জুনের মধ্যে এভিএস পুরোপুরি চালু হবে
Published: 22nd, February 2025 GMT
সরকারি লেনদেন ‘ক্যাশলেস’ করার উদ্যোগ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে গ্রাহক হিসাবের সঠিকতা যাচাইয়ে অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (এভিএস) পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছে সরকার। আগামী জুনে দেশব্যাপী এর প্রয়োগ হবে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা। তারা আরও বলেন, নতুন এ ব্যবস্থা সরকারি ব্যয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে জালিয়াতি রোধ ও অর্থ অপচয় রোধে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
গতকাল শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশ ব্যাংক ট্রেনিং একাডেমিতে অর্থ বিভাগের স্ট্রেনদেনিং পাবলিক ফাইন্যান্সিয়াল প্রোগ্রাম টু অ্যানাবেল সার্ভিস ডেলিভারি (এসপিএফএমএস) আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা এসব কথা বলেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বিত বাজেট ও হিসাবরক্ষণ পদ্ধতি বা ‘আইবাস প্লাস প্লাস’ সফটওয়্যারের ইন্ট্রিগেশন এবং গ্রাহকদের অ্যাকাউন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম পাইলটিং পরে সব পর্যায়ে বাস্তবায়ন রূপরেখা প্রণয়নকে সামনে রেখে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। এসপিএফএমএস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
কর্মশালায় জানানো হয়, গত ২৬ জানুয়ারি থেকে চারটি চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসে পরীক্ষামূলকভাবে এভিএস সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, জননিরাপত্তা বিভাগ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। আগামী জুনের মধ্যে দেশের প্রতিটি হিসাবরক্ষণ অফিসে এভিএস সিস্টেম বাস্তবায়ন করা হবে।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড.
অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব বিলকিস জাহান বলেন, এভিএস সিস্টেম বাস্তবায়নের মূল উদ্দেশ্য সরকারি সব পেমেন্ট ক্যাশলেস করার মাধ্যমে ব্যয় ব্যবস্থাপনার স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে এ পদ্ধতিতে জালিয়াতি ও অর্থের অপচয় রোধ হবে। গ্রাহকদের ভোগান্তি কমবে এবং সঠিক প্রাপকের ব্যাংক হিসাবে অর্থ প্রেরণ নিশ্চিত হবে। তিনি আরও বলেন, এই সিস্টেম সরকারি প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য যাচাই করা এবং চেক ছাপানোর জন্য সরকারের ব্যয় বাবদ ৫০০ থেকে ৬০০ কোটি টাকা সাশ্রয়ে ভূমিকা রাখবে।
সব পর্যায়ে এ উদ্যোগের বাস্তবায়ন রূপরেখা প্রণয়ন বিষয়ে কর্মশালায় উপস্থাপনা তুলে ধরেন বাংলাদেশ ব্যাংক আইসিটি বিভাগের নির্বাহী পরিচালক দেবদুলাল রায়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ল নদ ন অ য প ব যবস থ সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
মঙ্গলবার কুয়াকাটায় রাস উৎসব, গঙ্গা স্নান বুধবার
প্রায় ২০০ বছর ধরে পটুয়াখালীর কলাপাড়ার মদনমোহন সেবাশ্রম মন্দির ও কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরে পৃথক আয়োজনে রাস উৎসব পালন করে আসছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এবছরও জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে হবে এ উৎসব। রাস উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ায় বসছে ৫ দিনব্যাপী মেলা।
কলাপাড়ায় সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে প্রস্তুত করা হচ্ছে মন্দিরের আঙ্গিনাসহ রাধা ও কৃষ্ণের ১৭ জোড়া প্রতিমা।
মঙ্গলবার পূর্ণিমা তিথিতে রাত ৯টা ২২ মিনিটে অধিবাসের মধ্যে দিয়ে শুরু হবে রাস পূজার আনুষ্ঠানিকতা। পরের দিন বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৬ মিনিটে এ তিথি শেষ হবে। সেদিন সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে কুয়াকাটা সৈকতে গঙ্গা স্নান করবেন পুণ্যার্থীরা। এর পর মন্দিরের আঙ্গিনায় রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা দর্শন করবেন তারা। তাই, দুই মন্দিরেই ১৭ জোড়া প্রতিমা বানানো হয়েছে। প্যান্ডেল সাজানোর কাজ শেষ। চলছে লাইটিং ও সাজসজ্জার কাজ।
এ উৎসব উপলক্ষে কলাপাড়ার মন্দির প্রাঙ্গণ, কুয়াকাটার মন্দির প্রাঙ্গণ ও সৈকতে অস্থায়ীভাবে বসছে শতাধিক পোশাক, প্রসাধনী, খেলনা ও গৃহস্থালী সামগ্রীর দোকান। কুয়াকাটায় তিন দিনব্যাপী উৎসব হলেও কলাপাড়ায় এ উৎসব চলবে পাঁচ দিন। এসব দোকানে অন্তত ৩০ লাখ টাকার পণ্য বিক্রির আশা করছেন আয়োজকরা।
কলাপাড়ার শ্রী শ্রী মদনমোহন সেবাশ্রমের রাস উদযাপন কমিটির সভাপতি দিলীপ কুমার হাওলাদার বলেছেন, আজকের মধ্যেই আমাদের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের এ উৎসব হলেও এখানে ৫ দিনব্যাপী মেলায় সব ধর্মের মানুষের আগমন ঘটে। আমাদের মন্দির প্রাঙ্গণে অন্তত ৭০টি দোকান বসেছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে রাস উৎসব সম্পন্ন হবে।
কুয়াকাটার রাধা-কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন মন্ডল বলেছেন, আগামীকাল রাতভর মন্দির প্রাঙ্গণে ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলবে। পরদিন সকালে গঙ্গা স্নান হবে। লাখো পুণ্যার্থীর আগমনের আশা করছি আমরা। বুধবারও গঙ্গা স্নান হবে। উৎসব উপলক্ষে আমাদের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কাউসার হামিদ বলেছেন, রাস উৎসব উপলক্ষে কুয়াকাটায় ১ লাখ পুণ্যার্থী সমাগমের আশা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি, শান্তিপূর্ণভাবে এ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হবে।
ঢাকা/ইমরান/রফিক