বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. হাবিব উন নবী খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নির্বাচন দিতে দেরি হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি।

নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্তের মোকাবিলাসহ নানা দাবিতে রাঙামাটিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।

বেলা তিনটার দিকে রাঙামাটি জেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়ামে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.

মাহবুবের রহমান, বিএনপির নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সহসাংগঠনিক মো. হারুনুর রশিদ, বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের সহসাংগঠনিক সম্পাদক মীর হেলাল উদ্দিন, সাবেক উপমন্ত্রী মনিস্বপন দেওয়ান, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহধর্ম বিষয়ক সম্পাদক দীপেন দেওয়ান, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ প্রমুখ।

প্রায় ২০ বছর পর রাঙামাটিতে বিএনপি এ জনসভা করে। জেলার ১০ উপজেলার বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা যোগ দেন।

বক্তারা বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই এক। এক রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে সবার শরীরে। ভবিষ্যতে জনগণের সমর্থন নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বর্ণ যুগের সূচনা হবে। তাই সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে থাকব। আপনাদের এই পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নয়ন করা হবে।

শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা পরিবারের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, তাই তারা ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার রাখে না। বিদেশে বসে হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব এনপ র

এছাড়াও পড়ুন:

ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান

সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।

ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।

আরো পড়ুন:

আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য

আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।

যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।

লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।

বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।

ঢাকা/আমিনুল

সম্পর্কিত নিবন্ধ