ঝিনাইদহের শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডারসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা এবং গাজিপুর জেলার সোনাতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু সাঈদ ও জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলাম।

র‌্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার হরিণাকুন্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আসামি ধরতে অভিযান শুরু করে র‌্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু সাঈদকে আটক করা হয়। ঠিক একই সময় র‌্যাবের পৃথক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করে। তাদের দুইজনকে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এরা হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।

গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্বশানঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হরিণাকুন্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিায়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম।

এই ৩ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন জাসদ গণবাহিনীর কালু। তিনি ওই রাতেই গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। পরে সোমবার নিহত হানিফের ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ আটক কম ন ড র র ঘটন য় ল ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলায় বিবাদমান দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় শতাধিক হাতবোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এক যুবদল নেতাসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা জানায়, জাজিরা উপজেলার বিলাসপুর ইউনিয়নের চেরাগ আলী বেপারিকান্দি এলাকার ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য নাসির বেপারী এবং তাজুল ছৈয়ালের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। রবিবার (২ নভেম্বর) সকালে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। উভয়পক্ষের লোকজন হাতবোমা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে বেশ কয়েকটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। হাতবোমার আঘাতে যুবদল নেতা সালাউদ্দিন বেপারী, কামাল বেপারীসহ কয়েকজন আহত হয়েছে। আহত দুইজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ দুইজনকে আটক করেছে। 

আরো পড়ুন:

ড্যাফোডিল-সিটি ইউনিভার্সিটি সংঘর্ষ: শিক্ষার্থীদের আসামি করে পাল্টাপাল্টি মামলা

শিশুদের ঝগড়া থেকে বড়দের সংঘর্ষ, আহত ৫০

জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাইনুল ইসলাম বলেন, ‘‘আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। বেশ কিছু হাতবোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। দুইজনকে আটক করা হয়েছে।’’ 

তিনি আরো বলেন, ‘‘যারা এই নাশকতা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ 

ইউপি সদস্য নাসির বেপারীর স্ত্রী সাবিনা আক্তার বলেন, ‘‘আমরা বাড়িতে বাচ্চাদের নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলাম। বোমার শব্দে ঘুমে ভেঙে যায়। উঠে দেখি আমাদের বাড়িতে বোমা হামলা হচ্ছে। জানালার গ্লাস ভেঙে ধোঁয়ার রুম ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের প্রতিপক্ষের লোকজন তাজুল ছৈয়াল, মমতাজ বেপারী, মন্নাপ বেপারী, সুজন, রনি ভূঁইয়া, টিপু মাদবর হামলা চালিয়েছে।’’ তিনি দোষীদের বিচারের দাবি জানান। 

আহত সালাউদ্দিনের স্ত্রী সুমি বলেন, ‘‘আমার স্বামী ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বোমার শব্দে জানালার কাছে গেলে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।’’ তিনি জীবনের নিরাপত্তার পাশাপাশি দোষীদের শাস্তি চান। 

উল্টো অভিযোগ করেছেন চম্পা আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, ‘‘সালাউদ্দিন বেপারী, নাসির বেপারী, ইব্রাহিম বেপারীরা আমাদের বাড়িঘরে বোমা হামলা করেছে। তারা আমাদের হুমকি দিয়েছে, বাড়িঘরে থাকতে দেবে না। আমরা এলাকায় শান্তি চাই।’’ যারা হামলার সঙ্গে জড়িত, তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি। 

তাজুল ছৈয়ালের বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যায়নি। ঘরটি তালাবদ্ধ ছিল। 

ঢাকা/আকাশ/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • শরীয়তপুরে দু’পক্ষের সংঘর্ষ, শতাধিক হাতবোমা বিস্ফোরণ