তারেক রহমানের ৩১ দফা পৌঁছে দিতে রূপগঞ্জে বিএনপির সমাবেশ
Published: 22nd, February 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেয়া রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে সমাবেশ করেছে রূপগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপি।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে পূর্বাচলের ৪নম্বর সেক্টর উপজেলার শিমুলিয়া এলাকায় জনতা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহ্বায়ক মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু। রূপগঞ্জ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাবিবুর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য দেন- রূপগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি এডভোকেট মাহফুজুর রহমান হুমায়ুন, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ বাছির উদ্দিন বাচ্চু, সহসভাপতি আলহাজ¦ আনোয়ার সাদাত সায়েম, আশরাফুল হক রিপন, সাংগঠনিক সম্পাদক বাকির হোসেন, ভুলতা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্বাস উদ্দিন ভুঁইয়া, গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আব্দুল আজিজ মাস্টার, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ¦ আব্দুল মতিন, কাঞ্চন পৌর বিএনপির সভাপতি আলহাজ¦ মজিবুর রহমান ভুঁইয়া, সাধারণ সম্পাদক মফিকুল ইসলাম খান, রূপগঞ্জ থানা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আমিনুল ইসলাম প্রিন্স, নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাহিদ হাসান ভুঁইয়া, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মামুন, বিএনপি নেতা নুরন্নবী, আব্দুল মজিদ সহ আরো অনেকে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি মুস্তাফিজুর রহমান ভুঁইয়া দিপু বলেন, দেশকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে হলে নির্বাচিত সরকারের বিকল্প নাই। ইতোমধ্যে রাষ্ট্র কিভাবে সংস্কার হবে, কিভাবে উন্নয়নের রোল মডেল হবে তার ৩১ দফা রাষ্ট্রকাঠামো ঘোষণা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আমরা তা জনগণের মাঝে পৌঁছে দেবো। জনগণের আস্থা পেতে কাজ করবো। প্রমাণ করতে হবে ধানের শীষ শান্তির প্রতীক। জনগণের নিরাপত্তা ও দেশের সমৃদ্ধি, প্রকৃত গণতন্ত্র আনতে ধানের শীষের বিকল্প নাই।
তিনি আরো বলেন, রূপগঞ্জ ইউনিয়নের ইছাপুরা এলাকায় শত শত কৃষকের জমি দখল করে বাউন্ডারী নির্মাণ করে সাবেক এমপি সন্ত্রাসীদের গডফাদার গাজী দখলে নিয়েছিল। তার ছেলে পাপ্পা গাজী সন্ত্রাসীদের মদদদাতা ছিল। এখন তারা কোথায়? কোথায় গেল তাদের দোসররা। সবগুলি এখন এলাকা ছাড়া, দেশ ছাড়া। আমরা ওইসব সন্ত্রাসীদের মতো হতে চাই না। জনগণের হারানো সম্পদ ফিরিয়ে দিতে কাজ করবো। রূপগঞ্জে যেনো আর কখনো বহিরাগত সন্ত্রাসীরা এসে মাথাচাড়া দিয়ে দাঁড়াতে না পারে সেদিকে সজাগ থাকতে হবে। রূপগঞ্জের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসীর ঠাঁই নেই। দিপু ভুঁইয়া আরো বলেন, ১৩/এ ধারায় শেখ হাসিনা তার পরিবারের নামে, ফরিদপুরের ছাত্রলীগ সভাপতির নামে, তার সহযোগি সন্ত্রাসী, এমপি, মন্ত্রী ও আমলাদের নামে দেয়া হয়েছে পূর্বাচলে প্লট। পূর্বাচলের বাসিন্দা ১৭ শতাংশের বিপরীতে ৫ কাঠার প্লট দেয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০ বিঘা জমির মালিকও ৫ কাঠার প্লট পায়নি। ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলা-কামলারা। ওইসব সকল প্লট বাতিল করে ক্ষতিগ্রস্ত ও আদিবাসীদের নামে প্লট বরাদ্দের আহ্বান জানান।
এর আগে অনুষ্ঠানে হাজার হাজার নেতাকর্মী দলে দলে মিছিল নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হন। পরে বিকাল ৪টা থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ন ব এনপ র র পগঞ জ র রহম ন জনগণ র আলহ জ
এছাড়াও পড়ুন:
স্বচ্ছতার জন্য ডিএনসিসির প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে:
স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে বলে জানিয়েছেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ডিএনসিসির ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত পশ্চিম শেওড়াপাড়া, পশ্চিম কাজীপাড়া ও সেনপাড়া পর্বতা এলাকায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা, ৫ কিলোমিটার নর্দমা ও দেড় কিলোমিটার ফুটপাত নির্মাণকাজের উদ্বোধন ও গণশুনানি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা জানান।
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, ডিএনসিসির সব প্রকল্পের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। প্রকল্পটি কবে শুরু হবে, কবে শেষ হবে, কতা টাকা বরাদ্দ আছে—এসব তথ্য ওয়েবসাইটে দেওয়া হবে। এছাড়া, রাস্তা ও ড্রেন নির্মাণ হলে নির্মাণ সামগ্রী কী, সেটা জনগণের জানা দরকার। যখন জনগণ জানবে, তখন তারা জবাবদিহি করতে পারবে।
তিনি বলেন, “আমি গত সপ্তাহে কাউকে না জানিয়ে ৪২ নম্বর ওয়ার্ডে চলমান কাজ পরিদর্শন করতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম, রাস্তাকে ধরে রাখার জন্য যে ওয়াল (বিশেষ দেয়াল) দেওয়া হয়েছে, সেটার পিলার বানানোর কথা ছিল স্টোন দিয়ে; কিন্তু বানিয়ে রেখেছে ব্রিক দিয়ে। এটা বড় দুর্নীতি। স্থানীয় মানুষ যদি না জানে, কী নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হবে, তাহলে দুর্নীতি করাটা সহজ। তথ্যের যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তথ্য যত বেশি পাবলিক করা হবে, জনগণ তত বেশি জবাবদিহি করতে পারবে। আমি ঠিকাদারকে জানিয়ে দিয়েছি, সঠিক নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার না করলে বিল দেব না। তারা বলেছে, এটা ঠিক করে দেবে।”
মোহাম্মদ এজাজ বলেন, যার যার এলাকার কাজ তারা বুঝে নেবেন। বুঝে নেওয়ার জন্য যত তথ্য ও সহযোগিতা লাগবে, সেটা আমরা দেব। ডিএনসিসির ওয়েবসাইটে প্রকল্পের সব তথ্য ও ঠিকাদারের ফোন নম্বরসহ দেওয়া থাকবে। স্থানীয় জনগণ স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী কাজ বুঝে নেবেন। আমরা চাই, সকলের অংশগ্রহণে উন্নয়নকাজ সম্পন্ন হবে। এতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে।”
তিনি বলেন, “আমরা বিভিন্ন জায়গায় কাজ করতে গিয়ে স্থানীয় সোসাইটি, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের সহযোগিতা পাচ্ছি। সবার অংশগ্রহণ বাড়াতে আমি বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের নিয়ে গণশুনানি করছি। প্রতি মাসে ফেসবুক লাইভে দেশে-বিদেশে বসবাসকারী বাংলাদেশিদের সাথে যুক্ত হচ্ছি। ডিএনসিসির সবার ঢাকা অ্যাপ আছে, সেটির পাসওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের দিচ্ছে না। আগে যারা ক্ষমতায় ছিলেন, তারা ৪ কোটি টাকা খরচ করে এই অ্যাপ বানিয়েছে। পাসওয়ার্ড না দিলে আমরা আইনি ব্যবস্থা নেব।”
ডিএনসিসির প্রশাসক বলেন, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় হকারদের জন্য হাটা যায় না। মানুষের অবাধ চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা যাবে না। ঢাকা শহরে মানুষের চলাচলের অধিকার সবার আগে, সেই অধিকার আমরা বাস্তবায়নের চেষ্টা করব। মিরপুর-১০ এর প্রধান সড়কের যত হকার ও অটোরিকশা আছে, সেগুলো আমরা বন্ধ করে দেব। যারা এ ধরনের ইনফরমাল পেশায় যুক্ত আছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্যও আমরা প্ল্যাটফর্ম করব। তাদের জন্যও বিকল্প ব্যবস্থা আমরা তৈরি করব। এই শহরটা সবার, সবাই একসাথে বসবাস করব; কিন্তু অন্যদের কষ্ট না দিয়ে, অন্যের অধিকার নষ্ট না করে।
বক্তৃতা শেষে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ নির্মাণকাজের উদ্বোধন করেন এবং মোনাজাতে অংশ নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, অঞ্চল-৪ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলম, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হকসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা।
ঢাকা/এএএম/রফিক