জামালপুরে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ। 

মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস জামালপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।

প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের বরাতে জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, ‍“ময়মনসিংহ জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী লম্বা ও রুগ্ন ওই ব্যক্তি ট্রেনে ওঠেন। তিনি ট্রেনে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। ট্রেনটি নান্দিনা রেল স্টেশনে পৌঁছালে পাওয়ার কার ও একটি বগির মাঝের করিডোরে তিনি পড়ে যান। তখন যাত্রীরা তার মাথায় পানি ঢালেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর স্টেশনে ওই ব্যক্তির মরদেহ নামানো হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।”

আরো পড়ুন:

সড়কের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় পাওয়া গেল সাতটি কঙ্কাল

ঝিনাইদহে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে

তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”

ঢাকা/শোভন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ র লওয়

এছাড়াও পড়ুন:

চলন্ত বাসে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণ, চালক আটক

ঢাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক কলেজছাত্রীকে চলন্ত বাসে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। নবীগঞ্জ-শেরপুর সড়কে রোববার রাতে যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। পরে ওই ছাত্রীর চিৎকার শুনে স্থানীয় জনতা সড়কের তিনতালাব পুকুর পাড় নামক স্থানে বাসটি আটক করে এবং বাসের ড্রাইভারকে আটক করে সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করে। এসময় বাসের হেলপার পালিয়ে যায়।
 
পরে সেনাবাহিনীর সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে একদল সেনা সদস্য ওই কলেজ ছাত্রী ও ড্রাইভারকে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করে। এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

জানা যায়, ঢাকায় একটি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়ে ওই ছাত্রী। রোববার সকালে ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে একটি বাসে উঠেন তিনি। তার গ্রামের বাড়ি যেতে বানিয়াচং যাওয়ার পথে শায়েস্থাগঞ্জ বাস স্ট্যান্ডে নামার কথা থাকলেও তিনি বাসের মধ্যে ঘুমিয়ে যান। ফলে বাস তাকে শায়েস্থাগঞ্জে না নামিয়ে শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে নামিয়ে দেয়। সেখান থেকে রাত সাড়ে ১০টায় ওই কলেজছাত্রী একটি লোকাল বাসে উঠে। সেই বাসে কয়েকজন যাত্রী ছিল, বাসটি নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি নামক স্থানে পৌঁছালে অন্যান্য যাত্রীদের নামিয়ে দেয়। এরপর ওই ছাত্রীকে একা পেয়ে বাসের চালক ও হেলপার তাকে বাসে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

এ বিষয়ে ওই ছাত্রী জানায়, তিনি ঢাকায় একটি কলেজে লেখাপড়া করেন। তার পরিবারের সবাই ঢাকায় থাকে তিনি ঢাকায় ঈদ করেছে। ঈদের ছুটিতে তিনি বাড়ি আসেননি এই জন্য আজকে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন।

বানিয়াচং থানার সেনাক্যাম্পের সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার হারুনুর রশিদ বলেন, আমরা কলেজছাত্রী ও বাস চালককে নবীগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করেছি।

এ বিষয়ে নবীগঞ্জ থানার ওসি দুলাল মিয়া জানান, ঘটনার পর বাস চালককে আটক করা হয়েছে এবং হেলপার পালিয়ে গেছে। এ ব্যাপারে মামলা লেখার কাজ চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ