আরএফইডি’র নতুন কমিটির পথচলা শুরু
Published: 25th, February 2025 GMT
নির্বাচন কমিশন বিটে কর্মরত সাংবাদিকদের সংগঠন রিপোর্টার্স ফোরাম ফর ইলেকশন অ্যান্ড ডেমোক্রেসির (আরএফইডি) সভাপতি হিসেবে যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি কাজী জেবেল এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিদিনের সিনিয়র রিপোর্টার গোলাম রাব্বানী দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) ইসির ইটিআই ভবনে আরএফইডির অভিষেক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এই কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করলো। এ সময় আগের কমিটিকে বিদায়ী সংবর্ধনা জানায় নতুন কমিটি। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
কার্যনির্বাহী কমিটির ১৩টি পদে এক বছরের জন্য নতুন নেতৃত্ব নির্বাচিত হন ৯ ফেব্রুয়ারি। এই কমিটির সহ-সভাপতি পদে আ ন ম মহিবুব উজ জামান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে মো.
এ ছাড়া কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ফারজানা আক্তার, নাজনীন আক্তার লাকী, মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ, হেদায়েত উল্যাহ সীমান্ত ও জাহিদুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, “আগামী ডিসেম্বরে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে হলে অক্টোবরে তফসিল ঘোষণা করতে হবে। আর সামনে জুনের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন করা সম্ভব নয়। কারণ, ভোটার তালিকা হালনাগাদের কার্যক্রম শেষ হবে আগামী জুন মাসে।”
অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, অবসারপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ, ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
একইসঙ্গে বিদায়ী কমিটির সভাপতি একরামুল হক সায়েম ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবীরসহ সবাইকে সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়। ফুল দিয়ে নতুন সদস্যদের বরণ করা হয়।
এছাড়া সম্মাননা দেওয়া হয় আরএফইডি’র নির্বাচন ২০২৫ পরিচালনা কমিটির প্রধান নির্বাচন কমিশনার শেখ নজরুল ইসলাম, নির্বাচন কমিশনার কাজী হাফিজ ও সাইদুর রহমান।
এছাড়া রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ডের বিচারক তৌহিদুল ইসলামকেও সম্মাননা স্মারক দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানে বিদায়ী ও নতুন কমিটিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানায় প্রকল্প কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ।
ঢাকা/এএএম/টিপু
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর অন ষ ঠ ন ল ইসল ম কম ট র
এছাড়াও পড়ুন:
গানের ভুবনে লিজার অন্তহীন পথচলা
শীর্ষ তারকা হওয়ার দৌড়ে কখনও অংশ নিতে দেখা যায়নি তাঁকে। যদিও ২০০৮ সালে ‘ক্লোজআপ ওয়ান: তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ’ প্রতিযোগিতায় সেরা শিল্পীর মুকুট মাথায় উঠেছিল, তবু ধীরলয়ে পথ হেঁটে গেছেন। নিজের কাজে অতিমাত্রার উচ্ছ্বাসও দেখাননি কখনও। নীরবে নিভৃতে কাজ করে গেছেন সবসময়। গানে গানে কুড়িয়ে চলেছেন শ্রোতার ভালোবাসা। এ কারণে সমসাময়িকদের চেয়ে আলাদা করে তাঁকে চিনে নেওয়া যায়। বলছি, কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজার কথা। গানের ভুবনে অন্তহীন পথচলায় যিনি এরই মধ্যে পেরিয়ে এসেছেন প্রায় দেড় যুগের পথ। সমান জনপ্রিয়তা নিয়ে এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার রহস্যটা কী? শুরুতে যখন এ প্রশ্ন লিজার সামনে তুলে আনা হলো, তখন দেখা গেল, লিজা নিজেই এর উত্তর খুঁজতে বসে গেছেন। এ পর্যায়ে হেসে বললেন, ‘না, এর উত্তর সত্যি জানা নেই। আসলে আমি তো গান গাই শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ আর ভালোবাসা কুড়ানোর জন্য। হ্যাঁ, শিল্পীসত্তাকে খুশি রাখতে গানের চর্চা ধরে রেখেছি বললে ভুল হবে না। তারপরও প্রতিটি আয়োজনে শ্রোতার ভালোলাগা, মন্দলাগাকে প্রাধান্য দিয়েছি। এতে করে কতটুকু জনপ্রিয়তা পেয়েছি। সেই জনপ্রিয়তা শুরু থেকে একই রকম আছে কিনা– সেটি তো শ্রোতারা ভালো বলতে পারবেন।’ লিজার এ কথা থেকে বোঝা যায়, যাদের কারণে শিল্পীজীবন বেছে নেওয়া, সেই শ্রোতা তাঁর দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার অনুপ্রেরণা জুগিয়েছেন। সেখানে তাঁর গানগুলো ছিল চালিকাশক্তি। তবে ১৭ বছরের সংগীতের এ পথচলায় লিজার কণ্ঠে মেলোডি গান বেশি শুনতে পাওয়া গেছে। এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই দেড় যুগে নানা ধরনের গান গেয়েছি, তবু কেন জানি শ্রোতারা আমাকে মেলোডি গানের শিল্পীদের দলে রেখে দিয়েছেন। অস্বীকার করব না যে, আমার কণ্ঠে যে ধরনের গান ভক্তরা বেশি শুনতে চান, সে ধরনের গান বেশি গাই। এটিও ঠিক যে, মেলো কিংবা স্যাড-রোমান্টিক গানের প্রতি শ্রোতার ভালোলাগা সবসময় ছিল। এখনও অনেকে মেলোডি ছাড়া গানের কথা ভাবতে পারেন না। এজন্য নিরীক্ষাধর্মী কাজ করলেও আমি চাই না মেলোডি থেকে কখনও দূরে সরে থাকতে। তাই মেলোডি গান যেমন গাইছি, তেমনি গানের নিরীক্ষাও চালিয়ে যাচ্ছি।’ লিজার এ কথা যে মিথ্যা নয়, তা সর্বশেষ প্রকাশিত গানগুলোর শুনলে প্রমাণ মেলে। ক’দিন আগে বিটিভির ‘বৈঠকখানা’ অনুষ্ঠানে ক্লোজআপ ওয়ান তারকা মুহিনের সঙ্গে গাওয়া ‘তোমার নামে’ গানে যে লিজাকে শ্রোতা আবিষ্কার করবেন, তার সঙ্গে মেলানো কঠিন হবে সামজ ও রিজানের সঙ্গে ‘তিতা কথা’ গানের লিজাকে। আরেকটু পেছন ফিরে তাকালে দেখা যাবে, ‘খুব প্রিয় আমার’, ‘তুমি এলে’, ‘পূর্ণিমা চাঁদ’ গানগুলোয় লিজা অতীতের গায়কীকে ছাপিয়ে কীভাবে আরও নতুন হয়ে নিজ কণ্ঠ তুলে এনেছেন।
মাঝে কিংবদন্তি শিল্পীদের বেশ কিছু কালজয়ী গানের রিমেকে কণ্ঠ দিয়েও প্রশংসা কুড়িয়েছেন সংগীতবোদ্ধাদের। স্টেজ শো, রেডিও, টিভির আয়োজন থেমে শুরু করে সিনেমার প্লেব্যাক শিল্পী হিসেবে প্রমাণ দিয়েছেন, তিনি অন্যদের চেয়ে কোনোভাবে পিছিয়ে নন। এককথায়, বহমান সময়টিকে সুরেলা করে রেখেছেন অনিন্দ্য কণ্ঠ জাদুতে।
আগামীতেও লিজার কণ্ঠ বাতাসে ভেসে বেড়াবে– এ অনুমান করা যায়।