জামালপুরে ট্রেন থেকে মরদেহ উদ্ধার
Published: 26th, February 2025 GMT
জামালপুরে আন্তঃনগর ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস ট্রেন থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে রেলওয়ে পুলিশ।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) রাতে ঢাকা থেকে দেওয়ানগঞ্জগামী ব্রহ্মপুত্র এক্সপ্রেস জামালপুর জংশন রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছানোর পর মরদেহটি উদ্ধার হয়। মারা যাওয়া ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় জানা যায়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রীদের বরাতে জামালপুর রেলওয়ে থানার ওসি রবিউল ইসলাম বলেন, “ময়মনসিংহ জংশন রেলওয়ে স্টেশন থেকে আনুমানিক ৬০ বছর বয়সী লম্বা ও রুগ্ন ওই ব্যক্তি ট্রেনে ওঠেন। তিনি ট্রেনে হাঁটাহাঁটি করছিলেন। ট্রেনটি নান্দিনা রেল স্টেশনে পৌঁছালে পাওয়ার কার ও একটি বগির মাঝের করিডোরে তিনি পড়ে যান। তখন যাত্রীরা তার মাথায় পানি ঢালেন। রাত সাড়ে ১১টার দিকে জামালপুর স্টেশনে ওই ব্যক্তির মরদেহ নামানো হয়। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন দেখা যায়নি।”
আরো পড়ুন:
সড়কের জন্য মাটি খোঁড়ার সময় পাওয়া গেল সাতটি কঙ্কাল
ঝিনাইদহে গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত ৩ জনের পরিচয় মিলেছে
তিনি আরো বলেন, “এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শোভন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ মরদ হ র লওয়
এছাড়াও পড়ুন:
বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
বগুড়ার গাবতলী উপজেলার একটি বাড়িতে হাতবোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রোববার দুপুরে উপজেলার মশিপুর ইউনিয়নের ছোট ইতালি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বিস্ফোরণে আতাউর রহমান (৩৫) নামের একজন গুরুতর আহত হন। তাঁকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আতাউর কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার রামপ্রসাদের চর গ্রামের বাসিন্দা। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।।
গতকালের ওই ঘটনার পরপরই ছোট ইতালি গ্রামের বিস্ফোরণস্থল ঘিরে ফেলেন সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব ও ডিবি সদস্যরা। উদ্ধার করা হয় বেশ কয়েকটি তাজা হাতবোমা। বোম ডিসপোজাল ইউনিটের সদস্যরা এসে উদ্ধার হওয়া হাতবোমাগুলো নিষ্ক্রিয় করেন। পরে বাড়িটি সিলগালা করা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, কয়েক দিন আগে আতাউর রহমানসহ কুমিল্লা থেকে আসা চার ব্যক্তি ছোট ইতালি গ্রামের মাদক ব্যবসায়ী মুক্তার হোসেনের বাড়িতে ওঠেন। মুক্তারের স্ত্রী নাছিমা আক্তার (৪৫) মাদকের মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে কারাগারে আছেন। গতকাল দুপুর ১২টার দিকে মুক্তারের বাড়ির ভেতরে একটি শক্তিশালী বিস্ফোরণ ঘটে। এতে আশপাশের লোকজন আতঙ্কিত হন। পরে বাড়ির ভেতর প্রবেশ করে রক্তাক্ত অবস্থায় আতাউর রহমানকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশকে খবর দেওয়ার পর মুক্তার হোসেনের তিন সহযোগী দ্রুত পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত আতাউরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
গাবতলী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেরাজুল হক বলেন, ঘটনাস্থল থেকে অবিস্ফোরিত হাতবোমা ও কিছু বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়েছে। বাগবাড়ি তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক আবদুল্লাহ আল সাদিক বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছেন। মামলায় একজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। এ ঘটনার সঙ্গে আগামী নির্বাচনে নাশকতার পরিকল্পনার যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।