মাহমুদউল্লাহকে নিয়েই আজ খেলবে বাংলাদেশ
Published: 24th, February 2025 GMT
রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আজ বাংলাদেশের টিকে থাকার ম্যাচ। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনাল খেলার আশা ভালোভাবে বাঁচিয়ে রাখতে এই ম্যাচটি বাংলাদেশকে জিততেই হবে। আজকের নিউজিল্যান্ড ম্যাচের আগে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, মাহমুদউল্লাহ থাকবেন তো বাংলাদেশের একাদশে?
গতকাল রাওয়ালপিন্ডি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের অনুশীলনে পুরোদমে ব্যাটিং করেছেন মাহমুদউল্লাহ। এটি যতটা না তার ব্যাটিং অনুশীলন ছিল, তার চেয়ে বেশি ছিল তার ফিটনেসের পরীক্ষা। মূলত তিনি পূর্ণমাত্রায় ব্যাটিং করতে পারছেন কিনা, সেটিই দেখা হয়েছে কালকের অনুশীলনে। দল সূত্রের খবর, মাহমুদউল্লাহ সে পরীক্ষায় ভালোভাবেই পাস করেছেন। সূত্র আরও জানিয়েছে, আজ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে তাকে রেখেই হবে বাংলাদেশ দলের একাদশ।
মাহমুদউল্লাহ ফিরলে কে দলের বাইরে থাকবেন সিটি নিয়েও আছে কৌতূহল। জাকের আলী আগের ম্যাচে ভালো ব্যাটিং করেছেন। রিশাদ হোসেনও ব্যাটে-বলে অপরিহার্য। তাহলে মাহমুদউল্লাহ খেলবেন কার জায়গায়?
মাহমুদউল্লাহ খেললে দলে একাধিক সম্ভাব্য পরিবর্তনের কথাই শোনা যাচ্ছে। ওপেনিং থেকে সৌম্য সরকারকে সরিয়ে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন নিজেই উঠে আসতে পারেন তানজিম হাসানের সঙ্গী হিসেবে। মেহেদী হাসান মিরাজ সেক্ষেত্রে খেলবেন তিনে। মিডল অর্ডারে তখনই জায়গা ফাঁকা হবে মাহমুদউল্লাহর জন্য। আবার নাম কাটা যেতে পারে বোলারদের মধ্য থেকেও কারও। অবশ্য ভারত ম্যাচের পর শোনা গিয়েছিল পরের ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ দলে ফিরলে মিডল অর্ডার থেকেই বাদ করতে পারে বড় কোনো নাম।
আরও পড়ুননিউজিল্যান্ডকে চমকে দিতে ভিন্ন কিছু করার চিন্তা বাংলাদেশের ৩ ঘণ্টা আগেশেষ পর্যন্ত কার জায়গায় মাহমুদউল্লাহ খেলবেন সেটি নিশ্চিত হওয়া যাবে আজ ম্যাচের আগে একাদশ ঘোষণার পরই। তবে আপাতত রাওয়ালপিন্ডি স্টেডিয়ামের আজকের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ ফেরাটাই সবচেয়ে বড় সুসংবাদ। এ ছাড়া এই ম্যাচে খেলার সম্ভাবনা আছে ভারত ম্যাচে টিম কম্বিনেশনের কারণে দলে না থাকা পেসার নাহিদ রানারও।
আরও পড়ুনসেঞ্চুরিতে দশে দশ কোহলির, এমন কিছু নেই আর কারও১ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
মাঠ নিয়ে শ্রাবণের আফসোস
আলোচনা-সমালোচনার মধ্যেও বসুন্ধরা কিংসের গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। ফেডারেশন কাপের ফাইনালে আবাহনীর বিপক্ষে টাইব্রেকারে কিংসের জয়ের নায়ক ক্যারিয়ার নিয়ে কথা বলেছেন সমকালের সঙ্গে। শুনেছেন সাখাওয়াত হোসেন জয়
সমকাল: দু’দিনের ফাইনালের অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো?
শ্রাবণ: (হাসি) না, এটা খুব কঠিন ছিল। আমরা সম্পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েছি এক দিন ফাইনাল খেলব, জিতব এবং উদযাপন করব। কিন্তু প্রাকৃতিক কারণে খেলা অনেকক্ষণ বন্ধ ছিল। বাকি ১৫ মিনিট আরেক দিন। এটা একটা নতুন অভিজ্ঞতা। একই চাপ দু’বার নিতে হলো।
সমকাল: এই মাঠের সমস্যার কারণেই কি এমনটা হয়েছে?
শ্রাবণ: অবশ্যই। এত বড় একটা টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা যে মাঠে, সেখানে ফ্লাডলাইট নেই। যদি ফ্লাডলাইটের সুবিধা থাকত, ওই দিনই খেলাটা শেষ করা যেত। আমার মনে হয়, দেশের ফুটবলের কিছু পরিবর্তন করা উচিত। বিশেষ করে আমরা যখন জাতীয় দলের হয়ে বিদেশে খেলতে যাই, তখন দেখি অন্যান্য দেশের মাঠ খুব গতিশীল। আমাদের দেশের মাঠগুলো আন্তর্জাতিক পর্যায়ের না। প্রায় সময়ই সমস্যা হয়। আমরা স্লো মাঠে খেলি। বিদেশে গতিশীল মাঠে খেলতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হয়। আমাদের লিগটা যদি আন্তর্জাতিক মানের মাঠে হতো।
সমকাল: পেনাল্টি শুটআউটের সময় কী পরিকল্পনা ছিল আপনার?
শ্রাবণ: আমি আগেও বলেছি যে অনুশীলনের সময় আগের ম্যাচের টাইব্রেকার নিয়ে কাজ করেছি। কে কোন দিকে মারে, সেগুলো ট্রেনিংয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন কোচ। কোচের দিকনির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করছি এবং সফল হয়েছি।
সমকাল: এমেকার শট ঠেকানোর পর মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছেন। এটি কি আগে থেকেই পরিকল্পনা ছিল?
শ্রাবণ: না, সেভ দেওয়ার পর মাথায় এলো। তাই এমি মার্টিনেজের মতো উদযাপন করেছি। বলতে পারেন, এটি কোনো পরিকল্পনা ছিল না। তৎক্ষণাৎ মাথায় এলো।
সমকাল: জাতীয় দল আর ক্লাব– দুটোর অভিজ্ঞতা যদি একটু বলতেন।
শ্রাবণ: ক্লাব আর জাতীয় দল– দুটো ভিন্ন বিষয়। ক্লাব হচ্ছে শুধু একটা ক্লাবকে প্রতিনিধিত্ব করা। আর জাতীয় দল তো পুরো বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করা। যারা ক্লাবে ভালো পারফরম্যান্স করে, তাদেরই জাতীয় দলে ডাকে। আর জাতীয় দলে ডাক পাওয়াটা একজন প্লেয়ারের সবচেয়ে বড় অর্জন।
সমকাল: আপনি একটি সেভ করেছেন। কিন্তু আবাহনীর মিতুল মারমা পারেননি। জাতীয় দলে বেস্ট ইলেভেনে থাকতে পারবেন?
শ্রাবণ: না না, ব্যাপারটা এমন না। ও (মিতুল) সেভ করতে পারেনি আর আমি পারছি– এটি কিন্তু বড় বিষয় না। ও কিন্তু সেমিফাইনালে সেভ করে দলকে ফাইনালে এনেছে। বরং অনুশীলনে কোচ যাঁকে ভালো মনে করেন, তাঁকেই শুরুর একাদশে রাখেন।
সমকাল: একজন গোলরক্ষক হিসেবে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
শ্রাবণ: আমি চাই দেশসেরা গোলরক্ষক হতে। আমার স্বপ্ন আছে, বিদেশে লিগে খেলব।