গাজীপুরে রেললাইন অবরোধের কারণে আটকা পড়েছে সাতটি ট্রেন, দুর্ভোগে যাত্রীরা
Published: 24th, February 2025 GMT
গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক রেলস্টেশন এলাকায় শিক্ষার্থীদের রেললাইন অবরোধের কারণে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ অঞ্চলের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়েছে। আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে অন্তত সাতটি ট্রেন। এ কারণে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রী ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈরে অবরোধ শুরুর পরই বিভিন্ন স্টেশনে একাধিক ট্রেন আটকে যায়। এর মধ্যে রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ‘সিল্কসিটি এক্সপ্রেস’ টাঙ্গাইলে, ঢাকা থেকে বুড়িমারীগামী ‘বুড়িমারী এক্সপ্রেস’ রাজধানী ঢাকার মৌচাকে, রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ টাঙ্গাইলের মহেরা স্টেশনে, ঢাকা থেকে দিনাজপুরগামী ‘একতা এক্সপ্রেস’ জয়দেবপুর স্টেশনে, ঈশ্বরদী থেকে ঢাকাগামী ‘কমিউটার এক্সপ্রেস’ মির্জাপুরে এবং দিনাজপুর থেকে ঢাকাগামী ‘দ্রুতযান এক্সপ্রেস’ ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে আটকে পড়ে। এ ছাড়া এ সময় পর্যন্ত খুলনা থেকে ঢাকাগামী ‘চিত্রা এক্সপ্রেস’ খুলনায় আটকে থাকার খবর পাওয়া গেছে।
স্টেশনগুলোয় খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ সময় ট্রেন আটকে থাকায় যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন। জরুরি কাজ থাকায় অনেক যাত্রী বিকল্প পথে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা হাসিনা বেগম বলেন, ‘হঠাৎ পথে ট্রেন আটকে থাকলে যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়বে, এটাই স্বাভাবিক। তবে যাত্রীদের নিরাপদে রাখতে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’
বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি নামকরণের দাবিতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর হাইটেক রেলস্টেশন এলাকায় রেললাইন অবরোধ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। আজ সকাল সোয়া ৯টার দিকে রেললাইন অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন তাঁরা। এ কারণে ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।