শৈলকুপায় ৩ জনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় ২ জনকে আটক করল র্যাব
Published: 25th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকুপার রামচন্দ্রপুর শ্বশান ঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডারসহ তিনজন নিহতের ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে র্যাব।
সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সার্কিট হাউজ এলাকা এবং গাজিপুর জেলার সোনাতলা এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। আটকরা হলেন- হরিনাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু সাঈদ ও জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলাম।
র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার হরিণাকুন্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে মামলা করা হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতে আসামি ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব। তারই ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের সার্কিট হাউজ সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আবু সাঈদকে আটক করা হয়। ঠিক একই সময় র্যাবের পৃথক দল গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করে। তাদের দুইজনকে শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এরা হত্যার ঘটনায় জড়িত ছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পরবর্তীতে জিজ্ঞাসাবাদে বিস্তারিত জানা যাবে।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর গ্রামের শ্বশানঘাট এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় পুর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হরিণাকুন্ডুর আহাদনগর গ্রামের হানিফ, তার শ্যালক শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিায়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম।
এই ৩ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেন জাসদ গণবাহিনীর কালু। তিনি ওই রাতেই গণমাধ্যমকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠান। পরে সোমবার নিহত হানিফের ভাই বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ঝ ন ইদহ আটক কম ন ড র র ঘটন য় ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ২
বগুড়ায় মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ায় বাবাকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামের বিরুদ্ধে। শনিবার বিকেলে বগুড়া শহরের ফুলবাড়ী এলাকায় এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আটক করেছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জু এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের নাম শাকিল আহমেদ (৩২)। তিনি শিববাটি শাহি মসজিদ এলাকার হানিফ প্রামাণিকের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাকিল শিববাটি এলাকায় বাস করেন। তার এক কিশোরী কন্যাকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলাম বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। কিন্তু জিতুর সঙ্গে শাকিল তার মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না। আজ দুপুরের দিকে ১০-১৫ জন যুবক শাকিলকে বাড়ি থেকে ফুলবাড়ী এলাকায় করতোয়া নদীর ঘাটে নিয়ে যায়। সেখানে শাকিলকে বেদম মারধর করা হয়। পরে তাকে নদীর ঘাটে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় তারা। স্থানীয় লোকজন শাকিলকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দিলে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহত শাকিলের বড় বোন আশা বলেন, আমার ভাতিজি অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তাকে বিয়ের জন্য জিতু কিছুদিন পর পর আমার বড় ভাইয়ের কাছে প্রস্তাব দিত। আমার ভাই ১৪ বছরের মেয়েকে বিয়ে দিতে রাজি না হওয়ায় জিতু বাহিনীর লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যা করেছে। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।
শাকিলের খালাতো বোন জেসি বলেন, আমার খালাতো ভাই শাকিলের সাথে জিতু বাহিনীর দুপুরে এক দফা হাতাহাতি হয়। একপর্যায়ে শাকিল বাড়িতে এসে বলে আমাকে তোরা বাঁচা। জিতুরা আমাকে মেরে ফেলবে। এর কিছুক্ষণ পরেই ১৫/২০টি মোটর সাইকেলযোগে লোকজন এসে শাকিলকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা প্রায় ৩ ঘণ্টা খোঁজের এক পর্যায়ে জানতে পারি শাকিলের মরদেহ শহীদ জিয়াউর রহমান মেজিকেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তফা মুঞ্জু বলেন, অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে বিয়েতে রাজি না হওয়ায় শাকিল হোসেনকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক জিতু ইসলামসহ দুইজনকে আমরা আটক করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে কেউ জড়িত আছে কিনা খতিয়ে দেখে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।