‘নির্বাচন দিতে দেরি হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি’
Published: 24th, February 2025 GMT
বিএনপির কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মো. হাবিব উন নবী খান বলেন, নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা সহ্য করা হবে না। দ্রুত নির্বাচনের ব্যবস্থা গ্রহণ করুন। নির্বাচন দিতে দেরি হলে কঠোর আন্দোলনে যাবে বিএনপি।
নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধি সহনীয় পর্যায়ে রাখা, অবনতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক যাত্রাপথে উত্তরণের জন্য নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা, রাষ্ট্রের পতিত ফ্যাসিবাদের চক্রান্তের মোকাবিলাসহ নানা দাবিতে রাঙামাটিতে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
বেলা তিনটার দিকে রাঙামাটি জেলা বিএনপির আয়োজনে শহীদ শুক্কুর স্টেডিয়ামে জনসভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা বিএনপির সভাপতি দীপেন তালুকদার। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিএনপির নির্বাহী কমিটির চট্টগ্রাম বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.
প্রায় ২০ বছর পর রাঙামাটিতে বিএনপি এ জনসভা করে। জেলার ১০ উপজেলার বিএনপির হাজারো নেতা-কর্মী ও সমর্থকেরা যোগ দেন।
বক্তারা বলেন, পাহাড়ি-বাঙালি আমরা সবাই এক। এক রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে সবার শরীরে। ভবিষ্যতে জনগণের সমর্থন নিয়ে তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে এ পার্বত্য চট্টগ্রাম স্বর্ণ যুগের সূচনা হবে। তাই সবাই মিলে আমরা একসঙ্গে থাকব। আপনাদের এই পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে এই পার্বত্য চট্টগ্রামকে এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে পার্বত্য চট্টগ্রামকে উন্নয়ন করা হবে।
শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বক্তারা বলেন, পালিয়ে যাওয়া শেখ হাসিনা পরিবারের বাংলার মাটিতে রাজনীতি করার অধিকার নেই। আওয়ামী লীগ দেশের নির্বাচনব্যবস্থা ধ্বংস করে দিয়েছে, তাই তারা ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার রাখে না। বিদেশে বসে হাসিনা বাংলাদেশ নিয়ে গভীর ষড়যন্ত্র করছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব এনপ র
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন বাংলাদেশ গড়তে শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন করবে সরকার: প্রধান উপদেষ্টা
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, শ্রমিকদের আগের অবস্থায় রেখে নতুন বাংলাদেশ গড়া সম্ভব নয়। এ জন্য তিনি শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবসমূহ বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আজ বৃহস্পতিবার মহান মে দিবস এবং জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেফটি দিবস-২০২৫ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান উপদেষ্টা এ কথা বলেন। রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আশু করণীয় নিয়ে যাত্রা শুরু করা। এরপর পর্যায়ক্রমে প্রতিটি সুপারিশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করতে হবে।’
‘শ্রমিক মালিক এক হয়ে গড়ব এ দেশ নতুন করে’ স্লোগানকে সামনে রেখে এবারের মে দিবস পালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা পাঁচ শ্রমিকের পরিবারের হাতে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তার চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, শ্রম সংস্কার কমিশনের প্রধান সুলতান উদ্দিন আহম্মদ প্রমুখ বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) মহাপরিচালক গিলবার্ট এফ হাংবোর একটি ভিডিও বার্তা প্রচার করা হয়।