জৈবিকভাবে, রাতে উজ্জ্বল আলো আমাদের অভ্যন্তরীণ ঘড়িগুলোকে (আমাদের সার্কাডিয়ান ছন্দ) পরিবর্তন করে এবং কয়েক ঘণ্টা ঘুমের পরে আমাদের শরীরকে জাগ্রত করার প্রবণতা কমিয়ে দেয়। 

ঘুমানোর আগে সাধারণ ‘ঘরের’ আলো মেলাটোনিনকে দমন করে এবং বিলম্বিত করে। শিল্প বিপ্লব কেবল মানুষের কাজ করার পদ্ধতিই নয় বরং তারা কীভাবে ঘুমায় তাও বদলে দিয়েছে। 

২০১৭ সালে বিদ্যুৎবিহীন মাদাগাস্কান কৃষি সম্প্রদায়ের ওপর করা একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে লোকেরা এখনও বেশিরভাগ সময় দুই ভাগে ঘুমায়, প্রায় মধ্যরাতে ঘুম থেকে ওঠে।

সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস অবলম্বনে

ঢাকা/লিপি

সম্পর্কিত নিবন্ধ