ঝিনাইদহে তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আটক দুই
Published: 25th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক নেতা হানিফ আলীসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে র্যাব। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে জেলা শহরের সার্কিট হাউস এলাকা এবং গাজীপুরের সোনাতলা এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন হরিণাকুণ্ডু উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের আবু সাঈদ (৩৯) ও জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের আনারুল ইসলাম (৩৬)। ঘটনায় তাঁদের সম্পৃক্ততার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে র্যাব।
আরও পড়ুনঝিনাইদহে তিনজনকে গুলি করে হত্যা, দায় স্বীকার করে চরমপন্থী সংগঠনের বার্তা ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫র্যাব-৬ ঝিনাইদহ ক্যাম্পের কমান্ডার মেজর নাঈম আহমেদ জানান, পূর্ব বাংলার কমিউনিস্ট পার্টির কমান্ডার ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলার আহাদনগর গ্রামের হানেফ আলী, শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন ও কুষ্টিয়ার পিয়ারপুরের রাইসুল ইসলাম হত্যার ঘটনায় শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতপরিচয়দের আসামি করে মামলা করা হয়েছে। ওই মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান শুরু করে র্যাব। এরই ধারাবাহিকতায় জেলা শহরের সার্কিট হাউসসংলগ্ন এলাকা থেকে আবু সাঈদকে আটক করা হয়। ঠিক একই সময় র্যাবের পৃথক দল গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানার সোনাতলা এলাকা থেকে আনারুল ইসলামকে আটক করে। তাঁদের শৈলকুপা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনস্থানীয়রা রাতে কয়েকটি গুলির শব্দ পান, তবে ভয়ে বের হননি কেউ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫গত শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শৈলকুপা উপজেলার রামচন্দ্রপুর ত্রিবেণি শ্মশান খাল এলাকায় দুই সহযোগীসহ গুলিতে নিহত হন হানেফ আলী (৫৬) ও তাঁর দুই সহযোগী। বাকি দুজন হলেন হানেফের শ্যালক উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের লিটন হোসেন (৩৫) ও কুষ্টিয়া পিয়ারপুর গ্রামের রাইসুল ইসলাম (২৫)। ওই রাতেই হত্যার দায় স্বীকার করে চরমপন্থী সংগঠন জাসদ গণবাহিনীর নেতা কালু পরিচয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে বার্তা পাঠানো হয়। যদিও এ বার্তা নিয়ে পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুনফুটবলার থেকে চরমপন্থী নেতা, মৃত্যুদণ্ড থেকে বাঁচলেও প্রাণ হারালেন গুলিতে৩ ঘণ্টা আগেএ ঘটনায় গতকাল সোমবার সকালে শৈলকুপা থানায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫ থেকে ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন হানেফ আলীর ভাই ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সাজেদুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আটক আনারুল অস্ত্র, হত্যা মামলাসহ বিভিন্ন মামলায় অনেক বছর জেল খেটে কয়েক মাস আগে বের হন। তিনি ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন। ধারণা করছি, আমার ভাইয়ের হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী আনারুল।’
আরও পড়ুন‘আমার সবকিছু শেষ, এখন আমার কী হবে’২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: হ ন ফ আল উপজ ল র ঝ ন ইদহ ল ইসল ম ঘটন য়
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।