বাণিজ্য উপদেষ্টা সেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত সময়ে দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছিল। অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প ও অর্থ পাচার দেশের অর্থনীতির ব্যাপক ক্ষতি করেছে।

আজ সোমবার সকালে রাজধানীর ব্রাক সেন্টারে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত দুইদিনব্যাপী ‘অর্থনীতির পুনর্বিন্যাস বিষয়ে টাস্কফোর্সের সুপারিশ’ সংক্রান্ত কনফারেন্সের প্রথম সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সেখ বশিরউদ্দীন বলেন, ব্যাংকিং সেক্টর ও নানা অবকাঠামো নির্মাণে দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে। অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে আমাদের রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণ ও শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়াতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের বেশিরভাগ কাঁচামাল বিদেশ থেকে আসে। শ্রম উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি, পণ্যের উৎপাদন ব্যয় কমানো ও দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে রপ্তানি বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে।

কনফারেন্সের প্রথম সেশনে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ (বিআইডিএস) এর সাবেক ডাইরেক্টর জেনারেল ও অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণে গঠিত টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কে এ এস মুরশিদ।

সিপিডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্য মন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড.

মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

সাকিবের যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তামিম

২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপের আগে সাকিব আল হাসানের একটি সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবালের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের বিষয়ে এবার মুখ খুলেছেন এই সাবেক অধিনায়ক। সমকালকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তামিম পরিষ্কারভাবে জানিয়েছেন, তিনি কোনো ম্যাচ ‘বেছে বেছে’ খেলতে চাননি এবং সাকিবের কথায় কিছু ভুল তথ্য ছিল।

সাক্ষাৎকারে তামিম বলেন, ‘সে তার মতামত দিয়েছে। কিছু ভুল তথ্য দিয়েছে। ওখানে সাকিব একটা কথা বলেছে—আমি বেছে বেছে ম্যাচ খেলতে চেয়েছি। এটা সে কোথায় পেয়েছে? ফিজিও বলেননি, নির্বাচকরা বলেননি, আমিও বলিনি।’ তামিম আরও জানান, এমন মন্তব্য শুনে তিনি কষ্ট নয়, বরং বিস্মিত হয়েছিলেন।

তামিম বলেন, যদি কোনোদিন সাকিবের সঙ্গে আড্ডায় বসা হয়, তাহলে তিনি বিষয়টি জানতে চাইবেন তার কাছ থেকে।

তবে শুধু সাকিবের কথাতেই নয়, বিসিবির সাবেক সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তামিম। তিনি বলেন, ‘সাকিব আর আমার ঝামেলার কথা মিডিয়া অনেক আগে থেকেই জানত। খেলায় প্রভাব না পড়ায় কেউ লিখেনি। কিন্তু বিসিবি সভাপতি প্রকাশ্যে বলে দেওয়ার পর থেকেই মিডিয়ায় এসব লেখা শুরু হয়।’

তামিমের মতে, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের ঠিক আগে বিষয়টি সামনে এনে এমন ‘ভাঙন’ সৃষ্টি করা হয়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদেরই নিতে হবে। যদিও এখন তারা পদে নেই বলে এই মুহূর্তে কিছু বলার জায়গা দেখছেন না তামিম।

সম্পর্কিত নিবন্ধ